শিশির মোড়ল | তারিখ: ১২-১২-২০১১
ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবার বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এখানে একজন রোগীর চোখের ছানি কেটে লেন্স বসানো হয় মাত্র ৫০০ টাকায়। স্বাস্থ্যবিমার আওতায় হাসপাতালটি এই সেবা দিচ্ছে।
পটুয়াখালীর পানপট্টি গ্রামের মোতাহার প্যাদার সঙ্গে কথা হয় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে। তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। তাঁর চোখে একটি কৃত্রিম লেন্স লাগানো হয়েছে। তাতে মোতাহার প্যাদা বেজায় খুশি।
চোখের সমস্যা ছিল তাঁর দীর্ঘদিনের। কিন্তু খরচের আশঙ্কায় তিনি চিকিৎসকের কাছে যাননি। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল বড় খরচের হাত থেকে বাঁচিয়েছে তাঁকে। চোখের চিকিৎসায় সাকল্যে তাঁর খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই দুই হাজার টাকার মধ্যে মোতাহারের ছয়টি পরীক্ষার ব্যয় আছে। পরীক্ষাগুলো হচ্ছে: ইসিজি, বায়োমেট্রি, রক্ত (সম্পূর্ণ পরীক্ষা), ডায়াবেটিস, এইচবিএস/এজি ও সিএস। কৃত্রিম লেন্সের দাম ও হাসপাতালের তিন দিনের শয্যা ভাড়াও ওই খরচের মধ্যেই। এর বাইরে শুধু খাবারটা হাসপাতালের কেনটিন থেকে কিনতে হয়েছে মোতাহারকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মোতাহার প্যাদার ঘটনাটি একটু ভিন্ন। তিনি বিমার আওতায় পড়েন না, আবার দরিদ্রও বটে। তাই তাঁর খরচটা ভিন্ন ধরনের হয়েছে।
রাজধানীর সরকারি-বেসরকারিনির্বিশেষে সব হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালটির চেহারা কিছুটা ভিন্ন। সকাল-সন্ধ্যা এই হাসপতালে রোগীর চাপ নেই। অথচ এই হাসপাতালে মাত্র ৫০০ টাকায় রিশকাচালক, ভ্যানচালক, চা বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা ও দিনমজুরের চোখের ছানি কেটে কৃত্রিম লেন্স পরিয়ে দেওয়া হয়।
এই হাসপাতালের উদ্যোক্তা জনস্বাস্থ্যবিদ জাফরউল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দুই চোখে দুটি কৃত্রিম লেন্স। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই তা লাগিয়েছেন।’ চিকিৎসার ব্যয় দরিদ্র মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা সম্ভব, সেটা প্রমাণ করতে দিশারি প্রকল্প হিসেবে তাঁরা হাসপাতালটি তৈরি করেছিলেন।
চক্ষু চিকিৎসক গৌর গোপাল সাহা বলেন, সেখানে দরিদ্র মানুষকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। চোখের সমস্যা নিয়ে কোনো নিম্নবিত্ত মানুষ এলে প্রথমে ১০০ টাকা দিয়ে (ধূমপায়ী হলে ১২৫ টাকা) বিমা করা হয়। এই বিমার আওতায় রোগী ও তাঁর পরিবার এক বছর বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। বিমা করার পর রোগীর প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করা হয় ৫০ টাকায়। চোখে অস্ত্রোপচার করে যে কৃত্রিম লেন্সটি লাগানো হয়, তার দাম ২৫০ টাকা। অস্ত্রপচারের পর এক দিন হাসপাতালে থাকতে হয় বলে আরও ১০০ টাকা নেওয়া হয়। সব মিলে ৫০০ টাকায় চোখের ছানি কেটে লেন্স লাগিয়ে দেওয়া হয়।
রিশকাচালক, ভ্যানচালক, চা বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা ও দিনমজুর মিলে দুই হাজার ৩০০ নিম্নবিত্ত মানুষ এই হাসপাতালের বিমার আওতায় আছেন। এঁদের পরিবারের সদস্যরা বছরভর বিনা মূল্যে এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা পান।
যাঁরা বিমার আওতায় নন, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যয় একটু বেশি। চোখের ছানি কেটে লেন্স বসাতে সব মিলে খরচ সাড়ে তিন হাজার টাকা।
পটুয়াখালীর পানপট্টি গ্রামের মোতাহার প্যাদার সঙ্গে কথা হয় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে। তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। তাঁর চোখে একটি কৃত্রিম লেন্স লাগানো হয়েছে। তাতে মোতাহার প্যাদা বেজায় খুশি।
চোখের সমস্যা ছিল তাঁর দীর্ঘদিনের। কিন্তু খরচের আশঙ্কায় তিনি চিকিৎসকের কাছে যাননি। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল বড় খরচের হাত থেকে বাঁচিয়েছে তাঁকে। চোখের চিকিৎসায় সাকল্যে তাঁর খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই দুই হাজার টাকার মধ্যে মোতাহারের ছয়টি পরীক্ষার ব্যয় আছে। পরীক্ষাগুলো হচ্ছে: ইসিজি, বায়োমেট্রি, রক্ত (সম্পূর্ণ পরীক্ষা), ডায়াবেটিস, এইচবিএস/এজি ও সিএস। কৃত্রিম লেন্সের দাম ও হাসপাতালের তিন দিনের শয্যা ভাড়াও ওই খরচের মধ্যেই। এর বাইরে শুধু খাবারটা হাসপাতালের কেনটিন থেকে কিনতে হয়েছে মোতাহারকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মোতাহার প্যাদার ঘটনাটি একটু ভিন্ন। তিনি বিমার আওতায় পড়েন না, আবার দরিদ্রও বটে। তাই তাঁর খরচটা ভিন্ন ধরনের হয়েছে।
রাজধানীর সরকারি-বেসরকারিনির্বিশেষে সব হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালটির চেহারা কিছুটা ভিন্ন। সকাল-সন্ধ্যা এই হাসপতালে রোগীর চাপ নেই। অথচ এই হাসপাতালে মাত্র ৫০০ টাকায় রিশকাচালক, ভ্যানচালক, চা বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা ও দিনমজুরের চোখের ছানি কেটে কৃত্রিম লেন্স পরিয়ে দেওয়া হয়।
এই হাসপাতালের উদ্যোক্তা জনস্বাস্থ্যবিদ জাফরউল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দুই চোখে দুটি কৃত্রিম লেন্স। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই তা লাগিয়েছেন।’ চিকিৎসার ব্যয় দরিদ্র মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা সম্ভব, সেটা প্রমাণ করতে দিশারি প্রকল্প হিসেবে তাঁরা হাসপাতালটি তৈরি করেছিলেন।
চক্ষু চিকিৎসক গৌর গোপাল সাহা বলেন, সেখানে দরিদ্র মানুষকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। চোখের সমস্যা নিয়ে কোনো নিম্নবিত্ত মানুষ এলে প্রথমে ১০০ টাকা দিয়ে (ধূমপায়ী হলে ১২৫ টাকা) বিমা করা হয়। এই বিমার আওতায় রোগী ও তাঁর পরিবার এক বছর বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। বিমা করার পর রোগীর প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করা হয় ৫০ টাকায়। চোখে অস্ত্রোপচার করে যে কৃত্রিম লেন্সটি লাগানো হয়, তার দাম ২৫০ টাকা। অস্ত্রপচারের পর এক দিন হাসপাতালে থাকতে হয় বলে আরও ১০০ টাকা নেওয়া হয়। সব মিলে ৫০০ টাকায় চোখের ছানি কেটে লেন্স লাগিয়ে দেওয়া হয়।
রিশকাচালক, ভ্যানচালক, চা বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা ও দিনমজুর মিলে দুই হাজার ৩০০ নিম্নবিত্ত মানুষ এই হাসপাতালের বিমার আওতায় আছেন। এঁদের পরিবারের সদস্যরা বছরভর বিনা মূল্যে এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা পান।
যাঁরা বিমার আওতায় নন, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যয় একটু বেশি। চোখের ছানি কেটে লেন্স বসাতে সব মিলে খরচ সাড়ে তিন হাজার টাকা।
Source: http://www.prothom-alo.com
গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল
ফোন: +৮৮০-২-৮৬১৭২০৮, ৯৬৭৩৫১২, ৯৬৭৩৫০৭
ঠিকানা: হাউজ নং# ১৪/ই, রোড নং # ৬, ধানমন্ডি ঢাকা- ১২০৫ বাংলাদেশ ফ্যাক্সঃ +৮৮০-২-৮৬১৩৫৬৭
গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল (শ্রীপুর)
মোবাইল: +৮৮-০১৭১১-৮২৬৯০৭, ০১৭১১-৬৩৯৯৮৩
ঠিকানা: টাংরা, শ্রীপুর, গাজীপুর ঢাকা বাংলাদেশ
No comments:
Post a Comment