ঢাকা রিপোর্ট ডট কম, ঢাকা (১৩ মে):বিভাগীয় শহরসহ অন্যান্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলে ‘‘আবকাশ ভবন’’ নামে বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গলে এ ধরনের একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রবীণ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট ও নিবাসে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় একথা জানান।
তিনি বলেন, বৃদ্ধাশ্রম গুলোতে পারিবারিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এতিম শিশুর থাকার ও বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রবীণ ব্যক্তিদের জটিল রোগের চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। তারা বিভিন্ন হাসপাতাল হতে কমমূল্যে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন।ডা. মোহাম্মদ আয়াজ উদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
Source: http://dhakareport.com
বৃদ্ধাশ্রম
জু ল ফি য়া ই স লা ম
অন্ধকার গরাদের জানালার পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধা শেফালী বেগম। এখানে যাঁরা আছেন তাদের বেশিরভাগেরই বয়স আশি, বিরাশি কিংবা ছিয়াশি। লোলচর্ম দেহ, ছানি পড়া চোখ। তবুও পৃথিবীটাকে চেনার ব্যর্থ প্রয়াস। বিগত যৌবনে ফেলে আসা দিনের স্মৃতি, সুখের অলিগলি, স্বামী-সন্তান, নাতি-নাতনিদের থেকে বহুদূরে আজকের এই ঠিকানা।
ছেলে বড় ব্যবসায়ী। দু’হাতে আয় করছে। সাজানো ফ্ল্যাট। কম্পিউটার, রঙিন টিভি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওভেন, মোবাইল, এসি। কয়েকজন চাকর-বাকর।
বউমা রূপ নিয়ে বড় সচেতন। পার্লার থেকে পার্লারে ঘোরাঘুরি। চড়া মেকআপ। রঙ-বেরঙের সালোয়ার-কামিজ। মাঝে মধ্যে জিন্স প্যান্ট। বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি। মা হওয়ার সময় কত কাণ্ড-কারখানা। ছেলে হবে না মেয়ে, তাই নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। প্রতি মাসে পরীক্ষা-রিপোর্ট। নাম নিয়ে বাড়াবাড়ি। ছেলে বলে একটা, তো বউ বলে আরেকটা। অবশেষে নাম রাখা হলো অপ্সরা। যদিও নাতনির গায়ের রঙ শ্যামলা। বউমা বাচ্চাকে বুকের দুধ দেয় না। এতে নাকি ফিগার নষ্ট হয়ে যাবে।
সকাল হতে না হতেই ছেলে-বউমা যার যার কাজে বেরিয়ে পড়ে। ঘরের কাজকর্ম তো দূরে থাক। এক গ্লাস পানি ঢেলেও কেউ খায় না। ভোর বেলা পড়ে পড়ে ঘুম। নামাজ-কালামের বালাই নেই এ ঘরে। সেসব এখন দুঃস্বপ্ন। বুড়ি মা যখন কোরআন পাঠে মনোনিবেশ করেন, তখনই ও-ঘরে এরোবিক্স নিয়ে শুরু হয় লমম্ফঝমম্ফ। বাজনার তালে তালে চলে দাপাদাপি। ওদের মর্নিং ওয়াক করার সময় নেই। সূর্যোদয় কবে দেখেছে ওরা, তা বলতে পারবে না।
মাঝে মধ্যে ছেলে-বউমার মধ্যে ইগোর লড়াই, ঝগড়া, কথা কাটাকাটি। তবে রাতের বিছানাই সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। শুধু বলির পাঁঠা এই বুড়ি মা। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া নাতনি হিন্দি সিরিয়ালে মগ্ন। মাঝে মধ্যে বাইকের পেছনে দামড়া ছেলেটার কোমর জড়িয়ে ধরে ঘুরে বেড়ায়। বাবা-মা ডোন্ট কেয়ার।
ছেলের লাভ ম্যারেজ। বড়লোক বাপের বখা মেয়ে। বহু ছেলে চরিয়ে হাতযশ। অবশেষে, ছেলে মুর্গি। বিয়ের পরেও মুর্গির চৈতন্যোদয় ঘটেনি। সর্বক্ষণ কেলিয়ে থাকে। বউমা সহজে মা হতে চায়নি। এতে সহজেই বিছানার মজা চটকে যায়। বছর তিন-চারেক শরীরের খিদে মেটার পর অতএব, নাতনি।
বুড়ি মা এখন ছেলে-বউমার চক্ষুশূল। কথায় কথায় মুখ ঝামটা-ঝামটি। টুকটাক ফাই-ফরমাস খাটা, নাতনিকে কোলে নেয়া থেকে শুরু করে কোরআন পাঠের সময় এরোবিক্স নিয়ে দাপাদাপি মুখ বুজে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় কী? বেপরোয়া জীবনের গুরুভার, নাতনির হাইহিলের আওয়াজ, ইংরেজি গানের বেপরোয়া মাতম, হিন্দি সিরিয়ালের অহেতুক তর্জন-গর্জন। ছেলে-বউমার ফ্রি স্টাইল।
ভাগ্যিস চোখের দৃষ্টিশক্তি আর কানের শ্রবণশক্তি হ্রাস। ছেলে-বউমার ঝগড়া, নাতনির দাপাদাপি আর হুল্লোড় সবই ধোঁয়াটে।
অবশেষে ছেলে-বউয়ের ডিসিশনে এই বৃদ্ধাশ্রম। অন্ধকার ঘরে গরাদ দেয়া জানালা। বৃদ্ধার কাছে অতীত কেবলই সঞ্চয়। পেছন ফিরে দেখা। অতীত এখন অ্যালবামের পাতায় সাঁটা মরচেধরা ছবির মতো। আছে কেবল চামড়ার ভাঁজ, ফোকলা দাঁত, বাতের ব্যথা, হাতের লাঠি, আর এই অন্ধকার ঘর। সামনের রাস্তায় ফেরিওয়ালার ডাক, রিকশার টুংটাং। কর্মব্যস্ত শহর। রাতে নিঝুম চুপচাপ, পাহারাদারের হুইসেলের শব্দ।
বাইরের চেনা পৃথিবী বড্ড বাস্তব, বড্ড আনরোমান্টিক। জীবন এ মুহূর্তে বড্ড অচেনা। সম্পর্কগুলো এত ঠুনেকা? জীবন গড়িয়ে চলে নতুন ঠিকানায়। পুরনো মানুষ বড্ড মূল্যহীন। ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র গল্প বলার দিনগুলো কত দ্রুত হারিয়ে যায়। বুকের দুধের নেই কোনো মূল্য। বাসস্থান বদলায়। বদলায় মন। তাই আজ শেফালী বেগমের নতুন ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম।
সব উত্তরসূরি কি একই রকম? না, এখনও কেউ কেউ আছেন যারা মায়ের ভালোবাসার সামান্য স্পর্শে আজও মাতোয়ারা। তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয় দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না। বউমা নিজের মেয়ের মতোই সুখ-দুঃখে পাশাপাশি অবস্থান করে। হয়তো কেউ কেউ আছেন, আমাদের সেই ঠিকানা জানা নেই।
ছেলে বড় ব্যবসায়ী। দু’হাতে আয় করছে। সাজানো ফ্ল্যাট। কম্পিউটার, রঙিন টিভি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওভেন, মোবাইল, এসি। কয়েকজন চাকর-বাকর।
বউমা রূপ নিয়ে বড় সচেতন। পার্লার থেকে পার্লারে ঘোরাঘুরি। চড়া মেকআপ। রঙ-বেরঙের সালোয়ার-কামিজ। মাঝে মধ্যে জিন্স প্যান্ট। বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি। মা হওয়ার সময় কত কাণ্ড-কারখানা। ছেলে হবে না মেয়ে, তাই নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। প্রতি মাসে পরীক্ষা-রিপোর্ট। নাম নিয়ে বাড়াবাড়ি। ছেলে বলে একটা, তো বউ বলে আরেকটা। অবশেষে নাম রাখা হলো অপ্সরা। যদিও নাতনির গায়ের রঙ শ্যামলা। বউমা বাচ্চাকে বুকের দুধ দেয় না। এতে নাকি ফিগার নষ্ট হয়ে যাবে।
সকাল হতে না হতেই ছেলে-বউমা যার যার কাজে বেরিয়ে পড়ে। ঘরের কাজকর্ম তো দূরে থাক। এক গ্লাস পানি ঢেলেও কেউ খায় না। ভোর বেলা পড়ে পড়ে ঘুম। নামাজ-কালামের বালাই নেই এ ঘরে। সেসব এখন দুঃস্বপ্ন। বুড়ি মা যখন কোরআন পাঠে মনোনিবেশ করেন, তখনই ও-ঘরে এরোবিক্স নিয়ে শুরু হয় লমম্ফঝমম্ফ। বাজনার তালে তালে চলে দাপাদাপি। ওদের মর্নিং ওয়াক করার সময় নেই। সূর্যোদয় কবে দেখেছে ওরা, তা বলতে পারবে না।
মাঝে মধ্যে ছেলে-বউমার মধ্যে ইগোর লড়াই, ঝগড়া, কথা কাটাকাটি। তবে রাতের বিছানাই সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। শুধু বলির পাঁঠা এই বুড়ি মা। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া নাতনি হিন্দি সিরিয়ালে মগ্ন। মাঝে মধ্যে বাইকের পেছনে দামড়া ছেলেটার কোমর জড়িয়ে ধরে ঘুরে বেড়ায়। বাবা-মা ডোন্ট কেয়ার।
ছেলের লাভ ম্যারেজ। বড়লোক বাপের বখা মেয়ে। বহু ছেলে চরিয়ে হাতযশ। অবশেষে, ছেলে মুর্গি। বিয়ের পরেও মুর্গির চৈতন্যোদয় ঘটেনি। সর্বক্ষণ কেলিয়ে থাকে। বউমা সহজে মা হতে চায়নি। এতে সহজেই বিছানার মজা চটকে যায়। বছর তিন-চারেক শরীরের খিদে মেটার পর অতএব, নাতনি।
বুড়ি মা এখন ছেলে-বউমার চক্ষুশূল। কথায় কথায় মুখ ঝামটা-ঝামটি। টুকটাক ফাই-ফরমাস খাটা, নাতনিকে কোলে নেয়া থেকে শুরু করে কোরআন পাঠের সময় এরোবিক্স নিয়ে দাপাদাপি মুখ বুজে মেনে নেয়া ছাড়া উপায় কী? বেপরোয়া জীবনের গুরুভার, নাতনির হাইহিলের আওয়াজ, ইংরেজি গানের বেপরোয়া মাতম, হিন্দি সিরিয়ালের অহেতুক তর্জন-গর্জন। ছেলে-বউমার ফ্রি স্টাইল।
ভাগ্যিস চোখের দৃষ্টিশক্তি আর কানের শ্রবণশক্তি হ্রাস। ছেলে-বউমার ঝগড়া, নাতনির দাপাদাপি আর হুল্লোড় সবই ধোঁয়াটে।
অবশেষে ছেলে-বউয়ের ডিসিশনে এই বৃদ্ধাশ্রম। অন্ধকার ঘরে গরাদ দেয়া জানালা। বৃদ্ধার কাছে অতীত কেবলই সঞ্চয়। পেছন ফিরে দেখা। অতীত এখন অ্যালবামের পাতায় সাঁটা মরচেধরা ছবির মতো। আছে কেবল চামড়ার ভাঁজ, ফোকলা দাঁত, বাতের ব্যথা, হাতের লাঠি, আর এই অন্ধকার ঘর। সামনের রাস্তায় ফেরিওয়ালার ডাক, রিকশার টুংটাং। কর্মব্যস্ত শহর। রাতে নিঝুম চুপচাপ, পাহারাদারের হুইসেলের শব্দ।
বাইরের চেনা পৃথিবী বড্ড বাস্তব, বড্ড আনরোমান্টিক। জীবন এ মুহূর্তে বড্ড অচেনা। সম্পর্কগুলো এত ঠুনেকা? জীবন গড়িয়ে চলে নতুন ঠিকানায়। পুরনো মানুষ বড্ড মূল্যহীন। ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র গল্প বলার দিনগুলো কত দ্রুত হারিয়ে যায়। বুকের দুধের নেই কোনো মূল্য। বাসস্থান বদলায়। বদলায় মন। তাই আজ শেফালী বেগমের নতুন ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম।
সব উত্তরসূরি কি একই রকম? না, এখনও কেউ কেউ আছেন যারা মায়ের ভালোবাসার সামান্য স্পর্শে আজও মাতোয়ারা। তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয় দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না। বউমা নিজের মেয়ের মতোই সুখ-দুঃখে পাশাপাশি অবস্থান করে। হয়তো কেউ কেউ আছেন, আমাদের সেই ঠিকানা জানা নেই।
Source: http://www.amardeshonline.com
বৃদ্ধাশ্রম-নয়..........................
যে মানুষটি নিজের সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে সন্তানদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেন, তিনি হচ্ছেন বাবা। বাবা ছাড়া আর কে এমন ত্যাগ স্বীকার করে! বাবা হচ্ছে সন্তানদের প্রথম ও প্রধান পথপ্রদর্শক।
সন্তান যতোই বড় হোক না কেন বাবা-মায়ের কাছে সে সন্তান। সন্তানদের কাছে বাবা-মা থেকে আর বড় কেউ হতে পারে না। বাবাকে আমরা সবসময় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল রেখে প্রতি বছর একুশ জুন ‘বিশ্ব বাবা দিবস’ পালন করে থাকি। এদিন সন্তানরা বাবাকে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে।
বাবার জন্য ভালোবাসা : আজ যিনি বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন, একদিন তিনি ছিলেন চঞ্চল এক কিশোর। একসময় যিনি একপাড়া থেকে অন্য পাড়ায় ঘুরে বেড়াতেন, আজ তিনি বারান্দায় যেতেও অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। এ সময় অসহায় শিশুর মতো হয়ে পড়েন। তারা তখন চায় ছেলেমেয়েদের সান্নিধ্য। তারা যখন বৃদ্ধ, অসুস্থ ও দুর্বল, তখন অসহায় হয়ে পড়েন। এ সময় তাদের সঙ্গে সহজ-সরল, নম্র ও সুন্দর ব্যবহার করা উচিত। তাদের সেবায় আমাদের যতœবান হওয়া উচিত।
বাবা যেন সন্তানের কোনো কথায় কষ্ট না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের কথাগুলো আমাদের মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত। তাদের মতামতকে সন্তানের অবশ্যই প্রাধান্য দেয়া উচিত। সন্তানরা বাবার শারীরিক ও মানসিক সব সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করুক। চেষ্টা করুক বাবার সঙ্গে সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে। তাদের প্রতি দয়া ও করুণা না করে একটু ভালোবাসার হাত বাড়ালেই তারা খুশি।
একদিন যে সন্তানের জন্য বাবা ছিলেন স্নেহময়, যে সন্তান একটু আঘাত পেলেই বাবা হয়ে উঠতেন চিন্তিত। যে সন্তানকে নিজে হাত দিয়ে খাইয়ে দিয়েছেন, কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছেন এবং কখনই নিজের অসুবিধার কথা সন্তানদের বুঝতে দেননি। আজকাল সমাজে এমন কিছু সন্তান দেখা যায়, যারা কি না বাবার এতোসব আদর-যতেœর কথা ভুলে বাবাকে ঠেলে দেয় অজানা গন্তব্যে। বৃদ্ধ ও অসহায় বলে তাদের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। ঘরের মধ্যে সবার থাকার জায়গা হলেও এখানে বৃদ্ধ বাবার জায়গা হয় না। আসলে একজন বাবা তার সন্তানদের জন্য যা করেন, তা তাদের পক্ষে সারা জীবনেও শোধ করা সম্ভব নয়। বুড়ো বয়সে এসে তারা চায় একটু শান্তি, ভালোবাসা ও স্নেহ। এ বয়সে একটু আদর-যতœ পেলেই তারা খুশি হন। বাবা চান সন্তানরা যেন তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনে।
আমাদের মনে রাখা উচিত আজ যিনি সন্তান, তিনিই আগামী দিনের পিতা। বৃদ্ধ বয়সে এসে বাবারা যেহেতু শিশুদের মতো কোমলমতি হয়ে যায়, তাই তাদের জন্য সুন্দর জীবনযাত্রার পরিবেশ তৈরি করাই সন্তানের কর্তব্য। আর যেন কখনো কোনো বাবার ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তাদের জন্য তৈরি করতে হবে একটা নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী।
কিভাবে পালন করবেন বাবা দিবস :
দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার কারণে সন্তানদের অনেক সময় পরিবারে সময় দেয়া হয় না। এতে মা-বাবা, ভাইবোনদের মধ্যে তৈরি হয় দূরত্ব। বাবা দিবসের এদিন যে যেখানেই থাকুন না কেন, সবাই একসঙ্গে এসে বাবাকে সারপ্রাইজ দিতে পারেন। এদিন আপনি আপনার বাবাকে নানা ধরনের উপহার সামগ্রী দিতে পারেন, যাতে তিনি খুশি হন। মা-বাবা, ভাইবোন মিলে সারাদিন গল্প ও একসঙ্গে খায়া-দাওয়া করে সময় কাটান। বাবাকে কেন্দ্র করে এদিন নানা রকম পিঠা-পায়েস তৈরি করা যেতে পারে। বিকালে পরিবারের সব সদস্য একত্রে শিশুপার্ক, জাদুঘরসহ ঢাকার উন্মুক্ত পার্কগুলো থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন। এতে বাবার মতো বৃদ্ধরা মনের দুর্বলতা কাটিয়ে সতেজ ও ফুরফুরে মেজাজে থাকবে। এ বয়সে বাবারা ছেলেমেয়েদের একটু সান্নিধ্য পেলে খুশিই হয়।
ওবায়দুল হান্নান রিয়াজ
Related Link:
No comments:
Post a Comment