জীবন বাঁচাতে স্বেচ্ছায় রক্ত দিন
চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে ইসলামের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। ফলে যুগে যুগে অসংখ্য মুসলিম মনীষী পবিত্র কোরআন ও হাদিস গবেষণা করে নিজেদের এ শাস্ত্রের পথিকৃৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আধুনিক বিজ্ঞান চিকিৎসাব্যবস্থাকে অকল্পনীয় সহজলভ্য করে দিয়েছে। আল্লাহ তাআলার বিশেষ রহমতে মুষ্টিমেয় কিছু দুরারোগ্য ব্যাধি ছাড়া প্রায় সব রোগের চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়েছে। এ জন্য ওষুধ প্রয়োগ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তাঁর বিধি-নিষেধের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সুবিবেচনা কাম্য। অবশ্য অনন্যোপায় হলে জীবন রক্ষার্থে হারাম বস্তুও প্রয়োজন অনুযায়ী হালাল হিসেবে গণ্য হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ সব রোগের প্রতিষেধক সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ কর এবং চিকিৎসা গ্রহণে হারাম বস্তু ও পন্থাকে বর্জন কর।’ (আবু দাউদ)
আবহমানকাল ধরে চিকিৎসা বিজ্ঞানে মানবদেহের জন্য রক্তের ব্যবহার ব্যাপক। মানবসেবায় রক্তদান এবং রক্ত গ্রহণের আগে শরিয়তের সিদ্ধান্ত জেনে নিলে নেককাজে বিশেষভাবে আগ্রহ জন্মাবে। ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষের মূল্যবান জীবন ও দেহ সুরক্ষায় রক্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য তরল উপাদান। যেকোনো দুর্ঘটনায় শরীর থেকে রক্ত ঝরে গেলে দেহের অভ্যন্তরে অন্ত্র বা অন্য কোনো অঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হলে অস্ত্রোপচারে রক্তের অপচয় বেশি হলে, পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারে পুড়ে যাওয়া রোগীর যাদের হেমোডায়ালাইসিস চলছে তখন রক্তের খুব প্রয়োজন। অপারেশনের সময়, বড় ধরনের দুর্ঘটনার মতো নাজুক অবস্থায় রক্ত দেওয়া আবশ্যিক হয়ে পড়ে। মানবদেহে রক্তশূন্যতার জন্য রক্ত গ্রহণের যেমন বিকল্প নেই, তেমনি রক্তের চাহিদা পূরণের জন্য রক্ত দেওয়া ও বিক্রয় বৈধ নয়। তবে বিনামূল্যে রক্ত না পেলে রোগীর জন্য রক্ত ক্রয় করা বৈধ, কিন্তু এতে বিক্রেতা গুনাহগার হবে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক রোগের ওষুধ আছে। সুতরাং যখন রোগ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা হয়, তখন আল্লাহর হুকুমে রোগী আরোগ্য লাভ করে।’ (মুসলিম)
স্বেচ্ছায় রক্তদানে অন্য মানুষের মূল্যবান জীবন রক্ষা পায় এবং নিজের জীবনও ঝুঁকিমুক্ত থাকে। নিয়মিত রক্ত দিলে নিজের জীবনও ঝুঁকিমুক্ত রাখা সম্ভব হবে। সৎকাজ ও নেক নিয়তের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে যথাযথ প্রতিদানও মিলবে। নিয়মিত রক্ত দিলে প্রাথমিক অবস্থাতেই রোগ-ব্যাধি ধরা পড়ে। এ জন্য প্রথম অবস্থাতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়। একজন সুস্থ লোকের রক্তের বিনিময়ে অন্য একজন অসুস্থ ও মুমূর্ষু ভাইয়ের জীবন রক্ষা পেলে শরিয়ত অনুমোদিত হওয়ায় আগ্রহচিত্তেই তা দেওয়া উচিত। মানবতার উপকার ও জীবন রক্ষার্থে রাসূলুল্লাহ (সা.) বাণী প্রদান করেছেন, ‘তোমাদের কেউ তার অপর ভাইয়ের উপকার করতে সক্ষম হলে সে যেন তা করে।’ (মুসলিম)
স্বেচ্ছায় রক্ত দেওয়ার জন্য অনেক মানুষের আগ্রহ আছে। কিন্তু সমন্বয়ের জন্য রক্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। বাংলাদেশে প্রতি বছর পাঁচ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হলেও এর মাত্র ২৫ ভাগ স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতার মাধ্যমে আসে। ৫০ ভাগ রিপ্লেসমেন্ট ডোনার বা আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনের মাধ্যমে এবং বাকি ২৫ ভাগ পেশাদার রক্তদাতার কাছ থেকে সংগৃহীত হয়। পেশাদার রক্তদাতারা এক-দুই মাস অন্তর বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্ত দেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের শরীর অপুষ্ট থাকে। তাঁদের দেহে যৌনবাহিত ও রক্তবাহিত বিভিন্ন রোগ থাকতে পারে। কারণ তাঁরা অনেকে মাদকাসক্ত ও অনিরাপদ জীবনযাপন করেন। পক্ষান্তরে অপেশাদার রক্তদাতারা অর্থের বিনিময়ে নয়, রোগীর প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময় পরপর রক্ত দিয়ে থাকেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা রোগ এবং ওষুধ দুটিই পাঠিয়েছেন এবং প্রতিটি রোগেরই ওষুধ প্রেরণ করেছেন। সুতরাং তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ করো। তবে হারাম বস্তু দিয়ে চিকিৎসা করো না।’ (মিশকাত, সুনানে আবু দাউদ)
মানবজীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় রক্তদান ইসলাম পরিপন্থী নয়। স্বেচ্ছায় রক্তদান সব ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজের শীর্ষে অবস্থান করছে। ১৮ থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত যেকোনো সুস্থ-সবল মানুষ তিন মাস অন্তর রক্ত দান করতে পারে, এতে শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় না। রক্ত দেওয়ার সময় যদি কোনো রোগ-ব্যাধি যেমন জ্বর, ফোঁড়া প্রভৃতি থাকে এবং কোনো ধরনের এন্টিবায়োটিক চলে, তবে ওই মুহূর্তে রক্ত না দেওয়াই ভালো। কারও রক্তে যদি হেপাটাইটিসের জীবাণু ধরা পড়ে এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তবে তাকেও রক্তদানে নিরুৎসাহিত করা হয়। যে রক্তে রক্তবাহিত রোগ যেমন হেপাটাইটিস বি ও সি, এইচআইভি, সিফিলিস ও ম্যালেরিয়া অনুপস্থিত থাকে সাধারণত সে রক্তই নিরাপদ রক্ত। কাউকে রক্তদানের আগে রক্তাদাতার কোনো অসুখ আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য গবেষণাগারে স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা হয়। রক্তে অন্তত ১০ গ্রাম/ডেসিলিটার হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকলে রক্তগ্রহীতার শরীরে রক্ত কোনো কাজে আসে না। কারণ রক্ত দেওয়ার মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে ভলিউম বা পরিমাণ প্রতিস্থাপন এবং লোহিত রক্তকণিকা (যাতে হিমোগ্লোবিন থাকে) প্রতিস্থাপন। এ লোহিত কণিকার আয়ুষ্কাল ১২০ দিন বা চার মাস। তাই চার মাসের আগে রক্ত দেওয়া নিরাপদ নয়। তাহলে রক্তের মধ্যে শ্বেতকণিকা ও অণুচক্রিকা বা প্লাটিলেট থাকে না। রক্তদানের জন্য পুরুষের ন্যূনতম ওজন ৫০ কেজি বা ১০০ পাউন্ড এবং নারীর ৯৫ পাউন্ড হওয়া বাঞ্ছনীয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের জীবন বাঁচাতে রক্তের কোনো বিকল্প নেই। রক্ত বেশি দিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় না। তাই জরুরি মানবিক প্রয়োজনে রক্ত দেওয়ার জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ দলমত নির্বিশেষে সবার মানসিক প্রস্তুত থাকা উচিত। রক্তের সীমাহীন চাহিদা পূরণের জন্য ব্লাড ব্যাংকের ব্যবস্থা করা এবং স্বেছায় রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ করা একটি কার্যকর উদ্যোগ হতে পারে। স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য মানুষ যথেষ্ট আগ্রহী হলেও উদ্বুদ্ধকরণ উল্লেখযোগ্য নয়। ব্লাড ব্যাংকের অন্যতম সংগঠন কোয়ান্টাম উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সংগঠন ‘সন্ধানী’ ও ‘রেড ক্রিসেন্ট’-এর ব্লাড ব্যাংক রয়েছে। বাঁধন, লায়ন্স ক্লাব ও অরকা ডোনার সংগ্রহের কাজ করে থাকেন। রক্ত সংগ্রহের পাশাপাশি এগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সমাজের ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি, মসজিদের ইমাম-খতিব ও আলেমসমাজের অগ্রণী ভূমিকা পালন করা উচিত। মুমূর্ষু লোকের জীবন রক্ষা ও জনসেবামূলক কাজে যেহেতু ধর্মীয় বিধি-নিষেধ নেই, সেহেতু নাগরিক সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে রক্তদান বিষয়ক প্রচার, সেমিনার এবং ব্লাড ডোনেশন ডের মতো সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত বাঞ্ছনীয়।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক একাডেমী, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়। পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.)। dr.munimkhan@yahoo.com
রক্তদানের গুরুত্ব …
ব্লাড ব্যাংকের তথ্যরক্তের গ্রুপ আপনার যাই হোক না কেন, প্রয়োজনের সময় রক্ত প্রাপ্তি অথবা দান সম্পর্কিত যে কোন তথ্য থেকে কখনোই দুরে নন আপনি । গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন হলে আপনার বাংলা লিংক মোবাইল থেকে ডায়াল করুন ৮০৮০ নম্বরে, আর জেনে নিন নিকটস্থ রক্ত দান কেন্দ্র, হাসপাতাল অথবা রক্তদাতাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য । কলচার্জ প্রথম ৩ মিনিট ১৫ টাকা, পরবর্তী প্রতি মিনিট ৫ টাকা । ভ্যাট প্রযোজ্য ।
দু:সময়ের জন্য রক্ত সঞ্চয় করে কোয়ান্টাম
কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ রক্তের একটি প্রধান নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। দু:সময়ে রক্ত নিয়ে সকলের পাশে আছে কোয়ান্টাম। ১৯৯৬ সালে শুরু হয় কোয়ান্টামের স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম। স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমে কোয়ান্টাম ১৪ এপ্রিল ২০০০ সালে নিজস্ব আধুনিক ল্যব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নতুন ভাবে যাত্রা শুরু করে। আধুনিক প্রযুক্তি ও আপোষহীন মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সমৃদ্ধ কোয়ান্টাম ল্যাব ২৪ ঘণ্টা সেবা দিচ্ছে। গত ৯ বছরে কোয়ান্টাম ল্যাব সরবরাহ করেছে প্রায় দুই লক্ষ ব্যাগ নিরাপদ রক্ত ও রক্ত উপাদান। গড়ে তুলেছে ১৪ হাজার জীবন ও ৮২ হাজার অনিয়মিত রক্তদাতার ডোনার পুল। আপনার দেয়া এক ব্যাগ রক্ত আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে রক্ত উপাদানে বিভাজিত হয়ে বাঁচাতে পারে ৪টি প্রাণ। তাই বন্ধু ও আত্মীয়দের রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করুন।
কোয়ান্টাম রক্ত কার্যক্রমের বিশেষত্ব
নিখুঁত ক্রস-ম্যাচিং অর্থাৎ থ্রি-ফেজ কম্প্যাটিবিলিটি (কক্ষ তাপমাত্রায়, ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এবং ইনডাইরেক্ট কুম্বস টেস্ট) টেস্ট করা হয়।
FDA অনুমোদিত উন্নতমানের (CPDA-১) ব্যাগে সযত্নে সংগৃহীত ও নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষিত।
নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক ল্যাব-এ রয়েছে সেল সেপারেটর সেন্ট্রিফিউজ মেশিন, -৯০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার ডিপ ফ্রিজ, প্লাটিলেট ইনকিউবেটর এবং এলাইজা মেশিনসহ প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রপাতি।
রক্তদাতাকে প্রদেয় সেবা
প্রতিবার রক্তদানের পর রক্তদাতা উপহার হিসেবে পাচ্ছেন রক্তবাহিত ৫ টি রোগের (হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইডস এবং ম্যালেরিয়া) স্কিনিং রিপোর্ট।
সন্ধানী
সন্ধানী বাংলাদেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ১৯৭৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান আন্দোলনের পথিকৃৎ "সন্ধানী"। বন্ধুর প্রতি ৬ জন উদ্যমী তরুণের অকৃত্রিম ভালবাসা থেকে জন্ম নেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রটি। আর্থিক অনটনে জর্জরিত ২য় বর্ষের এক ছাত্রের সকালের নাস্তার টাকা যোগাড় করে দেয়ার মাধ্যমে হঠাৎ করেই সন্ধানীর আত্মপ্রকাশ। আত্মপ্রকাশের পরবর্তী এক বছর বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করলেও ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী’ সন্ধানীর কার্যক্রমের আওতাভুক্ত ছিল না। ১৯৭৮ সালের ২রা নভেম্বর ডিএমসিএইচ ব্লাড ব্যাংকে সন্ধানী প্রথমবারের মত ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর’ আয়োজন করে এবং পরবর্তীতে এই দিনটিকেই ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে সন্ধানীর ১৮টি ইউনিট বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে একযোগে কাজ করছে। সন্ধানী মূলত মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ছাত্রছাত্রী দ্বারা পরিচালিত একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালিত হয় ঐ নির্দিষ্ট ইউনিটের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত ২৩ সদস্যের একটি কার্যকরী কমিটির মাধ্যমে আর সবগুলো ইউনিটকে সমন্বয় করার জন্য গঠন করা হয়েছে একটি ‘কেন্দ্রীয় পরিষদ’। সন্ধানীর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি ও সন্ধানী ডোনার ক্লাব সমূহ। প্রতিবছর সন্ধানী গড়ে ৪০,০০০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে। যা দেশের চাহিদা অনুযায়ী অনেক কম হলেও দেশের রক্তের অভাব পূরণে এক দৃঢ় ভূমিকা পালন করছে।
No comments:
Post a Comment