Sunday, September 5, 2010

শ্রীমঙ্গলে হোমিওপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয় উদ্বোধন

শ্রীমঙ্গলে হোমিওপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয় উদ্বোধন
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি, ২২ আগস্ট ২০১০
শনিবার শ্রীমঙ্গলে হোমিওপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। শহরের কোর্ট রোডের কার্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক ডা. ছাদিক আহম্মদ। ডা. রবীন্দ্র কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন একুশে টেলিভিশন মৌলভীবাজার প্রতিনিধি বিকুল চক্রবর্তী, ডা. বিরেন্দ্র চন্দ্র দে, ডা. সুব্রত বীর ভুলু, ডা. আলাউল রাজী, শাহ আবদুল আজিজ প্রমুখ। দাতব্য চিকিৎসালয়ে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দু'জন চিকিৎসক রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন এবং জটিল রোগের জন্য ৫ সদস্যের চিকিৎসক দলের একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
Source: Daily Samakal,

Wednesday, September 1, 2010

কটি দাতব্য চিকিৎসালয়ের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা

ফরিদপুরের নগরকান্দার তালমা বাজারে কোটি টাকা মূল্যের শতবর্ষের পুরনো একটি দাতব্য চিকিৎসালয়ের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জামাল হোসেন এবং তার সহযোগীরা।

অভিযোগ রয়েছে, প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ওই জায়গাটি দখলে নেওয়া হয়েছে বেআইনিভাবে প্রশাসনের ওপর প্রভাব খাটিয়ে।

জানা যায়, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা বাজারের ওই জায়গাটি গত একশ বছর ধরে ব্যবহৃত হয়েছে চিকিৎসা সেবার কাজে। ওই এলাকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দানের জন্য একটি দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করেন মহারাজ প্রদ্যুত কুমার। দাতব্য চিকিৎসালয়ের জন্য তালমা বাজারে মোট ৯ শতাংশ জায়গা দান করা হয়। সে সময় থেকে এখনো চিকিৎসাদানের ওই কেন্দ্রটি চালু আছে। জানা যায়, দানপত্রে দাতার নাম-ঠিকানা রয়েছে স্যার যতীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পক্ষে প্রদ্যুত কুমার ঠাকুর, পাথুরিয়াঘাটা, কলকাতা। স্থানীয় ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, তালমা বাজার মৌজার ১৪৫নং খতিয়ানের ৬২৯নং দাগের মোট ৯ শতাংশ জায়গা আরএস রেকর্ডে রেকর্ড রয়েছে দাতব্য চিকিৎসালয়ের নামে। এসএ রেকর্ডে ভূমি বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তার কারণে ওই জায়গাকে কোনো খতিয়ানে না দেখিয়ে ছুট দাগ হিসেবে দেখানো হয়। কিন্তু জমি থাকে দাতব্য চিকিৎসালয়ের নিয়ন্ত্রণে । বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংসদ উপনেতার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জামাল হোসেন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তহশিলদারকে দিয়ে একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে জমির শ্রেণী পরিবর্তনের প্রতিবেদন দাখিল করান। জানা যায়, এ বিষয়টি কৌশলে জেলা প্রশাসককে এড়িয়ে গত ৪ মার্চ ২০০৯ ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জমির শ্রেণী পরিবর্তনের আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে ওই ৯ শতাংশ জমি থেকে ৮ শতাংশ জমি লিজের নামে দখলে নেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জামাল হোসেন, তার বোন ও তার সহযোগীরা । জানা যায়, বর্তমানে তারা (দখলদার) সেখানে একটি মার্কেট নির্মাণ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, ওই দাতব্য চিকিৎসালয়ের পার্শ্ববর্তী সংখ্যালঘুদের মন্দিরের একটি জায়গা দখলে নিয়েছে জামালের ভগি্নপতি নাহিদ। তালমা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান মাতুব্বর এ প্রসঙ্গে বলেন, একশ বছর ধরে জায়গাটি দাতব্য চিকিৎসালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এর আগেও বেশ ক'জন ভূমিদস্যু জায়গাটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে পারেনি, কিন্তু এবার আমরা ঠেকাতে পারিনি কারণ নগরকান্দার ইউএনও (তৎকালীন) আমাকে ডেকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন । তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ খান বলেন, আমরা বাধা দিয়েছিলাম কিন্তু আমাদের বাধা টিকেনি। সে সময়ের ইউএনও বলেছেন, আমি লিজ দিতে বাধ্য, আপনারা কেউ বাধা দিয়ে ঝামেলা করবেন না। তিনি বলেন, প্রায় একশ বছরের পুরনো দাতব্য চিকিৎসালয়ের জায়গাটিতে এখন মার্কেট, বিষয়টি খুবই বেদনার, এর চেয়ে আর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। এ ব্যাপারে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, দাতব্য চিকিৎসালয়টি তার জায়গাতেই আছে, এটাকে সরকার পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। সে কারণে সরকার ওই জায়গাটি আমাদের লিজ দিয়েছে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হেলালউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি আমার এখানে যোগদানের আগে বলে আমি কোনো মন্তব্য করছি না, তবে কোনো অভিযোগ এলে আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
Source:
০১ জুন ২০১০,