Wednesday, January 5, 2011

যমুনার চরাঞ্চলে ভাসমান হাসপাতাল


সিরাজগঞ্জ ব্যুরো :

'মনে করছিলাম, আমার এই চোখডা কোনদিন ভাল অইবোনা। মেলাবার চেষ্টা করছি, টাউনের হাসপাতালে যাইয়্যা চিকিৎসা লুমু। হে চিকিৎসা ভাগ্যে অয়নাই। এহানে আইস্যা চোখডা ভাল অইলো। এহন চোহে দেইখপার পারছি।' কথাগুলো বললেন সিরাজগঞ্জ জেলার দুর্গম চরাঞ্চলের কাওয়াকোলা ইউনিয়নের যমুনা নদীর দোগাছী চরের আলমগীর ও দুলহার চরের রহিমন। এধরনের কথা শুধু এরাই বলেনি। মহর আলী ও সারিয়াকান্দি এলাকা থেকে আগত ১২ বছরে তানজিলা এই হাসপাতাল থেকে যে এত বড় উপকৃত হয়েছে এ বিষয়টি তাদের হৃদয়ে চিরদিন গেঁথে থাকবে। তানজিলার মুখ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। এখানে তাকে প্লাষ্ট্রিক সার্জারী করে তাকে ভাল করা হয়। চরাঞ্চলের অবহেলিত মানুষের দুর্দশা দীর্ঘদিন থেকে। কোথাও নেই চিকিৎসার ব্যবস্থা। হাতুড়ে ডাক্তার আর কবিরাজদের উপর ভরসা করে বেঁচে থাকার পর অবশেষে তাদের ভাগ্যে জুটেছে আধুনিক চিকিৎসা। এ যেন সোনায় সোহাগা।
এ্যামিরাত ফ্রেন্ডশীপ নামের একটি ভাসমান হাসপাতাল গত ২০ জানুয়ারি থেকে এই চরাঞ্চলে তাদের চিকিৎসা সেবা শুরু করেছে। চরাঞ্চলের হতদরিদ্রদের অত্যাধুনিক দন্তচিকিৎসা ও চক্ষু চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন থেকে চারশত রোগী এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই হাসপাতালটি সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসাসুবিধা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করবে। কথা হয় হাসপাতালের কমান্ডিং অফিসার অব. লে. আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে। জরুরি বিভাগসহ আটটি শয্যা রয়েছে। শুধুমাত্র চরাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদানের সঙ্গে নতুন আঙ্গিকে এই হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। সুদুর নেদারল্যান্ডের একজন মানবসেবী ডেন্টাল সার্জন ডা. ওলফ্রেড এর সহযোািগতায় এই হাসপাতালে বিদেশী অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করে ডেন্টাল বিভাগটি সজ্জিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কম্পিউটারাইজড চক্ষু চিকিৎসা ইউনিট চালু করা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার বিভাগও গড়ে তোলা হয়েছে। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ভাইজার ডা. আব্দুল কাদের জানান, ঢাকার জনকল্যানমুখী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশীপ এসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক রুণা খানের নেতৃত্বে এই সংস্থার কর্মকর্তারা উদ্যেগী হয়ে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় বঞ্চিত চরাঞ্চলরবাসীদের জন্য এমিরাত এয়ার লাইন্স-এর আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এমিরাত ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালটি ২০০৮ সালে তৈরি করেন। ২০০৮ সালে ২১ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালটি চরাঞ্চলবাসীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য চালু করা হয়। সেবারব্রত নিয়েই এই হাসপাতালের সকল দায়ভার ফ্রেন্ডশীপ এসোসিয়েশন ঢাকা বহন করছে। চরাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুদের চিকিৎসা, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ বিপুলভাবে সমাদৃত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারশত রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ডেন্টাল, চক্ষু সার্জন ছাড়াও শিশু বিশেষজ্ঞ, অর্থপেডিক সার্জন ছাড়াও আরও চারজন চিকিৎসক সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করছেন। এই হাসপাতালে এক্সরে, রক্ত, মূত্র পরীক্ষাসহ অত্যাধুনিক ল্যাবরেটেরি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে অগি্নদগ্ধ রোগীর সার্জারী, একশিরা ও তার অপারেশন, টিউমার অপারেশনসহ ছোটখাট অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালে সব মিলিয়ে ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে যাদের বেতন ভাতাসহ অনান্য খরচ বাবদ প্রতিমাসে ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন হয়। যা ফ্রেন্ডশীপ এসোসিয়েশন সকল ব্যবস্থা করছে। দূর্গম চরাঞ্চল থেকে আসা সুরাইয়া খাতুন, বাদল হোসেন, সাহাদৎ হোসেন, আনোয়ার শেখ জানান, তারা এই ভাসমান হাসপাতাল কাছে পেয়ে আমরা অত্যান্ত আনন্দিত। এধরণের হাসপাতাল স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা করলে চরাঞ্চেলের বাসিন্দারা উপকৃত হবে। স্থানীয় কাওয়াকোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাদৎ হোসেন ঠান্ডু, ইউপি সদস্য বাদল মন্ডল জানান, চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ সারা বছরই সরকারি চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে। ভাসমানইে হাসপাতালটি অনেক দরিদ্র মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্যে করছে। হাসপাতালটি যে কত বড় উপকার করেছে বিষয়টি আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা।
Source:
৫ জানুয়ারি ২০১১

A Unilever-sponsored hospital ship is bringing health care to people.

With only 20 doctors for every 100 000 people, many Bangladeshis have little access to medical treatment. In the remote delta regions of Jamuna and Brahmaputra, however, a Unilever-sponsored hospital ship is bringing health care to people.

Floating hospital

Floating hospital

Aklima has one of the biggest smiles in her class, but she wasn't always so cheerful. Born with a cleft lip, Aklima used to feel self-conscious and shy and her classmates would make fun of her. Her parents considered it a curse.

That was before the Lifebuoy Friendship Hospital pulled up on her remote stretch of the River Brahmaputra. The hospital began life an oil tanker. With an initial donation of $135 000, the Friendship Association, a local charity, was able to convert the ship into a modern health clinic.

The boat differs from most conventional hospitals not just because it is afloat but also because it goes to the patients rather than the other way round. For the thousands of poor Bangladeshis, like Aklima, who live in the country's flood-prone islands, Lifebuoy's free treatment and medicine are usually the only healthcare they can get.

Essential services

The Lifebuoy Friendship Hospital's team of two doctors and 14 medical staff, along with volunteer doctors from overseas, provide everything from basic healthcare and immunisations to minor surgery. During 2007 they carried out 1 425 operations, of which 880 were to restore or preserve people's eyesight. More than 3 000 patients received dental care, and 600 had dental surgery. In total, 52 000 people received health care treatment and advice on board in 2007.

Aklima is one of over 275 000 people to have been helped by the Unilever-sponsored hospital ship since it set sail in 2001. "None of my friends call me 'cleft lip' anymore after my operation on the Lifebuoy Friendship Hospital," she beams.

Improving hygiene

Hygiene is a key issue in developing countries such as Bangladesh, and one of Unilever's priorities is to help improve hygiene practices. The ready availability and use of soap has an immediate impact in stopping the spread of germs and preventing disease. The Lifebuoy Friendship Hospital is branded with the name and colours of Lifebuoy soap to help reinforce the link between hygiene and health and to emphasise our commitment to people's health through our products. Leaflets providing advice on basic hygiene are given out along with free samples of soap, thus spreading the health and hygiene message as far as possible.

Pepsodent Dentibus

Oral hygiene is also important and the success of our Lifebuoy Friendship Hospital inspired the Unilever 'Dentibus', which has been running since 2004. Sponsored by our Pepsodent toothpaste brand, the 'Dentibus' is a modified bus complete with modern dental check-up facilities. Its passengers are professional dentists who visit schools and neighbourhoods to provide free check-ups.

Dentibus visits are announced in advance so that local residents can set aside time. Visits to schools are usually supported by various team games for the children so that health messages are delivered in a fun way. The dentists also hand out booklets on oral hygiene.

The campaign has reached an average 200 000 people a year. Pepsodent's Brand Manager, Risalat Siddique, says: "Dentibus sustains our vision of spreading healthy smiles across Bangladesh.

Source: http://www.unilever.com

No comments:

Post a Comment