Thursday, December 15, 2011

Free Cancer Treatment By Ahsania Mission and Grameenphone, Bangladesh

Based on estimates of the Bangladesh Cancer Society there are about 1,000,000 cancer patients in Bangladesh. Each year about 200,000 new cancer patients are added and 150,000 die from the disease. Despite the numbers, existing cancer treatment facilities in Bangladesh are extremely limited and only 15,000 patients receive the proper medical treatment each year.

Dhaka Ahsania Mission established the Ahsania Mission Cancer and General Hospital, which is a specialized institution to create awareness about Cancer. The hospital provides high quality diagnostic and therapeutic care to ease the suffering of patients with cancer on a NO-PROFIT-NO-LOSS basis. The Mission is working to develop the hospital into a centre of excellence in the country in the field of cancer control (education, awareness creation, diagnosis, treatment and research on cancer).

The sole telecom partner, Grameenphone will also work with the Dhaka Ahsania Mission authorities to screen the patients who are to admitted to those wards to ensure proper utilization. One third of the wards sponsored by GP will be reserved for more economically disadvantaged patients who will receive free admission and full treatment; the rest of the disadvantaged patients screened will receive treatment, which will be subsidized by Grameenphone.

Contact Address:

HEAD OFFICE:

Dhaka Ahsania Mission
House # 19, Road # 12
Dhanmondi, Dhaka-1209
Bangladesh
Telephone: (880-2) 8119521-22, 9123402, 9123420
Fax: (880-2) 8113010, 8118522

Mr. Kazi Rafiqul Alam
President
Email: kr.alam@ahsaniamission.org
Telephone: (880-2) 8115909

Mr. M. Ehsanur Rahman
Executive Director
Email: ehsan1155@gmail.com
Telephone: (880-2) 9145104

UK OFFICE:

Mrs. Zina Fear
4, Hayne Close
Tipton St. John, Sidmouth
Devon, EX10 OBA
U.K.
Phone: +44-01404-813996
Email: zinafear@aol.com

USA OFFICE:

Dr. Mansurul Khan
82-59, 247 Street
Bellerose, New York 11426
Telephone: 718-938-9451
Email : mansurulkhan@yahoo.com

PAKISTAN OFFICE

Ms. Mehnaz Ansar Khan
Deputy Country Director and Officer-in-Charge
House # 4, Street # 4, F-8/3, Islamabad
Telephone: +92 51 228 7114 and +92 51 226 0508
Cell: 0333-420-4299
Email: mkhan_mgt@hotmail.com

REPRENTATIVE IN INDIA:

Mrs. Nishat Farooq
J 346 Sarita Vihar
New Delhi-110025, India
Telephone: 11-2682-2879
Email: nishatfarooq@gmail.com

Monday, December 12, 2011

চোখের ছানি কেটে লেন্স বসানো হয় ৫০০ টাকায়: গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে দরিদ্রদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা

শিশির মোড়ল | তারিখ: ১২-১২-২০১১

ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবার বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এখানে একজন রোগীর চোখের ছানি কেটে লেন্স বসানো হয় মাত্র ৫০০ টাকায়। স্বাস্থ্যবিমার আওতায় হাসপাতালটি এই সেবা দিচ্ছে।
পটুয়াখালীর পানপট্টি গ্রামের মোতাহার প্যাদার সঙ্গে কথা হয় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে। তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। তাঁর চোখে একটি কৃত্রিম লেন্স লাগানো হয়েছে। তাতে মোতাহার প্যাদা বেজায় খুশি।
চোখের সমস্যা ছিল তাঁর দীর্ঘদিনের। কিন্তু খরচের আশঙ্কায় তিনি চিকিৎসকের কাছে যাননি। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল বড় খরচের হাত থেকে বাঁচিয়েছে তাঁকে। চোখের চিকিৎসায় সাকল্যে তাঁর খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই দুই হাজার টাকার মধ্যে মোতাহারের ছয়টি পরীক্ষার ব্যয় আছে। পরীক্ষাগুলো হচ্ছে: ইসিজি, বায়োমেট্রি, রক্ত (সম্পূর্ণ পরীক্ষা), ডায়াবেটিস, এইচবিএস/এজি ও সিএস। কৃত্রিম লেন্সের দাম ও হাসপাতালের তিন দিনের শয্যা ভাড়াও ওই খরচের মধ্যেই। এর বাইরে শুধু খাবারটা হাসপাতালের কেনটিন থেকে কিনতে হয়েছে মোতাহারকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মোতাহার প্যাদার ঘটনাটি একটু ভিন্ন। তিনি বিমার আওতায় পড়েন না, আবার দরিদ্রও বটে। তাই তাঁর খরচটা ভিন্ন ধরনের হয়েছে।
রাজধানীর সরকারি-বেসরকারিনির্বিশেষে সব হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালটির চেহারা কিছুটা ভিন্ন। সকাল-সন্ধ্যা এই হাসপতালে রোগীর চাপ নেই। অথচ এই হাসপাতালে মাত্র ৫০০ টাকায় রিশকাচালক, ভ্যানচালক, চা বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা ও দিনমজুরের চোখের ছানি কেটে কৃত্রিম লেন্স পরিয়ে দেওয়া হয়।
এই হাসপাতালের উদ্যোক্তা জনস্বাস্থ্যবিদ জাফরউল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দুই চোখে দুটি কৃত্রিম লেন্স। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই তা লাগিয়েছেন।’ চিকিৎসার ব্যয় দরিদ্র মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা সম্ভব, সেটা প্রমাণ করতে দিশারি প্রকল্প হিসেবে তাঁরা হাসপাতালটি তৈরি করেছিলেন।
চক্ষু চিকিৎসক গৌর গোপাল সাহা বলেন, সেখানে দরিদ্র মানুষকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। চোখের সমস্যা নিয়ে কোনো নিম্নবিত্ত মানুষ এলে প্রথমে ১০০ টাকা দিয়ে (ধূমপায়ী হলে ১২৫ টাকা) বিমা করা হয়। এই বিমার আওতায় রোগী ও তাঁর পরিবার এক বছর বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। বিমা করার পর রোগীর প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করা হয় ৫০ টাকায়। চোখে অস্ত্রোপচার করে যে কৃত্রিম লেন্সটি লাগানো হয়, তার দাম ২৫০ টাকা। অস্ত্রপচারের পর এক দিন হাসপাতালে থাকতে হয় বলে আরও ১০০ টাকা নেওয়া হয়। সব মিলে ৫০০ টাকায় চোখের ছানি কেটে লেন্স লাগিয়ে দেওয়া হয়।
রিশকাচালক, ভ্যানচালক, চা বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা ও দিনমজুর মিলে দুই হাজার ৩০০ নিম্নবিত্ত মানুষ এই হাসপাতালের বিমার আওতায় আছেন। এঁদের পরিবারের সদস্যরা বছরভর বিনা মূল্যে এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা পান।
যাঁরা বিমার আওতায় নন, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যয় একটু বেশি। চোখের ছানি কেটে লেন্স বসাতে সব মিলে খরচ সাড়ে তিন হাজার টাকা।


গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল
ফোন: +৮৮০-২-৮৬১৭২০৮, ৯৬৭৩৫১২, ৯৬৭৩৫০৭
ঠিকানা: হাউজ নং# ১৪/ই, রোড নং # ৬, ধানমন্ডি ঢাকা- ১২০৫ বাংলাদেশ ফ্যাক্সঃ +৮৮০-২-৮৬১৩৫৬৭


গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল (শ্রীপুর)
মোবাইল: +৮৮-০১৭১১-৮২৬৯০৭, ০১৭১১-৬৩৯৯৮৩
ঠিকানা: টাংরা, শ্রীপুর, গাজীপুর ঢাকা বাংলাদেশ

Four TTSH doctors provide free eye treatment and surgery for villagers in Bangladesh

Four doctors from TTSH's Dept of Ophthalmology - Dr Nikolle Tan, Dr Rajesh Rajagopalan, Dr Rupesh Agrawal, Dr Don Pek & fellow colleagues from NHG International - embarked on a trip to Bangladesh from Dec 10-11, to provide free eye treatment and surgery for the villagers.


Eye-See-The-World, an annual event since 2008, was organised by the Singapore Airlines. Together with eye specialists from the Bangladesh Eye Hospital, the team rendered free cateract surgery to 194 villagers over the span of 2 days.

It was a fruitful expediation, where people of different cultures met to interact and render aid to each other. The villagers expressed delight and were excited to see our doctors. By the end of the trip, many villagers and children were following the doctors everywhere!

View photos @ TTSH Facebook page.

Sunday, November 20, 2011

১০ টাকায় চোখের চিকিৎসা!

- আমিনুল হক ভূইয়া

১০ টাকায় চোখের চিকিৎসা! রাজধানীর শেরেবাংলানগরে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া তেমন কোনো খরচ নেই। আছে বিনামূল্যে অপারেশন ও বেড পাওয়ার সুবিধা। পেয়িং বেডের ভাড়া ২২৫ টাকা। ১০ টাকায় টিকিট কিনে চিকিৎসা নিতে পারেন চোখের সমস্যায় ভুগছেন এমন যে কেউ। যে কোনো বিভাগে একজন রোগী উপস্থিত হলেই চিকিৎসক ও নার্সরা আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দেন। চোখে ছানিপড়া রোগীর সংখ্যাই এখানে বেশি। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চোখের ছানি, রেটিনা, গ্লুকোমা, অক্লো পালাস্টিক, লো-ভিশন, লেজার, বায়োমেটিক, হিজ স্ক্রিন, প্যাথলজি, এমআরআই, সিটি স্ক্যানসহ ২৫টি বিভাগ রয়েছে। আউটডোরে ১০ টাকায় টিকিট কিনে প্রাথমিক চিকিৎসা ও যে কোনো পরামর্শ নিতে পারেন একজন রোগী। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ এখানে ছুটে আসেন চোখসংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার চিকিৎসা নিতে। ২৫০ জন নার্স, দুই শতাধিক চিকিৎসক এবং হাসপাতালের প্রতিটি কর্মী দুই হাত বাড়িয়ে থাকেন রোগীর সেবায়। যে কোনো রোগীই তাদের আপনজন হিসেবে সেবা পেয়ে থাকেন। ১৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের এ আধুনিক হাসপাতালটি মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ড মিলিয়ে বর্তমানে ১০০ বেড নিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে ৪০টি পেয়িং বেড রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ৮১ কোটি ও সৌদি আরব সরকারের ৫১ কোটি টাকার অনুদান মিলিয়ে এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ছয়তলা পর্যন্ত ভবন করা হলেও চারতলা পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক ডা. রেজানুর রহমান জানান, সৌদি আরব সরকারের টাকা পাওয়া গেলে পাঁচ ও ছয়তলায় বাকি ১৫০ বেড বসানো সম্ভব হবে। তখন ২৫০ বেডের হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। শেরেবাংলানগরে সুপরিসর হাসপাতাল ভবন। তার সামনে বিশাল চত্বর। কম করে হলেও শতাধিক গাড়ি একসঙ্গে পার্ক করা সম্ভব। হাসপাতাল চত্বরের পশ্চিম পাশে 'মলি্লকা', 'মাধবী', 'শিউলী' ও 'করবী'_ এ চারটি আবাসিক ভবন রয়েছে। চারদিকে খোলামেলা পরিবেশ। হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করলেই একজন রোগীর মনে সুস্থ হওয়ার আস্থা জন্ম নেয়। চিকিৎসাধীন রোগীরা হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পেয়ে থাকেন। আউটডোরে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ রোগী সেবা পেয়ে থাকেন। এ হাসপাতালে ডে-কেয়ার অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। ভবনের তিনতলায় রয়েছে সুপরিসর ও পরিচ্ছন্ন ক্যান্টিন। আগামী বছরের মাঝামাঝি ২৫০ বেডের এ হাসপাতালটি পুরোপুরি চালু হবে।

Friday, October 7, 2011

Free AIDS Treatment, BANGLADESH


Source: Daily Ittefaq

Free HIV/AIDS treatment in Bangladesh

Free HIV treatment in Bangladesh available in CAAP, Dhaka.
CAAP has 5-bed HIV/AIDS treatment house that provides Free HIV/AIDS screening test and Free ARV treatment.

Contact Address
Confidential Approach to AIDS Prevention (CAAP),
House no-63/D, Road no-15, Banani, Dhaka
Phone: 9881119, 01713-043383

You can do a Free test of HIV / AIDS at Ashar Alo Society, Mohammadpur, Dhaka.
Phone: 9133968, 8159268
HIV Information: 02-8153042, 01732-801001

or you can contact your nearest VCT center for a Free HIV test.

Monday, September 5, 2011

Low or Free Cost Treatment in Probin Hospital

প্রবীণদের সেবায় অনন্য এক হাসপাতাল

নাঈম আহমেদ, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০

প্রবীণদের চিকিত্সা সেবার জন্য অনন্য এক প্রতিষ্ঠানের নাম প্রবীণ হাসপাতাল। প্রতিদিন এ হাসপাতালে অসংখ্য প্রবীণ আসেন নানা রকম রোগের চিকিত্সার জন্য। ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এ হাসপাতালে সেবার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রবীণদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ডায়াবেটিস বিভাগ চালু হয়েছে। এ বছর হাসপাতালে কার্ডিওলজি, প্যাথলজি, ফিজিওথেরাপি বিভাগ আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেডিসিন বিভাগ (জেরিয়াট্রিক; পুরুষ; মহিলা), নাক-কান-গলা বিভাগ, দন্ত বিভাগ, চক্ষু বিভাগ, ফিজিওথেরাপি ও প্যাথলজি বিভাগ খোলা রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অবশ্য সার্জারি বিভাগে অপারেশন থাকলে তা অফিস সময়ের পর যে কোনো সময় করার ব্যবস্থা আছে। তাছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগ এখন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হচ্ছে। তাতে আগত রোগী সেবা পেয়ে থাকেন। প্রতিটি বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা রোগীদের পরীক্ষা ও চিকিত্সা সেবা দেয়া হয়। নতুন অভিজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে এরই মধ্যে প্রতিটি বিভাগকে শক্তিশালী করা হয়েছে।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগকে তিনটি স্তরে ভাগ করে বয়স্ক, অপ্রাপ্ত এবং মহিলাদের জন্য পৃথক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে রোগ-ব্যাধি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সাধারণ উপদেশ ও চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। ফিজিওথেরাপি বিভাগে উন্নত ধরনের যন্ত্র দ্বারা আরও উন্নত চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া এই বিভাগটি পর্দার পরিবর্তে থাই-অ্যালুমিনিয়াম ও অস্বচ্ছ গ্লাস দিয়ে সাজানো হয়েছে।
হৃদরোগের রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ার ফলে কালার ডপলার, ২৪ ঘণ্টা হল্টার ইসিজি, ইকো কার্ডিওগ্রাম ইত্যাদির আয়োজন করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিত্সক দ্বারা রোগীদের চক্ষু পরীক্ষা করা হয় ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান এবং প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করা হয়। এ বছর স্বতন্ত্র একটি চক্ষু ইউনিট সম্পৃক্ত করা হয়েছে, এ ইউনিটের সহায়তায় শহর ও গ্রামীণ প্রবীণ ব্যক্তিদের চক্ষু অপারেশন হচ্ছে।
দন্ত বিভাগে রোগীদের দাঁত লাগানো, রুট ক্যানেল, চিকিত্সাসহ সব রকমের অপারেশন করা, নাক, কান, গলা রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের ব্যবস্থাপত্র দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে সার্জারি হয়, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয়ে সব রকমের সাধারণ ও বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষা, এক্স-রে বিভাগে বিশেষজ্ঞ রেডিওলজিস্ট দ্বারা রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ, আলট্রাসনোগ্রাম, প্রতিদিন আয়ুর্বেদি ও ইউনানী চিকিত্সা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। অর্থোপেডিক বিভাগে একজন অভিজ্ঞ প্রফেসর বিনামূল্যে চিকিত্সাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
আন্তঃবিভাগে হাসপাতাল কার্যক্রম নিয়মিত : এখানে প্রতিদিন মাত্র ১০০ টাকা ফি দিয়ে সাধারণ বেডে ও প্রতি বেডে ৬০০ টাকা ফি দিয়ে ক্যাবিনে রোগীরা থাকতে পারেন। হাসপাতালের অভিজ্ঞ ডাক্তার রোগীদের সেবায় সব সময় নিয়োজিত আছেন। তাছাড়া অভিজ্ঞ নার্স ও ওয়ার্ডবয় রোগীদের সেবা যত্ন করে থাকেন। প্রবীণ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ সার্জন দ্বারা বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করা হচ্ছে। প্রবীণ হাসপাতালে বৈদ্যুতিক জেনারেটরের ব্যবস্থা আছে যাতে করে বিদ্যুতের অসুবিধার জন্য রোগীদের কোনো কষ্ট পেতে না হয়। এছাড়াও সংঘের দু’টি অ্যাম্বুলেন্স আছে, যা নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধের মাধ্যমে প্রবীণ রোগীদের যাতায়াত সেবা দিয়ে থাকে।
বৈকালিক চিকিত্সা সেবা : গত মে ২০০৭ সাল থেকে প্রবীণ হাসপাতালে বৈকালিক শিফটের জন্য মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি ও চর্ম— এ চারটি বিভাগ খোলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ফিজিওথেরাপি, প্যাথলজিসহ অন্যান্য বিভাগ খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিনামূল্যে চিকিত্সা ও ওষুধ বিতরণ : এখানে উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানের হাসপাতালে ৩০ শতাংশ দরিদ্র প্রবীণ ব্যক্তিকে বিনামূল্যে চিকিত্সা ও ব্যবস্থাপত্র দেয়া হয়। গরিব ও অসহায় রোগীদের ওষুধ এবং বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, এক্স-রে ও ফিজিওথেরাপি চিকিত্সা বিনামূল্যে করা হয়। ২০০৯ সালে হাসপাতাল থেকে মোট ৩,৭৬৭ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিত্সা সেবা দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে আগত প্রবীণ রোগীদের রেয়াতের জন্য প্রায় ৭১,৬৬৫ টাকা খরচ করা হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরের কল্যাণ তহবিল থেকে গরিব রোগীদের এবং কেন্দ্র, শাখার গরিব ও অসহায় প্রবীণদের স্বল্প পরিমাণে বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হয়। এর জন্য প্রতিষ্ঠানকে আরও প্রায় ৯২,৩৯১ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী ২০০৪ সালে ৩৯,০২৬ জন, ২০০৫ সালে ৪৯,১৩১ জন, ২০০৬ সালে ৫১,৫৭৯ জন, ২০০৭ সালে ৫১,৬০৯ জন, ২০০৮ সালে ৪০,৬৯৬ জন, ২০০৯ সালে ৪০,৮৫২ জন রোগী এ হাসপাতালে চিকিত্সা সেবা পেয়েছেন।
Source: Daily Amardesh

Friday, July 22, 2011

ঠোট ও তালু কাটা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে ইবনেসিনা হাসপাতাল

ঠোট ও তালু কাটা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে ইবনেসিনা হাসপাতাল
ঠোট ও তালুকাটা রোগীদের কোনরকম খরছ ছাড়া সম্পুর্ণ বিনামূল্য উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়ার উদ্যেগ নিয়েছে সিলেট ইবনেসিনা হাসপাতাল। অপারেশনের পাশাপাশি সকলপ্রকার পরিক্ষা ও ঔষধ সহ রোগিদের যাতায়ত খরচও বহন করবে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। আগামীকাল ২২ শে জুলাই থেকে প্রতি শুক্র ও শনিবার নিয়মিত চলবে এ কার্যক্রম। অপারেশন পরিচালনা করবেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক বার্ণ ও প¬াস্টিক সার্জারী বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা সৈয়দ সামসুদ্দিন আহম্মদ। -বিজ্ঞপ্তি

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০১১,

Wednesday, July 20, 2011

38 Proven Methods To Reduce Medical & Dental Costs

  1. Don't get sick! Practice preventative medicine. Eat a balanced diet.
  2. Keep your weight down. Encourage family members to do the same.
  3. Choose a family doctor before you get sick. To find one, ask friends. neighbors local medical society or nearby hospital.
  4. If you have minor medical problems, phone your doctor. Don't visit him.
  5. Purchase prescription drugs by generic names rather than brand names.
  6. Buy drug items from discount stores where they are less expensive.
  7. If vitamin/mineral supplements are necessary, order from mail order firms such as: Nutrition Headquarters, 104 W. Jackson Street, Carbondale, IL 62901.
  8. If you smoke, stop. You'll eliminate heart, lung, circulatory problems.
  9. Excessive alcohol is bad for anyone. Cut down or stop drinking entirely.
  10. Ask your doctor for "starter" samples of drugs he may prescribe for you.
  11. Protect against cost of blood transfusions. Contribute blood periodically.
  12. By law, all aspirin is the same. So always buy the cheapest brand.
  13. If your doctor writes a prescription for a brand name drug, ask the pharmacist to substitute a less expensive generic drug.
  14. Most prescription drugs may be ordered from mail order pharmacies licensed by the state. Ask your doctor, pharmacist or hospital for the name and address of such firms. This is a great saving for non-emergency drugs.
  15. Check public health centers in your area. They usually give immunizations and routine screening tests free of charge. or for very little cost.
  16. Buy a good home medical guide. Learn to recognize symptoms of diseases.
  17. If you have a persistent problem, get it taken care of as soon as possible.
  18. Record all medical expenses for tax deductions.
  19. If possible , use "out patient" facilities for minor operations and medical procedures if it is acceptable to you and your doctor.
  20. Have physical examinations regularly.
  21. for minor surgery, ask your doctor if it can be done in his office.
  22. If hospitalization is necessary, have all tests done before you enter.
  23. Discuss your financial condition with your doctor, especially before surgery or special medical program. He may be able to suggest savings.
  24. Save on hospital costs. Get in and out as quickly as possible. Before you enter, be aware of what everything will cost and cut out the "frills".
  25. Shop around first. Then join the best health care plan you can afford.
  26. If a doctor claims you require surgery, get a second opinion. A second M.D. nay know of a non-surgical treatment that works.
  27. Investigate any health insurance organizations in your area. These are groups of doctors who offer you all the health care you need in a year for a single predetermined fee. Check your phone book.
  28. Many medical schools that train optometrists and podiatrists operate low-cost clinics. These clinics are open to anyone.
  29. Senior citizens who join the American Association of Retired People get drug discounts. Ask your doctor for the name and address.
  30. Home health care is sometimes possible if there is a knowledgeable person around. discuss it with your doctor and you may shorten your hospital stay.
  31. If you are in bad financial straits, you may be eligible for Medicaid. Your local Dept. of Social Services can give you information.
  32. Keep your own accurate and up-to-date medical history.
  33. Many large corporations now arrange for their employees to get free or low cost medical and dental care, and medicine.
  34. When visiting your doctor, bring along a list of questions you want to ask.
  35. Observe and teach all family members good dental hygiene.
  36. Visit your dentist regularly for checkups.
  37. Use the best and cheapest dentifrice: salt & bicarbonate of soda.
  38. Many dental colleges operate no-cost or low fee dental clinics.

Monday, July 18, 2011

BPL card holders to be treated free of cost at AIIMS

Source: http://www.indianexpress.com,

Abantika Ghosh: New Delhi, Tue Jan 17 2012

Poor patients will soon get free treatment at the country’s premier medical institute without having to run from pillar to post. The Institute Body of All India Institute of Medical Sciences (AIIMS) on Monday decided to give free treatment to all BPL card holders. AIIMS has been asked to prepare a proposal and submit it to the Union Health Ministry for sanction of funds under the plan head for the next financial year. The meeting was chaired by Union Minister for Health and Family Welfare Ghulam Nabi Azad.

“Currently, poor patients can avail free treatment at AIIMS only if they apply for funding from the National Illness Fund, which is a long-drawn process. The idea is to simplify it so that poor can be treated free of cost at AIIMS in the same way it is done at Ram Manohar Lohia and Safdarjung hospitals,” said an official who was present at the meeting.

For now, the treatment of BPL patients will be paid for by the Union Health Ministry, but if the future plans of the Planning Commission fructify, AIIMS may be able to cross subsidise the treatment of poor patients by generating revenue through a variety of means including leasing of space for para-clinical facilities and rationalisation of user charges, sources said.

A decision was also taken to form a committee comprising faculty members to ensure that there were no incidents of caste harassment in the institute. AIIMS had witnessed recurrent allegations of casteism in the students’ hostel and against staff members belonging to scheduled castes and scheduled tribes in the past.


চাঁদপুরে এই প্রথম নির্মিত হলো বৃদ্ধাশ্রম


চাঁদপুর (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): চাঁদপুর জেলাস্থ মতলব উত্তর উপজেলার জীবগাঁয়ে নির্মিত হলো জর্জ নগর ‘মা ফাতেমা’ বৃদ্ধাশ্রম । এটি এ জেলার নির্মিত একমাত্র বৃদ্ধাশ্রম। ছেংগারচর পৌরসভার জীবগাঁয়ের জর্জ নগরে ৪ একর জমির উপর এই বৃদ্ধাশ্রমটি নির্মান করেন স্থানীয় রফিকুল আলম জর্জ। ২০০৭ সালে এর নির্মান কাজ শুরু হয় এবং বর্তমানে এর নির্মান কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ বৃদ্ধাশ্রমে ১ম পর্যায়ে স্থান পাবে ১শ ৫২ জন বৃদ্ধা। এখানে সবধরনের সুবিধাদি নিশ্চিত করা হবে। খুব শীঘ্রই এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বলে এর প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল আলম জর্জ জানান। বৃদ্ধাশ্রমের অধিবাসীদের সুবিধার জন্য তাদের আবাস ভবনের সামনে থাকছে খোলা মাঠ, চিকিৎসার জন্য থাকছে জর্জনগর রাবেয়া নাসের মেডিকেল হাসপাতাল, পুকুর, মিনি চিড়িয়াখানা ও ছোট পরিসরের পার্ক।

// চাঁদপুর, ১৮ জুলাই (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম) // এফ.আর //

Sunday, July 17, 2011

Free homeopathic treatment in Bangladesh

Program helps women overcome effects of cancer treatment

- http://www.bcrnews.com
Created: Monday, January 16, 2012 11:08 a.m. CST

In January and March, the Look Good…Feel Better program will be offered to residents of Bureau County and surrounding areas.

This free program is a joint effort between the American Cancer Society, the National Cosmetology Association and the Personal Care Products Council Foundation that teaches beauty techniques to women who are actively undergoing cancer treatment to help them combat the appearance-related side effects of radiation and chemotherapy. The session is free, but registration is requested to ensure the proper make-up kit and materials are available for each participant.

The next session will be from 10 a.m. to noon Jan. 23 at St. Margaret’s Hospital in Spring Valley. The program will also be offered from 10 a.m. to noon March 19 at Perry Memorial Hospital in Princeton. To register for either program, or for additional information, contact Rachel Robinson at the American Cancer Society at 815-229-1287 or 800-227-2345 (press 3 for immediate attention).

“Look Good…Feel Better is as much about improving and maintaining self-image and confidence as it is about appearance,” said Nicole Killion, patient services representative with the American Cancer Society. “Patients enjoy the opportunity to spend time in a relaxed, non-medical setting with others in the same situation. And the free make-up and instruction from professionals helps them look and feel better.”

According to the American Cancer Society, there are dozens of anti-cancer drugs in use today, each with its own set of possible side effects. Possible appearance-related effects of chemotherapy and radiation include: hair loss on the scalp, eyebrows or lashes; weight gain or loss; changes in skin pigmentation and texture; skin oiliness, itchiness or peeling; and alterations in nail texture and growth rate.

The American Cancer Society is dedicated to eliminating cancer as a major health problem by saving lives, diminishing suffering and preventing cancer through research, education, advocacy and service. The Illinois division has more than 120,000 volunteers and staff fighting cancer in the state. For the most up-to-date cancer related information and to join the fight against cancer, call 800-ACS-2345 or visit www.cancer.org.

Saturday, July 16, 2011

Cleft Charity in INDIA

Every year 35,000 children in India are born with clefts – a gap in the upper lip and/or palate. Though completely treatable, less than half get the treatment they desperately need – only because they are too poor.

Without corrective surgery, these children are condemned to a lifetime of isolation and suffering. Taunted and tormented for their disfigurement, they cannot attend school, hold a regular job or get married. Many are even abandoned or killed at birth.

The irony is that a cleft can be completely corrected with a simple surgical procedure that could take as little as 45 minutes and cost as little as Rs. 12,000.

That’s where Smile Train comes in. We are the world’s largest cleft lip and palate charity. Our overriding goal is make safe and quality treatment of cleft lip and palate accessible to the millions who cannot afford it.

Since 2000, Smile Train has sponsored over 250,000 safe, quality surgeries across India, totally free of cost.

Smile Train is unique because we work only with local doctors – training, helping and empowering them to become self-sufficient.

There are an estimated 10 lakh untreated cases of clefts in India. The goal of Smile Train is this: To continue providing cleft surgeries across India – on an ever increasing scale – until we have completely eradicated the problem of clefts.

Please browse for more information: http://www.smiletrainindia.org/

Friday, July 15, 2011

Pakistani Region Tackling Hepatitis C With Free Treatment

The free treatment will be offered on a first-come, first-served basis.


T
he government of Pakistan's northwestern Khyber Pakhtunkhwa Province is offering free treatment for hepatitis C patients for families with lower incomes, RFE/RL's Radio Mashaal reports.

Khyber Pakhtunkhwa Information Minister Mian Iftikhar told RFE/RL that the regional government allocated 500 million rupees ($5.8 million) for the anti-hepatitis C program in last year's budget.

But Iftikhar said only 200 million rupees was spent, primarily due to bureaucratic hurdles for users that have since been changed.

He added that the remaining balance from 2010 plus this year's budgeted funds will be used to pay for the free hepatitis C program this year.

"800 million rupees will be spent on hepatitis C patients during the current year, and the treatment will be on a first-come, first-served basis," he said.

The government used to provide free treatment to hepatitis C patients under its Benazir Income Support Program, but it was not as effective as it could have been because a largely illiterate population could not cope with the paperwork required to be treated.

Bu the government has since removed the long procedure of filling out forms in order to register for the free treatment.

Liaqat, a resident of the town of Mardan in Khyber Pakhtunkhwa, maintained that the cost of the treatment used to be so high that local people could not afford it.

"Thank God that we have no problem [with paying] now," he said. "One injection costs 13,000 rupees ($150), but we are getting it free of charge now."

Abdul Khalil, a senior doctor at the Lady Reading Hospital, the largest hospital in Peshawar, told Radio Mashaal that they are providing free treatment to all hepatitis C patients.

He said 960 hepatitis C patients were treated at the hospital last year and the clinic has enough medicine to treat 2,000 patients this year.

Hepatitis C is a major problem in Khyber Pakhtunkhwa Province, which has a population of some 21 million.

Source: http://www.rferl.org, Date: August 08, 2011

Free or Low cost Treatment in Sylhet Safeway hospital

AQ Khan stresses free psychiatric services to the poor




















Thursday, July 14, 2011

Update: more than 5000 feet now under treatment in Bangladesh and much more

Source: http://globalclubfoot.org

This entry was posted on Thursday, December 8th, 2011

5000 feet and clinics accessible to all

The Bangladesh Sustainable Clubfoot Programme now has more than 5000 feet under correction as part of its country-wide programme. Walk for Life works with partners such as the Ministry of Health (Government of Bangladesh), Zero clubfoot and others to provide clinics throughout the country that are accessible to the majority of the population. By 2012 their aim is that no family in Bangladesh should have to travel more than 60 Km to get treatment for their child’s clubfoot. Disseminating clinics in this way should make adherence with the treatment regime much easier for families; it has been well documented that in under-resourced nations travel time and costs are one of the main barriers for parents seeking treatment for their children.

This graph shows how the number of children attending clinics for clubfoot children has increased over the lifetime of the programme. The steady increase in numbers reflects increasing awareness about clubfoot, ability to access clinical services and implies a sense of trust in the services provided. The number of feet under Ponseti treatment is now more than 5000!

WFL 5000 feet

Bangladesh clubfeet under treatment

MOU with Ministry of Health

An MOU has now been signed with the government of Bangladesh to establish strong working relationships between the Ministry of Health and partners involved in the clubfoot programme and to eliminate clubfoot from the country as a life-long disability. Clubfoot correction through Walk for Life’s programme is now included in the 5-year operational health plan for Bangladesh – a great step forward for the work there.

Ibrahim’s Story

Ibrahim, a 3-year old boy born with clubfoot in a slum of Dhaka is one child who benefitted from the free care offered by Walk for Life:

‘When Ibrahim(now 3 years) was born in Dhaka slum, his parents hoped that their son’s deformed feet would correct itself as he grew older. But then, their second child, Forida(8 months) was also born with clubfoot. This time their father, Firoz( a rickshaw-puller living hand-to-mouth) borrowed money to correct Forida’s feet anticipating the difficulty of marrying off a disabled daughter in future. However, they could not find enough money to buy braces after the initial correction by casting. Without braces being worn there is a 90% chance of relapse.

Ibrahim WFL

Ibrahim: a 3 year old boy with clubfoot in a Dhaka slum

A team of Walk For Life was visiting BRAC’s delivery centre at Karail slum in Dhaka and came across these two children with the help of the local birthing attendant Asiya Begum. Both the siblings were referred to Walk For Life’s free clinic at NITOR, Dhaka

Forida was fitted with free braces. Ibrahim is undergoing casting and hopes to run around with corrected feet within 2 months ‘We are so happy to get the free treatment! Walk For Life changed our children’s lives!’ commented Firoz.’

Ibrahim treatment

Ibrahim receiving Ponseti treatment in a Walk For Life Clinic

Find out more

To find out more about Walk for Life Bangladesh and the great work they are doing, visit their website: http://www.walkforlife.org.au/, or you can read their latest newsletter here: http://www.walkforlife.org.au/images/report/Newsletter_pdf_october2011.pdf

Tuesday, July 12, 2011

পাথরঘাটায় জেলে পল্লীতে স্যাটেলাইট ক্লিনিক উদ্বোধন

পাথরঘাটায় জেলে পল্লীতে স্যাটেলাইট ক্লিনিক উদ্বোধন

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
পাথরঘাটা উপজেলার জেলে পল্লী এলাকা সদর ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়া গ্রামে স্যাটেলাইট ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেহরাব হোসেন ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। ওই এলাকার জেলে পরিবারের ৪০ বছরের দাবি পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। ছয় বছর পর্যন্ত এ ক্লিনিকটি ওই এলাকার ৩০ হাজার জেলে পরিবারকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রথম দিনে শতাধিক মা ও শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, বেসরকারি সংস্থা মাল্টিটাস্ক পরিচালক একে আজাদ, মোঃ ইমাম হোসেন সাহিদ ও অদুদুর রহমান।

Source: http://www.samakal.com.bd
মঙ্গলবার | ১২ জুলাই ২০১১

Japan-Bangladesh Friendship Hospital Honors Freedom-Fighters

Source: http://newsdigest24.com
Last updated at 24/08/2011

Japan-Bangladesh Friendship Hospital in Dhaka, Bangladesh is offering free treatments to the Freedom-Fighters in the country to show honor and respect to the Freedom-fighters of Bangladesh and in remembrance of the deceased renowned film-maker Tarek Masud and a reputed journalist Mishuk Muneer,.

The hospital started a special unit to provide free healthcare for the freedom-fighters since July 9, 2011. Over 300 freedom-fighters have already received treatment and 11 are admitted in the hospital and receiving treatment.

Japan-BD Friendship Hospital has decided to spend a total sum of 1,50,000 BDT (Approx. 2000 USD) for the medical expense of one Abu Taher, a freedom-fighter. Abu Taher hails from the Chittagong District of Bangladesh. Heart-patient Taher is being treated under Dr. M.A Baki.

The hospital also decided to provide complete free treatment to one person every year to show honor to the recently deceased film-maker and a newsman.

A program was held on August 23, 2011 at 4 pm (local time) in Dhaka to mark this event. Cancer specialist Professor Dr. A.B.M.F Karim, Heart specialist Dr. M.A Baqi, Japan-BD Friendship Hospital Finance Director Sardar A. Razzak were present at the event.

The program was supervised by the hospital chairman, renowned pain specialist Professor Dr. Jonaid Shafiq, Managing Director of the hospital, Laparoscopic specialist Prof. Dr. Sardar A. Nayeem.

Sunday, July 10, 2011

Bangladesh: What Point-of-Use Water Treatment Products Do Consumers Use?

Source: blogs.washplus.org
Date: October 24, 2011

Background: There is evidence that household point-of-use (POU) water treatment products can reduce the enormous burden of water-borne illness. Nevertheless, adoption among the global poor is very low, and little evidence exists on why.

Methods: We gave 600 households in poor communities in Dhaka, Bangladesh randomly-ordered two-month free trials of four water treatment products: dilute liquid chlorine (sodium hypochlorite solution, marketed locally as Water Guard), sodium dichloroisocyanurate tablets (branded as Aquatabs), a combined flocculant-disinfectant powdered mixture (the PUR Purifier of Water), and a silver-coated ceramic siphon filter. Consumers also received education on the dangers of untreated drinking water. We measured which products consumers used with self-reports, observation (for the filter), and chlorine tests (for the other products). We also measured drinking water’s contamination with E. coli (compared to 200 control households).

Findings: Households reported highest usage of the filter, although no product had even 30% usage. E. coli concentrations in stored drinking water were generally lowest when households had Water Guard. Households that self-reported product usage had large reductions in E. coli concentrations with any product as compared to controls.

Conclusion: Traditional arguments for the low adoption of POU products focus on affordability, consumers’ lack of information about germs and the dangers of unsafe water, and specific products not meshing with a household’s preferences. In this study we provided free trials, repeated informational messages explaining the dangers of untreated water, and a variety of product designs. The low usage of all products despite such efforts makes clear that important barriers exist beyond cost, information, and variation among these four product designs. Without a better understanding of the choices and aspirations of the target end-users, household-based water treatment is unlikely to reduce morbidity and mortality substantially in urban Bangladesh and similar populations.

Friday, July 8, 2011

বিনামূল্যে সার্জারি সেবায় লায়ন মোখলেছুর রহমান হাসপাতালের সাফল্য, Chittagong

বিনামূল্যে সার্জারি সেবায় লায়ন মোখলেছুর রহমান হাসপাতালের সাফল্য

নগরীর জাকির হোসেন রোডের লায়ন মোখলেছুর রহমান প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় সফলতা লাভ করেছে। মপ্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎ প্রায় ৪ হাজার জন্মগত ঠোঁট ও তালু কাটা গরিব , দুস্থ রোগীকে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেবাদান করা হয়। বর্তমানে জন্মগত দাঁতের মাড়িকাটা শিশুদের প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে বিনামূল্যে দাঁতের মাড়ি সংযোজন করা হচ্ছে।

এছাড়া হাসপাতালে জন্মগত মুগুর পা-সম্পন্ন শিশুদের শুরু হয়েছে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান। এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালেও এ চিকিৎসা পদ্ধতি ইতোমধ্যে সম্প্রসারণ করা হয়েছে।


জন্মগত ঠোঁট ও তালুকাটা ছেলেমেয়ে যারা খাওয়া-দাওয়া , কথা বলা, দাঁতের অসুবিধা , পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া ,সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে যোগদান কিংবা বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় , তাদের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনতে ১০ জুলাই ২০০১ সাল থেকে নগরীর জাকির হোসেন রোডের লায়ন মোখলেছুর রহমান প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার কর্মসূচি চলে আসছে। জানা গেছে, এ হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে দু’দিন সোম ও মঙ্গলবার জন্মগত ঠোঁট ও তালুকাটা দুস্থ রোগীদের অস্ত্রোপচার করা হয়ে থাকে। সেবা প্রতিষ্ঠান দি স্মাইল ট্রেইন এ অস্ত্রোপচার কর্মসূচিতে আর্থিক সহায়তায় করছে। ৩০ শয্যাবিশিষ্ট ও দু’টি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার সম্বলিত এ হাসপাতালে রোগীদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা রয়েছে। হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী এটিএম নুরুল আলম জানান, সরকারের কোন অনুমোদন ছাড়াই ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত এ হাসপাতালে প্রায় ৪ হাজার দুস্থ রোগীকে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সমাজের অবহেলিত এসব ঠোঁট ও তালুকাটা রোগীদের বিনামূল্যে এ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।

যোগাযোগ: ০৩১-২৮৫১৬৩৩, ০৩১-২৮৫১৬৪৪

Source: http://www.suprobhat.com



Monday, July 4, 2011

প্রথম মানসিক চিকিৎসা: বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান

একাদশ শতকে ইসলামী হাসপাতালগুলোতে মানসিক রোগীর চিকিৎসার জন্য আলাদা বিশেষ ওয়ার্ড থাকত। সে সময়ও মুসলমান চিকিৎসকবৃন্দ রোগীর অসুস্থতাকে রোগ হিসেবেই চিহ্নিত করতেন এবং রোগীকে মানবিক সেবা প্রদান করতেন। অথচ সমসাময়িক সময়ে ইউরোপে তাদের প্রচলিত প্রথানুযায়ী চরম অমানবিক যে কাজটি করতো তাহলো রোগীকে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করা হত। মুসলমান চিকিৎসকবৃন্দ মানসিক রোগীদের উপশমের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতেন। এমনকি মুসলমান চিকিৎসকবৃন্দ মানসিক রোগীদের প্রয়োজনীয় মানবিক সেবার পাশাপাশি ঔষধ এবং সাইকোথেরাপিও প্রদান করতেন যা ইতিহাসে প্রথম। প্রতিটি প্রধান ইসলামী শহরে একটি করে মানসিক রোগীর সেবাকেন্দ্র থাকত যেখানে বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হত। বস্তুতপক্ষে বর্তমান চিকিৎসা কাঠামোর তুলনায় সে সময়কার ইসলামী ব্যবস্থাপনায় মানসিক রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতিটি অনেক বেশী মানবিক ও কার্যকরী ছিল। এরপরেও যদি বলা হয় ১৭৯৩ ঈসায়ীতে তথাকথিত ফিলিপ পিনেল ফ্রান্সে মানসিক রোগীর সেবা কেন্দ্র পরিচালনার মাধ্যমে প্রথম চিকিৎসা দিয়ে মানসিক রোগ সারানোর পদ্ধতির আধুনিকীকরণ করে। তাহলে বিষয়টি কত বড় মিথ্যাচার হিসেবে সাব্যস্ত হয়?
- সত্যান্বেষী


বাংলাদেশে কোথায় পাবেন মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা (সাইকোথেরাপী)?

কোথায় পাবেন মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা (সাইকোথেরাপী)? বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিষয়টি এবং চিকিৎসা মনোবৈজ্ঞানিক সেবা অপেক্ষাকৃত নতুন ধারণা। দেশের অগণিত শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত সমাজ এই বিষয় সম্পর্কে এখনো সুস্পষ্টভাবে জানে না। জটিল মানসিক রোগের পাশাপাশি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মাঝে অনেক ধরনের মানসিক সমস্যা বিদ্যমান থাকে এবং এই সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্দেশ্যেই সাইকোথেরাপীর জন্ম। বর্তমানে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা অধিকতর সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন এবং উত্তরোত্তর এর পদচারনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সবার প্রয়োজনেই জেনে নেয়া যাক কোথায় পেতে পারেন এই চিকিৎসা?

১) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (Old IPGMR) হাসপাতালটির ডি ব্লকের ১২ তলায় অবস্থিত মনোরোগবিদ্যা বিভাগে সপ্তাহে ছয়দিন (শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত) সকাল ৮টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত সাইকোথেরাপী চলছে। উক্ত বিভাগের সাইক্রিয়াট্রি উয়িং-এ চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা বহিবির্ভাগ থেকে পাঠানো রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি সোমবার ১০টায় এলোকেশন মিটিং-এর মধ্য দিয়ে যে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশুকে নির্দিষ্ট থেরাপী-এর অধীনে দেয়া হয়। এখানে একক থেরাপী ছাড়াও রিলাক্সেশন গ্রুপ, সোশ্যাল স্কিল ট্রেনিং এবং গ্রুপ থেরাপী প্রদান করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক বিভাগ: শিশুদের জন্য প্রতি বুধবার মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। শনি, রবি এবং সোমবার শিশুদেরকে নিয়ে নিউরোলজিক্যাল সমস্যার জন্য ডাক্তারদের কাছে আসা হয়। ডাক্তাররা প্রয়োজন ও সমস্যা অনুযায়ী সাইকোথেরাপীস্টের কাছে তাদের পাঠিয়ে থাকেন।

২) জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (NIMH) ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত (শ্যামলীর শিশু মেলা এবং কিডনি ইনস্টিটিউটের মাঝে) ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই সরকারী মানসিক হাসপাতালটিতে ইনডোর এবং আউটডোর বিভাগে সকল বয়সী মানুষের বিনামূল্যে/স্বল্পমূল্যে মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এই হাসপাতালের সাইকোথেরাপী বিভাগ হতে যে কেউ মনোবৈজ্ঞানিক সেবা নিতে পারেন।

৩) ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার (NTCC) বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টি-সেক্টরাল প্রোগ্রাম-এর আওতায় ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারে মূলত নির্যাতিত নারী ও শিশুদের মনোবৈজ্ঞানিক সেবা প্রদান করা হয। এখানে যে কোন ধরনের নির্যাতনের (শারীরিক/মানসিক/যৈান/আবেগীয়) শিকারগ্রস্থ নারী ও শিশুদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সাইকোথেরাপী প্রদান করা হয়। নির্যাতন ছাড়া অন্য যে কোন প্রকার মানসিক সমস্যাজনিত কারণেও উক্ত সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই সেবাব্যবস্থা সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার সহ যে কোন সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত অন্যদিনগুলোতে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা: মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ভবন (৪র্থ তলা); ৩৭/৩, ইস্কাটন গার্ডেন রোড; ঢাকা-১০০০। ফোন:৮৩২১৮২৫; মোবাইল: ০১৭১৩১৭৭১৭৫

৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও পরামর্শদান কেন্দ্র (TSC) শুক্র বার ব্যতীত সপ্তাহে ছয়দিন সকাল ৯.৩০টা থেকে ৪.৩০টা পর্যন্ত শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে মনোবৈজ্ঞানিক সুচিকিৎসার ব্যাবস্থা রযেছে।

৫) আইসিডিডিআরবি (ICDDRB) মহাখালীতে অবস্থিত এই হাসপাতালটির জাগরীতে এইচআইভি টেস্টিং এবং কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের জাগরী ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এখানে ইনডোর এবং আউটডোর বিভাগে বিনামূল্যে কাউন্সেলিং দেয়া হয়। শুক্রবার ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহে প্রতিদিন সকাল ৮.৩০ থেকে এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

৬) ঢাক কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সপ্তাহের মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার এখানে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মনোবৈজ্ঞানিক সেবা দেয়া হয়। এখানে সকল বয়সী রোগীর জন্য মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতালটির ঠিকানা: ১৯০/১, বড় মগবাজার ওয়্যারলেস রেলগেট, ঢাকা-১২১৭।

৭) বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এই হাসপাতালের শিশু বিকাশ কিনিকে শিশুদের মানসিক ও আচরণগত সমস্যার জন্য সাইকোথেরাপী দেয়া হয়।

৮) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (OCC) ঢাকাসহ বাংলাদেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গুলোতে স্থাপিত ওসিসি সেন্টারে বিশেষত নির্যাতনের শিকার মহিলাদের মনোবৈজ্ঞানিক সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও অভিজ্ঞ চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীগণ ব্যক্তিগতভাবে সাইকোথেরাপী প্রদান করে থাকেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ মনভুবন প্রথম সংখ্যায় অক্টোবর ২০১০ এ লিখাটি প্রকাশিত হয়েছে। এই লিখার সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে অনুগ্রহ করে এই ঠিকানায় ইমেইল করুনঃ info@bcps.org.bd

Bangladesh Clinical Psychology Society -এর ওয়েবসাইট এড্রেস হলো: www.bcps.org.bd

Friday, July 1, 2011

কালাইয়ের কিডনি বিক্রয়কারীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প চালু

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:
দৈনিক করতোয়া ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে দরিদ্রতা, প্রচন্ড অভাব, বিভিন্ন এনজিওর কিস্তির চাপ আর দাদন ব্যবসায়ীদের সুদের টাকার যোগান দেয়ার তাগিদে জয়পুরহাটের কালাইয়ে কিডনি বিক্রির মতো মারাত্মক ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার খবর প্রচার হওয়ায় প্রশাসনের টনক নড়ে। কালাই উপজেলার লোকজনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হয়। যাতে করে এ ধরনের কাজ থেকে এলাকাবাসী বিরত থাকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, এ এলাকার প্রায় ৩শ' লোক এপর্যন্ত তাদের কিডনি বিক্রি করেছেন। বর্তমানে অপেক্ষমান আছেন আরও প্রায় ৩০-৩৫ জন । ফলে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দেয়। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই,আহম্মেদাবাদ ও উদয়পুর ইউনিয়নের কিডনি বিক্রয়কারীদের জন্য গতকাল রোববার সকাল ৯টা থেকে দুটি ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প চালু করা হলেও অনেকেই ভয়ে ক্যাম্পে উপস্থিততো হননিই, অধিকন্তু তারা আত্মগোপন করে থাকেন। ক্যাম্প দুটি হলো যথাক্রমে বৈরাগীহাট চত্ত্বর ও মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। ক্যাম্প দুটিতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে মোট ১১ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। এরা হলেন আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলী ম লের ছেলে সেকেন্দার আলী ম ল(২৮),উদয়পুর ইউনিয়নের বাগইল গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান(২৬), মাত্রাই ইউনিয়নের ভেরে ী গ্রামের একই পরিবারের পিতা জাহান আলম, ছেলে মেহেরুল, পুত্রবধূ সেলিনা এবং ছোট ছেলে শাহারুল ইসলাম, একই গ্রামের ফারুকের স্ত্রী মাহমুদা বেগম, মফিদুল ইসলাম, আইনূল ইসলাম, আব্দুল ওহাব এবং তার স্ত্রী রেবেকা বেগম। এধরনের অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট চক্র জড়িত আছে বলে এলাকার সচেতন মহল ধারণা করছেন। সরেজমিন উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলীর ছেলে সেকেন্দার আলী (২৮), মাত্রাই ইউনিয়নের সাঁতার গ্রামের সৈয়দ আলী, ভেরেন্ডি গ্রামের জাহা আলম ও মেহেরুল, বহুতি গ্রামের শুকুর আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সকলেই কোন না কোনভাবে অভাবের তাড়নায় দিনযাপন করছিলেন। কেউ এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তির চাপে ছিলেন, কেউবা চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে টাকা কর্জ করেছিলেন। কেউ কেউ তাসপাশা আবার কেউ কেউ মাদকসহ নানা নেশা করে জমিজমা খুইয়ে ধারদেনাগ্রস্ত হয়েছিলেন। এমতাবস্থায় উপায়ন্ত না দেখে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাদের এমন অভাবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিডনি বিক্রি চক্রের একটি মহল দীর্ঘ দিন থেকে সুকৌশলে অনেককে কিডনি বিক্রি করতে উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু কিডনি বিক্রিতেরা তাদের মূল্যবান কিডনির যথার্থ মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। আর মোটা অংকের মুনাফা লোটে দালাল চক্রের লোকেরা। কিডনি বিক্রেতাদের দেয়া হয় দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা। কিন্তু দালালরা তাদের কিডনি বিক্রি করে দেয় ৭-৮ লাখ টাকায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এলাকার গণমানুষ অমানবিক এ কার্যকলাপ বন্ধের জন্য দ্রুত সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করলে জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক এলাকায় কিডনি কিক্রিকারী চক্রের অপতৎপরতা বন্ধে এবং কিডনি বিক্রয়কারী ভিকটিমদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য এলাকায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপনসহ আজীবন তাদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।চিকিৎসা ক্যাম্পে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে রয়েছেন কনসালট্যান্ট সার্জন ও ইউরোলজিস্ট ডা. মু. ইয়াছের আরাফাত। এ সময় জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস,ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোজাম্মেল হক, কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার এবং ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক (টিএইচএ) ডা. আবু হোসেনসহ তিনটি ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।

Friday, June 17, 2011

চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যতথ্য বিষয়ে পাঁচটি সাইট

চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যতথ্য বিষয়ে পাঁচটি সাইট

অন্যতম মৌলিক অধিকার চিকিৎসা সেবা থেকে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বঞ্চিত। এক জরিপে দেখা যায়, এ দেশের প্রায় সাড়ে সাত লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ও ৪০ হাজার শিশু চোখের ছানি এবং অন্যান্য কারণে দৃষ্টিহীনতায় ভুগছে। আর কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে বেশির ভাগ লোক জানতেই পারেন না, তিনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি রোগের চিকিৎসা এতোই ব্যয়বহুল যে, দেশের ৯৫ পারসেন্ট মানুষেরই দীর্ঘ মেয়াদি এ চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। সরকারি হসপিটালগুলোতে চিকিৎসা সেবার বেহাল অবস্থা। ৯ তারিখের দৈনিক পত্রিকার খবর, ঢাকার অন্যতম চারটি হসপিটাল ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল। চিকিৎসা সেবার যখন এই হাল, তখন আমাদের দেশে কিছু প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য এগিয়ে এসেছে। আজ এ নিয়ে আমাদের আলোচনা।

http://health.evergreenbangla.com
এভারগ্রিন বাংলা ডট কম তাদের অন্যান্য সেবার মতো স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি সেবা চালু করেছে। এ সাইটে তারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত স্বাস্থ্য বিষয়ক রচনা, প্রবন্ধ এবং আলোচনার সঙ্কলন বাংলায় এবং ইউনিকোডে তৈরি করেছে। সাইটটি দেখতে ততোটা সুন্দর না হলেও সেখানে যে তথ্যগুলো সংরক্ষিত হচ্ছে তা অতি মূল্যবান। অনেকে রোগকে অবহেলা করে এক সময় গুরুতর অবস্থায় পড়েন। আবার অনেকে সহকর্মী বা প্রতিবেশীর সঙ্গে পরামর্শ করে ভুল ওষুধ সেবন করে। সবার জন্যই এ সাইটটি তথ্যসমৃদ্ধ সাইট হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। প্রতিটি রোগকে আলাদা ভাবে সাজানো হয়েছে এখানে। বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শও যুক্ত করা হয়েছে।

http://www.mbbsdoctor.com
এ সাইটটিও চমৎকার একটি উদ্যোগ। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায় এখানে বিভিন্ন রোগের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। উপসর্গ এবং লক্ষণ থেকে শুরু করে কি করা উচিত, কখন ডাক্তার দেখানো উচিত এবং রোগ নির্ণয়ের পরে কিভাবে প্রতিষেধক নেবেন এবং রোগ প্রতিরোধের উপায়গুলোও এখানে সুন্দর করে দেয়া আছে। এখানে ডাক্তার এবং হসপিটালের তথ্যসমৃদ্ধ একটি ডেটাবেজ আছে। যেখানে অসুখের নাম দিয়ে ডাক্তার খোজা যায়। সেই ডাক্তার কোথায় এবং কখন বসেন সেসব শেডিউলসহ ডাক্তারের চেম্বারের ফোন নাম্বার পাওয়া যায়। ঢাকা শহরে ২৪ ঘণ্টা যে ওষুধের দোকানগুলো খোলা থাকে সেগুলোর ঠিকানাসহ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্লাড ব্যাংক এবং অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর ঠিকানা এখানে দেয়া আছে।

http://www.doctorsbd.com
সাইটটি বাংলাদেশের রোগী এবং নতুন ও পুরনো সব চিকিৎসকের জন্য একটি মিলনকেন্দ্র। সারা দেশের ডাক্তারদের একটি বিশাল ডেটাবেজ তৈরির চেষ্টা চালানো হচ্ছে এখানে। ডাক্তারদের ছবিসহ তাদের তথ্যাদি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে করে যে কোনো জেলার ডাক্তারকে খুজে বের করা সম্ভব। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাক্তারের সঙ্গে অনলাইন কনসালটেশনের সুবিধা এখানে দেয়া হচ্ছে। সংগঠন সংবাদসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সাময়িকী পাওয়ার জন্য বিভিন্ন লিঙ্ক যুক্ত করা হয়েছে।

http://www.rokto.org
মোট ৭৯১ জন রক্তদাতা এ সাইটের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এটি একটি ভার্চুয়াল বস্নাড ব্যাংক। আপনিও ইচ্ছা করলে এখানে একজন মেম্বার হতে পারেন, যা কি না সম্পূর্ণ ফ্রি। এখানে লগইন করার মাধ্যমে আপনি অন্যান্য রক্তদাতার সম্পর্কে তথ্যাদি জানতে পারবেন, তাদের কাছে প্রয়োজনে রক্তের আবেদন করতে পারবেন। আবার সদস্যরা ছাড়াও যে কোনো ব্যক্তির রক্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে রক্তের গ্রম্নপসহ আর্জেন্ট রিকোয়েস্ট জানাতে পারবেন। এটি রক্তদাতাদের কাছে চাহিদা পৌছানোর একটি দ্রম্নততম মাধ্যম, যা আপনিও ব্যবহার করতে পারেন। এখানকার কমেন্ট সেকশনটি হয়তো কতর্ৃপৰের দৃষ্টিগোচর হয়নি, হলে অবশ্যই তারা অপ্রয়োজনীয় লিঙ্কগুলো মুছে ফেলতেন।

www.dab-bd.org
বাংলাদেশে ডায়াবেটিস আক্রানত্দ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি। এ সমিতির অফিশিয়াল সাইট হলো এটি। এ সাইটটি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির কার্যক্রম ও তাদের বিভাগগুলো সম্পর্কে বিসত্দারিত তথ্য সরবরাহ করে থাকে। ডায়াবেটিস কি এবং এটি হলে ওষুধ গ্রহণের মাত্রা সম্পর্কে এখানে কিছু তথ্য দেয়া আছে।


Source and Writer : সৈয়দ জিয়াউল হাবীব রুবন

Sunday, June 5, 2011

Free Health Service by Bandarban youth blood donor group, Bangladesh

প্রকৃতির অপরূপ মহিমামন্ডিত পর্যটন নগরী বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ১৩ ভাষাভাষী পাহাড়ী-বাঙ্গালী অসাম্প্রদায়িক জনগোষ্ঠীর বসবাস। এ এক বিরল দৃষ্টান্ত। সম্প্রীতির বন্ধনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলো ভূস্বর্গ খ্যাত এই বান্দরবান। পর্যটন নগরী হলেও অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছে পার্বত্য জনপদের মানুষজন। জীবন জীবিকার সংগ্রামে এই এলাকার অনেক হতদরিদ্র বঞ্চিত মানুষের জীবনে দুঃখ দুর্দশা্ নিত্য সঙ্গী।
এইসব বিপন্ন মানুষের অসহায় চেহারার দিকে তাকালে মনে প্রশ্ন জাগে এইসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নুন্যতম মানবিকতা কি নেই আমাদের মাঝে? আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা সমাজকে কিছু দিতে চায়, পাল্টে দিতে চায় সমাজের চেহারা। আমরা এমনি কিছু তরুণ মানব সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি পার্বত্য জনপদ বান্দরবানে। মানবতার সেবায় আমরা আছি, আমরা থাকব এই স্লোগানকে কন্ঠে ধারণ করে আমরা বান্দরবানবাসীকে জানান দিই একটি সোনালী সকালের। গড়ে উঠে বান্দরবান ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে প্রথম রক্তদানের সংগঠন- "বান্দরবান ইয়ুথ ব্লাড ডোনার গ্রুপ"
২০০৮ সালের ১লা জুলাই একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করে মানবতার সেবায় নিয়োজিত এই সংগঠনটি। আর ধীরে ধীরে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা ছুটে চলেছি আগামীর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে।
"বান্দরবান ইয়ুথ ব্লাড ডোনার গ্রুপের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাগুলোই হবে আগামীর সাফল্য"

বাস্তবায়িত কিছু কার্যক্রম:
  • বান্দরবান ইয়ুথ ব্লাড ডোনার গ্রুপের উদ্যোগে ইতিমধ্যে ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে বান্দরবান সরকারী কলেজ, বান্দরবান সরকারী মহিলা কলেজ, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করানো হয়েছে। শুধু তাই নয় বান্দরবান পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা কার্যক্রমে সদর হাসপাতাল ও সেনা রিজিওনের সাথে সাথে বান্দরবান ইয়ুথ ব্লাড ডোনার গ্রুপও প্রত্যক্ষ সহযোগীতা প্রদান করে এসেছে। এসব কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় রক্তদানে আগ্রহী রক্তদাতা সংগ্রহের কার্যক্রমও সমান গতিতে চলছে।
  • সংগঠনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত অসহায় রোগীদের প্রায় ১২০০ ব্যাগ রক্ত দান করা হয়েছে।
  • বান্দরবানের বিভিন্ন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যারা বিভিন্ন সময়ে রক্ত দিয়েছেন তাদের মধ্যে ডোনার কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
  • রক্তদাতাদের স্বেচ্ছায় রক্তদানে আগ্রহী করে তুলতে সংগঠনের ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রক্তদাতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
  • স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন রেলি ও সেমিনারের আয়োজনা করা হয়েছে। তার মধ্যে সোয়াইন ফ্লু সচেতনতামূলক রেলি ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ উল্লেখযোগ্য। রেলিতে প্রায় ৩০০ মাস্ক বিতরণ করা হয়।
  • সংগঠনের কার্যক্রম বান্দরবানবাসীর মাঝে তুলে ধরার জন্য ২০০৮ সালের এক বছরের সার্বিক কার্যক্রমের ভিডিও ডকুমেন্টারী প্রকাশ করা হয়েছে।
  • সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০১০ সালের ৩০০টি ক্যালেন্ডার ছাপানো হয়েছে, যা স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের উপহার স্বরূপ বিতরণ করা হচ্ছে।
  • ১৫ই আগস্ট ২০১০ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বান্দরবান প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
  • ১০/০৯/২০১০ ইং তারিখ ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গরীব, প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
  • এতিম শিশুদের নিয়ে হাফেজিয়া এতিমখানায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
  • ১ ডিসেম্বর ২০১০ ইং তারিখ বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গনে বর্ণাঢ্য রেলি, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
For more information browse this website: http://www.bybdg.org/p/blog-page_12.html

Friday, June 3, 2011

সেবা ক্লিনিকে বিনামূল্যে করা হলো ঠোট ও তালু কাটা রোগীদের অস্ত্রপচার

সেবা ক্লিনিকে বিনামূল্যে করা হলো ঠোট ও তালু কাটা রোগীদের অস্ত্রপচার


চাঁপাইনবাবগঞ্জের অসহায় দরিদ্র পোড়া রোগীদের প্লাষ্টিক সার্জারীসহ ঠোট ও তালু কাটা রোগিদের বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও অস্ত্রপচার করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে শহরের সেবা ক্লিনিকের উদ্যেগে চিকিৎসা ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মুক্তারা বেগম। ডাঃ আবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডাঃ সৈয়দ সামসুদ্দিন আহম্মেদ, বিএমএ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সভাপতি ডাঃ আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম রাব্বানী, সেবা ক্লিনিকের পরিচালক ডাঃ ময়েজ উদ্দীন ও ডাঃ আনোয়ার জাহিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবদিক তালেবুন নবী ও সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান মিন্টু প্রমুখ। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি টিম ৫৪ জন ঠোট ও তালু কাটা এবং ৩৭ জন পোড়া রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও অস্ত্রপচার করেন। এসময় ঢাকা টিমের সাথে আসা ডাঃ শামিম কবির সিদ্দিকী, ডাঃ শরিফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম ও আলতাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা প্রতিবছর এরকম চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করার অনুরোধ জানালে ডাঃ সৈয়দ সামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়ে এরকম ক্যাম্প করার ঘোষনা দেন।
Source: http://www.chapainawabganjnews.com

Tuesday, May 17, 2011

Healthcare in Bangladesh: only sterilization and vasectomies are free

by Nozrul Islam

The government does not provide any type of health care and all medical treatments are at the expense of the patient. But the arrival of Western medicine has raised the costs and the vast majority of people struggle to buy even an aspirin.

Dhaka (AsiaNews) - In Bangladesh the only form of free health care at all (or almost) is provided by reproductive health centres, funded by the countries from northern Europe and the United States. Vasectomies and tubal ligament are part of government birth control policy: until a few years ago the state paid people who accompanied women to undergo surgery. And often, when a girl has to undergo an intestinal operation, doctors take this opportunity to sterilize them without their knowledge.

This practice led to a social outcry, but similar structures still exist and the birth rate is declining (1.6% in 2010). Bangladesh is one of the most populous countries in the world (162.2 million people), but is paying a high price for the impressive economic progress and modernization that have exploded over the last decade.

The sudden and massive introduction of Western medicine (allopathic), expensive by Bangladeshi standards, has seriously undermined a health system that provides no government assistance and is based only on traditional medicine. Given the apparent effectiveness of "modern" medicines the use of herbs, ointments and kobiraj (magic practices) have declined, causing an increase in demand and, consequently, costs.

Few people have full health care coverage, mostly government employees, and they go to private hospitals or abroad (usually India, Thailand and Singapore). For the remainder, state hospitals that exist in theory should provide free treatment: instead, as well as being insufficient in number, except for a general visit the patient must pay for prescriptions, food, medical and clinical examinations.

People’s awareness has changed - "this medicine is better and it cures me" - but the earning capacity of the population, very poor on average, has not changed. The rich have access to health care and medicine, while the poorest now know that treatment is available, but they can not do anything, because there is no public health care.

There are increasingly frequent and painful cases: people who suffer very minor injuries or illnesses which in itself would not be nothing, bronchial or intestinal forms that become chronic, wounds that degenerate from a minor infection. Especially in the villages, the poorest first attempt to treat themselves with traditional methods, when these prove ineffective, when it is almost too late they turn to the doctor or hospital.

The missions, the Church and the "sick shelters" provide a minimum form of assistance, covering the medical expenses. However, hospitals have discovered the "package" system; for a certain type of operation they ask a certain sum, but then the total balloons because of additional costs (food, blood transfusions, additional days of hospitalization). These end up doubling the price, forcing the missionaries to make painful choices because they are unable to pay for treatment for all.

The state goes someway in supporting leprosy sufferers, occasional vaccinations against rabies and tetanus, awareness campaigns on nutrition and reproductive health centres.

Source: http://www.asianews.it

Friday, May 13, 2011

অবকাশ ভবন নামে বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে-সমাজকল্যাণমন্ত্রী

ঢাকা রিপোর্ট ডট কম, ঢাকা (১৩ মে):বিভাগীয় শহরসহ অন্যান্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলে ‘‘আবকাশ ভবন’’ নামে বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গলে এ ধরনের একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রবীণ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট ও নিবাসে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় একথা জানান।
তিনি বলেন, বৃদ্ধাশ্রম গুলোতে পারিবারিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এতিম শিশুর থাকার ও বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রবীণ ব্যক্তিদের জটিল রোগের চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। তারা বিভিন্ন হাসপাতাল হতে কমমূল্যে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন।ডা. মোহাম্মদ আয়াজ উদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

বৃদ্ধাশ্রম

জু ল ফি য়া ই স লা ম
অন্ধকার গরাদের জানালার পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধা শেফালী বেগম। এখানে যাঁরা আছেন তাদের বেশিরভাগেরই বয়স আশি, বিরাশি কিংবা ছিয়াশি। লোলচর্ম দেহ, ছানি পড়া চোখ। তবুও পৃথিবীটাকে চেনার ব্যর্থ প্রয়াস। বিগত যৌবনে ফেলে আসা দিনের স্মৃতি, সুখের অলিগলি, স্বামী-সন্তান, নাতি-নাতনিদের থেকে বহুদূরে আজকের এই ঠিকানা।
ছেলে বড় ব্যবসায়ী। দু’হাতে আয় করছে। সাজানো ফ্ল্যাট। কম্পিউটার, রঙিন টিভি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওভেন, মোবাইল, এসি। কয়েকজন চাকর-বাকর।
বউমা রূপ নিয়ে বড় সচেতন। পার্লার থেকে পার্লারে ঘোরাঘুরি। চড়া মেকআপ। রঙ-বেরঙের সালোয়ার-কামিজ। মাঝে মধ্যে জিন্স প্যান্ট। বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি। মা হওয়ার সময় কত কাণ্ড-কারখানা। ছেলে হবে না মেয়ে, তাই নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। প্রতি মাসে পরীক্ষা-রিপোর্ট। নাম নিয়ে বাড়াবাড়ি। ছেলে বলে একটা, তো বউ বলে আরেকটা। অবশেষে নাম রাখা হলো অপ্সরা। যদিও নাতনির গায়ের রঙ শ্যামলা। বউমা বাচ্চাকে বুকের দুধ দেয় না। এতে নাকি ফিগার নষ্ট হয়ে যাবে।
সকাল হতে না হতেই ছেলে-বউমা যার যার কাজে বেরিয়ে পড়ে। ঘরের কাজকর্ম তো দূরে থাক। এক গ্লাস পানি ঢেলেও কেউ খায় না। ভোর বেলা পড়ে পড়ে ঘুম। নামাজ-কালামের বালাই নেই এ ঘরে। সেসব এখন দুঃস্বপ্ন। বুড়ি মা যখন কোরআন পাঠে মনোনিবেশ করেন, তখনই ও-ঘরে এরোবিক্স নিয়ে শুরু হয় লমম্ফঝমম্ফ। বাজনার তালে তালে চলে দাপাদাপি। ওদের মর্নিং ওয়াক করার সময় নেই। সূর্যোদয় কবে দেখেছে ওরা, তা বলতে পারবে না।
মাঝে মধ্যে ছেলে-বউমার মধ্যে ইগোর লড়াই, ঝগড়া, কথা কাটাকাটি। তবে রাতের বিছানাই সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। শুধু বলির পাঁঠা এই বুড়ি মা। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া নাতনি হিন্দি সিরিয়ালে মগ্ন। মাঝে মধ্যে বাইকের পেছনে দামড়া ছেলেটার কোমর জড়িয়ে ধরে ঘুরে বেড়ায়। বাবা-মা ডোন্ট কেয়ার।
ছেলের লাভ ম্যারেজ। বড়লোক বাপের বখা মেয়ে। বহু ছেলে চরিয়ে হাতযশ। অবশেষে, ছেলে মুর্গি। বিয়ের পরেও মুর্গির চৈতন্যোদয় ঘটেনি। সর্বক্ষণ কেলিয়ে থাকে। বউমা সহজে মা হতে চায়নি। এতে সহজেই বিছানার মজা চটকে যায়। বছর তিন-চারেক শরীরের খিদে মেটার পর অতএব, নাতনি।
বুড়ি মা এখন ছেলে-বউমার চক্ষুশূল। কথায় কথায় মুখ ঝামটা-ঝামটি। টুকটাক ফাই-ফরমাস খাটা, নাতনিকে কোলে নেয়া থেকে শুরু করে কোরআন পাঠের সময় এরোবিক্স নিয়ে দাপাদাপি মুখ বুজে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় কী? বেপরোয়া জীবনের গুরুভার, নাতনির হাইহিলের আওয়াজ, ইংরেজি গানের বেপরোয়া মাতম, হিন্দি সিরিয়ালের অহেতুক তর্জন-গর্জন। ছেলে-বউমার ফ্রি স্টাইল।
ভাগ্যিস চোখের দৃষ্টিশক্তি আর কানের শ্রবণশক্তি হ্রাস। ছেলে-বউমার ঝগড়া, নাতনির দাপাদাপি আর হুল্লোড় সবই ধোঁয়াটে।
অবশেষে ছেলে-বউয়ের ডিসিশনে এই বৃদ্ধাশ্রম। অন্ধকার ঘরে গরাদ দেয়া জানালা। বৃদ্ধার কাছে অতীত কেবলই সঞ্চয়। পেছন ফিরে দেখা। অতীত এখন অ্যালবামের পাতায় সাঁটা মরচেধরা ছবির মতো। আছে কেবল চামড়ার ভাঁজ, ফোকলা দাঁত, বাতের ব্যথা, হাতের লাঠি, আর এই অন্ধকার ঘর। সামনের রাস্তায় ফেরিওয়ালার ডাক, রিকশার টুংটাং। কর্মব্যস্ত শহর। রাতে নিঝুম চুপচাপ, পাহারাদারের হুইসেলের শব্দ।
বাইরের চেনা পৃথিবী বড্ড বাস্তব, বড্ড আনরোমান্টিক। জীবন এ মুহূর্তে বড্ড অচেনা। সম্পর্কগুলো এত ঠুনেকা? জীবন গড়িয়ে চলে নতুন ঠিকানায়। পুরনো মানুষ বড্ড মূল্যহীন। ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র গল্প বলার দিনগুলো কত দ্রুত হারিয়ে যায়। বুকের দুধের নেই কোনো মূল্য। বাসস্থান বদলায়। বদলায় মন। তাই আজ শেফালী বেগমের নতুন ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম।
সব উত্তরসূরি কি একই রকম? না, এখনও কেউ কেউ আছেন যারা মায়ের ভালোবাসার সামান্য স্পর্শে আজও মাতোয়ারা। তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয় দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না। বউমা নিজের মেয়ের মতোই সুখ-দুঃখে পাশাপাশি অবস্থান করে। হয়তো কেউ কেউ আছেন, আমাদের সেই ঠিকানা জানা নেই।

বৃদ্ধাশ্রম-নয়..........................

যে মানুষটি নিজের সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে সন্তানদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেন, তিনি হচ্ছেন বাবা। বাবা ছাড়া আর কে এমন ত্যাগ স্বীকার করে! বাবা হচ্ছে সন্তানদের প্রথম ও প্রধান পথপ্রদর্শক।
সন্তান যতোই বড় হোক না কেন বাবা-মায়ের কাছে সে সন্তান। সন্তানদের কাছে বাবা-মা থেকে আর বড় কেউ হতে পারে না। বাবাকে আমরা সবসময় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল রেখে প্রতি বছর একুশ জুন ‘বিশ্ব বাবা দিবস’ পালন করে থাকি। এদিন সন্তানরা বাবাকে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে।
বাবার জন্য ভালোবাসা : আজ যিনি বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন, একদিন তিনি ছিলেন চঞ্চল এক কিশোর। একসময় যিনি একপাড়া থেকে অন্য পাড়ায় ঘুরে বেড়াতেন, আজ তিনি বারান্দায় যেতেও অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। এ সময় অসহায় শিশুর মতো হয়ে পড়েন। তারা তখন চায় ছেলেমেয়েদের সান্নিধ্য। তারা যখন বৃদ্ধ, অসুস্থ ও দুর্বল, তখন অসহায় হয়ে পড়েন। এ সময় তাদের সঙ্গে সহজ-সরল, নম্র ও সুন্দর ব্যবহার করা উচিত। তাদের সেবায় আমাদের যতœবান হওয়া উচিত।
বাবা যেন সন্তানের কোনো কথায় কষ্ট না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের কথাগুলো আমাদের মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত। তাদের মতামতকে সন্তানের অবশ্যই প্রাধান্য দেয়া উচিত। সন্তানরা বাবার শারীরিক ও মানসিক সব সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করুক। চেষ্টা করুক বাবার সঙ্গে সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে। তাদের প্রতি দয়া ও করুণা না করে একটু ভালোবাসার হাত বাড়ালেই তারা খুশি।
একদিন যে সন্তানের জন্য বাবা ছিলেন স্নেহময়, যে সন্তান একটু আঘাত পেলেই বাবা হয়ে উঠতেন চিন্তিত। যে সন্তানকে নিজে হাত দিয়ে খাইয়ে দিয়েছেন, কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছেন এবং কখনই নিজের অসুবিধার কথা সন্তানদের বুঝতে দেননি। আজকাল সমাজে এমন কিছু সন্তান দেখা যায়, যারা কি না বাবার এতোসব আদর-যতেœর কথা ভুলে বাবাকে ঠেলে দেয় অজানা গন্তব্যে। বৃদ্ধ ও অসহায় বলে তাদের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। ঘরের মধ্যে সবার থাকার জায়গা হলেও এখানে বৃদ্ধ বাবার জায়গা হয় না। আসলে একজন বাবা তার সন্তানদের জন্য যা করেন, তা তাদের পক্ষে সারা জীবনেও শোধ করা সম্ভব নয়। বুড়ো বয়সে এসে তারা চায় একটু শান্তি, ভালোবাসা ও স্নেহ। এ বয়সে একটু আদর-যতœ পেলেই তারা খুশি হন। বাবা চান সন্তানরা যেন তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনে।
আমাদের মনে রাখা উচিত আজ যিনি সন্তান, তিনিই আগামী দিনের পিতা। বৃদ্ধ বয়সে এসে বাবারা যেহেতু শিশুদের মতো কোমলমতি হয়ে যায়, তাই তাদের জন্য সুন্দর জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরি করাই সন্তানের কর্তব্য। আর যেন কখনো কোনো বাবার ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তাদের জন্য তৈরি করতে হবে একটা নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী।
কিভাবে পালন করবেন বাবা দিবস :
দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার কারণে সন্তানদের অনেক সময় পরিবারে সময় দেয়া হয় না। এতে মা-বাবা, ভাইবোনদের মধ্যে তৈরি হয় দূরত্ব। বাবা দিবসের এদিন যে যেখানেই থাকুন না কেন, সবাই একসঙ্গে এসে বাবাকে সারপ্রাইজ দিতে পারেন। এদিন আপনি আপনার বাবাকে নানা ধরনের উপহার সামগ্রী দিতে পারেন, যাতে তিনি খুশি হন। মা-বাবা, ভাইবোন মিলে সারাদিন গল্প ও একসঙ্গে খায়া-দাওয়া করে সময় কাটান। বাবাকে কেন্দ্র করে এদিন নানা রকম পিঠা-পায়েস তৈরি করা যেতে পারে। বিকালে পরিবারের সব সদস্য একত্রে শিশুপার্ক, জাদুঘরসহ ঢাকার উন্মুক্ত পার্কগুলো থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন। এতে বাবার মতো বৃদ্ধরা মনের দুর্বলতা কাটিয়ে সতেজ ও ফুরফুরে মেজাজে থাকবে। এ বয়সে বাবারা ছেলেমেয়েদের একটু সান্নিধ্য পেলে খুশিই হয়।
ওবায়দুল হান্নান রিয়াজ


Related Link:

চাঁদপুরে এই প্রথম নির্মিত হলো বৃদ্ধাশ্রম