Wednesday, January 19, 2011

ঠোঁট তালু নাক ও গাল কাটা শিশুদের অস্ত্রোপচারে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক দল


দেশের ঠোঁট কাটা, তালু কাটা, নাক ও গাল কাটা শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে সিঙ্গাপুর থেকে এক দল তরুণ চিকিৎসক এসেছেন বাংলাদেশে। তারা শিশুদের অস্ত্রোপচার করে বিকৃত চেহারা ঠিক করে দেবেন। এজন্য কোন ফি লাগবে না। মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে কেয়ার হাসপাতালে সোমবার (তারিখ: ১৭-০১-২০১১)শুরু হয়েছে অপারেশন স্মাইল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ফ্রেন্ডশিপ মিশনের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হচ্ছে বিনামূল্যের এ চিকিৎসা সেবা। এবার বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাছাই করা ১০০ শিশুকে অস্ত্রোপচার করা হবে। এ বিষয়ে কেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অপারেশন স্মাইল বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইদ সিদ্দিকী, কেয়ার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক পারভিন ফাতেমা, অপারেশন স্মাইল- সিঙ্গাপুরের ডা. ভিনসেন্ট ইয়া, অপারেশন স্মাইল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বিনা ফাইজ প্রমুখ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
Source: Daily Ittefaq

Sunday, January 16, 2011

স্বাস্থ্য অর্থায়ন: সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে বড় বাধা ফি

স্বাস্থ্য অর্থায়ন: সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে বড় বাধা ফি

ফরিদা আখতার | তারিখ: ১৬-০১-২০১১

স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে যেন মানুষের কষ্ট না হয় এবং সব মানুষ যেন স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারে, তার জন্য ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব সদস্যদেশ অঙ্গীকার করেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ রেজুলেশনের নম্বর হচ্ছে ৫৮ দশমিক ৩৩। এই রেজুলেশনের মূল কথা হচ্ছে, অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা করতে গিয়ে রোগীর কাছ থেকেই অর্থ নিয়ে চিকিৎসা করা অমানবিক হয়ে দাঁড়ায়। তাই স্বাস্থ্য অর্থায়নের নতুন পথ খুঁজতে হবে। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, স্বাস্থ্যসেবা পেতে গিয়ে রোগীর কষ্ট না হওয়া এবং সবাই স্বাস্থ্যসেবা পাবে কি না, তা এখনো অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন। চিকিৎসক, নার্স, ওষুধ ও হাসপাতাল—সবকিছুতেই টাকার প্রয়োজন আছে। এভাবে খরচের একটি হিসাব করে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী এই খরচের পরিমাণ বছরে ৫ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে, এই খরচের পরিমাণ ভবিষ্যতে বাড়বে বৈ কমবে না। অন্যদিকে চিকিৎসার জন্য নিত্যনতুন ওষুধ ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। বলা বাহুল্য, উন্নত দেশগুলো স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু খরচ বেশি করতে পারে, আর গরিব দেশ তা পারে না। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক অ্যান্ড কো-অপারেশনভুক্ত (ওইসিডি) ধনী দেশের মাথাপিছু স্বাস্থ্যসেবা খরচ বছরে চার হাজার ডলার (দুই লাখ ৮৪ হাজার টাকা) ও থাইল্যান্ডে মাত্র ১৩৬ ডলার (নয় লাখ ৬৫৬ টাকা)। ধনী ও উন্নয়নশীল দেশের পার্থক্য এত বিশাল। বাংলাদেশের কথা এখন না-ই তুললাম।
প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাস্থ্য অর্থায়ন আসলে কী? এটা কি শুধু স্বাস্থ্যসেবার জন্য অর্থ বরাদ্দের ব্যাপার, নাকি কে এই অর্থ দেবে, কেমন করে দেবে ইত্যাদি বিষয় ঠিক করা? সাধারণত রাজস্ব খাত থেকে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা সব সময় পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া, এই নীতিতে বিশ্বাস করলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকা বাঞ্ছনীয়। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতি পদে সেবার বিনিময়ে মূল্য ধার্য করা হচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ইউজার ফি। অর্থাৎ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবহারকারী সরাসরি নির্ধারিত খরচ বহন করবে। এক হিসেবে স্বাস্থ্য পণ্য হিসেবে বিক্রয় করার মতো ব্যাপার। টাকা দিয়ে কিনতে পারলে সেবা পাবে, নইলে পাবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে পরিষ্কার ভাষায় বলা হয়েছে, ইউজার ফি বা সরাসরি দাম (ডিরেক্ট পেমেন্ট) দিয়ে সেবা কেনা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যখন কোনো রোগী অসুস্থতায় ভুগছে, তখন তাকে প্রতিটি সেবা পাওয়ার জন্য যদি দাম দিতে হয়, তাহলে সে যতটুকু দাম দিতে সক্ষম, শুধু ততটুকুই নেবে। ফলে চিকিৎসা অসম্পূর্ণ থাকতে পারে এবং সেবা নেওয়া বিলম্বিত হতে পারে। সরাসরি দাম দেওয়ার নিয়মটি সরকার করতে পারে, কিংবা কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও করতে পারে। বাংলাদেশে উভয় ঘটনাই ঘটছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বের ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন (১৩০ কোটি) মানুষ কোনো প্রকার স্বাস্থ্য গ্রহণ করছে না, কারণ তাদের সেবা কেনার সামর্থ্য নেই। অর্থাৎ বিনা চিকিৎসায় রয়েছে, একসময় হয়তো মারাও যাচ্ছে। আবার চিকিৎসা না নিতে পারার কারণে অসুস্থতা বেড়ে যাচ্ছে এবং তারা কাজও করতে পারছে না, আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের দরিদ্রতা আরও বাড়ছে।
বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যসেবার খরচ বহন করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, খাদ্য, শিক্ষা, বাসস্থান ও অন্যান্য জরুরি খরচ মেটানোর পর মোট আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় খরচ হয়ে যায়। কিছু কিছু দেশে মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ প্রতিবছর চিকিৎসাসেবার খরচ বহন করার কারণে মারাত্মক আর্থিক সংকটের শিকার হয় এবং ৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যের খাতায় নতুন করে যুক্ত হয়। কেনিয়া ও সেনেগালের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এক বছরে এক লাখ পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে চিকিৎসার খরচ মেটানোর কারণে। দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই লাখ ৯০ হাজার পরিবার একই কারণে এ অবস্থার শিকার হয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ১৫ কোটি মানুষ মারাত্মক আর্থিক সংকটের অবস্থায় পড়ে যায়, আর প্রায় ১০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায় শুধু স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অর্থায়নের নিয়মের কারণে। এমন অবস্থার সৃষ্টি হওয়া কোনোমতেই কাম্য নয়।
স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জন্য সরাসরি মূল্য দেওয়া বা ইউজার ফির বিষয়টি শুধু দামি চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে তা ঘটছে এমন নয়, বরং অল্প অল্প করে বারবার খরচ করতে গিয়েও মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি, কোনো পরিবারে শুধু ১০০ টাকার জন্য বিরাট সমস্যা হতে পারে, কারও বেলায় ১০ হাজার টাকা, কিংবা আরও বেশি টাকা দিতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই চিকিৎসা খরচ তার অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে ইউজার ফির যে হার নির্ধারণ করেছে, সে অনুযায়ী রোগী ভর্তির টিকিট থেকে শুরু করে রোগ অনুযায়ী নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে প্রথমেই হাজার টাকা খসে পড়বে। কোনো গরিব মানুষের পক্ষে একবারে চিকিৎসার জন্য এত টাকা খরচ করা সম্ভব নয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় থেকে অর্ধেক চিকিৎসা করে প্রায় আট-দশ হাজার টাকা খরচ করে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে, কারণ ইউজার ফির নিয়ম অনুযায়ী তাদের পক্ষে চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব নয়। এই অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে তারা এরই মধ্যে গরু কিংবা ছাগল বিক্রি করে ফেলেছে।
এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে যারা চিকিৎসা খরচ বহন করতে আর্থিকভাবে সক্ষম, তাদের কোনো সমস্যা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা দিতে পারে, তাদের অহেতুক নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে খরচ করানো হয়, অন্যদিকে যাদের সামর্থ্য নেই, তাদের চিকিৎসাই হয় না। এটা চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করছে।
বিশ্বের অনেক দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য অর্থায়ন নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। চীন সরকার ১৯৭৮ সালে বাণিজ্যিক স্বাস্থ্যসেবার ঘোষণা দিয়েছিল, যাতে সরাসরি মূল্য দেওয়ার পরিমাণ ১৯৮০ সালে ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০০০ সালে ৬০ শতাংশ হয়ে গিয়েছিল, যার কারণে জনগণের একটি বড় অংশ আর্থিক সংকটের শিকার হয়েছিল। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁদের খরচ তুলতে গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার চেয়ে ওষুধ লিখে দেওয়ার দিকে বেশি মনোযোগ দিতেন, যার কারণে স্বাস্থ্যসেবার মান খুব কমে গিয়েছিল। চীন সরকার ২০০৯ সালে ইউজার ফি নেওয়ার পরিবর্তে স্বাস্থ্য বিমার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে চীনের শতভাগ মানুষকে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় এনে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তেমনি যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৯ সালের মধ্যে বিমাবিহীন তিন কোটি ২০ লাখ মানুষকে বিমার আওতায় আনা হবে। বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলো গরিব ও নিম্নবিত্তদের বিমার সেবা দিতে আস্বীকার করতে পারবে না।
স্বাস্থ্যসেবার জন্য অর্থায়নের চিন্তাভাবনা জরুরি বিষয়, কিন্তু এর দায় কার ওপর চাপানো হচ্ছে, সেটাই আসল প্রশ্ন। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৫ সালে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ের জন্য সব মানুষকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে কোনো মানুষ যেন আর্থিক সংকটে না পড়ে, তার দিকে নজর রাখতে হবে। বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অর্থায়ন করতে গিয়ে ইউজার ফি নেওয়ার মতো ব্যবস্থা করলে এ দুই উদ্দেশ্যের একটিও সফল হবে না।
স্বাস্থ্য অর্থায়নের জন্য সরকারকে রাজস্ব খাতের পাশাপাশি ট্যাক্স, বিমা কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে।
ফরিদা আখতার: নারীনেত্রী, উন্নয়নকর্মী।


Friday, January 14, 2011

মোবাইল ফোনে সরকারী হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা

মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি সরকারী হাসপাতালে (মোট ৪৮২টি হাসপাতাল) মোবাইল ফোনে ২০০৯ সালের মে মাস থেকে স্বাস্থ্য সেবা চালু আছে। এ সব মোবাইল ফোনের নাম্বার স্থানীয় পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের ওয়েব সাইটেও (www.dghs.gov.bd) দেয়া হয়েছে। ২৪ ঘন্টা ব্যাপি কোন না কোন চিকিৎসক এই মোবাইল ফোনের কল গ্রহন করেন। স্থানীয় জনগন এসব মোবাইলে ফোন করে হাসপাতালে না এসেই বিনা মূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারেন। উক্ত কার্যক্রমটি স^র্বাত্মকভাবে চালু রাখা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে যাতে সকল সময় ব্যবস্থাটি চালু থাকে ও কল গ্রহনকারী জন সাধারনের সাথে ভালো ব্যবহার করা হয় সে জন্য তদারকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। কর্মসূচীটি এ২ আই এর কুইক উইন তালিকা ভুক্ত।

• প্রতিটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে আসা জনগন যদি সেবা না পান সে বিষয়ে অভিযোগ জানাতে বা সেবার মান বাড়ানোর পরামর্শ দিতে এসএমএস ভিত্তিক কমপ্লেকা্র ইন/সাজেশন বক্স স্থাপন করা হয়েছে। কিভাবে এসএমএস পাঠাতে হবে তা বর্ননা করে প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়ালে সাইন বোর্ড লাগানো আছে। অভিযোগ বা পরামর্শ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেন্দ্রে পৌছে এবং সেখান থেকে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ হতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরিত হয়। উক্ত কর্মসূচীটি ২০১১-১২অর্থ বছরেই বাস্তবায়িত হয়েছে।

For Government Health service mobile no click here:



Wednesday, January 5, 2011

স্বাস্থ্য সেবায় হামদর্দ

স্বাস্থ্য সেবায় হামদর্দ







মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তার একজন পরিচর্যাকারী বা সঙ্গীর খুব দরকার হয়৷ দরকার হয় সেবা ও পথ্য৷ ভাব অর্থে এ উপাদানগুলোও একজন রোগীর সঙ্গী৷

পারসিয়ান শব্দ হামদর্দ-এর বাংলা অর্থ ব্য থার সঙ্গী বা উপশমকারী৷ অর্থাত্‍ পথ্য হোক বা মানুষ হোক যে অসুস্থ মানুষের সঙ্গে থেকে তার সেবা করে৷ ১৯০৬ সালে হাকিম আব্দুল মজিদ দিলস্নীতে প্রথম যখন হামদর্দ প্রতিষ্ঠা করেন তখন তার উদ্দেশ্যও ছিল অসু্স্থ মানুষের সেবার জন্য কাজ করা৷ সেই মহত্‍ উদ্দেশ্যের পাশাপাশি তার আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল- প্রাচ্যের প্রাকৃতিক ওষুধ সম্পদকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করা৷
একটা সময় ছিল যখন মানুষ তার শরীরের নানাবিধ রোগের চিকিত্‍সার জন্য প্রাকৃতিক ওষুধি গাছগাছালির ওপরই নির্ভর করত৷ পরবর্তীতে সিনথেটিক উপায়ে ওষুধ উত্‍পাদনের পন্থা আবিষ্কার হয় এবং বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি সিনথেটিক ওষুধ উত্‍পাদনে গেলেও হামদর্দ প্রকৃতি থেকে গৃহীত ওষুধি গাছের নির্যাস থেকেই গবেষণার মাধ্যমে আধুনিক মানসম্পন্ন ওষুধ প্রস্তুত করে রোগীর সেবা নিশ্চিত করে আসছে৷ কারণ, ইউনানি পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক ভেষজ থেকে উত্‍পাদিত ওষুধ সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত৷ ওষুধের উচ্চতর মান ধরে রাখার লৰ্যে হামদর্দ তাদের ওষুধ প্রস্তুতের জন্য আধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, দৰ লোকবল এবং প্রাকৃতিক কাঁচামাল ব্যবহার করে আসছে৷ এজন্য তারা কাঁচামাল সংগ্রহ করতে দেশেই উত্‍পাদিত গাছগাছালি ব্যবহার করে, বিদেশ থেকে কোনো কাঁচামাল তাদেরকে আমদানি করতে হয় না৷
যেহেতু ভেষজ বা আয়ুর্বেদীয় পথ্য সরাসরি ওষুধি গাছ, ফল, ফুল, পাতা, নির্যাস থেকে তৈরি হয় এবং অনেকেরই ধারণা থাকে যে, অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদীয় কিংবা ভেষজ ওষুধ প্রস্তুত হয়ে থাকে৷ কিন্তু হামদর্দ সে ধারণা ভেঙে দিয়েছে৷ সমপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মেশিন দ্বারা কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ প্রস্তুতকরণের জন্য হামদর্দের রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি৷ মেঘনাঘাটের পাশে অবস্থিত হামদর্দের এই ল্যাবরেটরিতে গিয়ে দেখা যায় কম্পিউটারাইজড এসব মেশিনারিজের দ্বারা অত্যনত্ম সূক্ষ্ম মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে হামদর্দের পথ্য সামগ্রি৷
বর্তমানে বাংলাদেশে হামদর্দের আধুনিক, স্বয়ংসম্পূর্ণ যন্ত্রপাতিসম্পন্ন ওষুধ কারখানা রয়েছে৷ যার মাধ্যমে হামদর্দ তৈরি ও বাজারজাতকরণ করছে প্রায় ৩০০ ইউনানি ওষুধ৷ এবং চিকিত্‍সকের চিকিত্‍সাপত্র অনুযায়ী বিক্রি ছাড়াও ক্রেতাদের কাছে অতি পরিচিতি লাভ করা ওষুধসমূহ ক্রেতারা হামদর্দের বিভিন্ন বিক্রয় কেন্দ্র থেকে নাম ধরে কিনে থাকেন৷ স্বয়ংসম্পূর্ণ ওষুধ কোম্পানির পাশাপাশি হামদর্দ বাংলাদেশ মেঘনাঘাটের নিকটবর্তী জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজের পাশেই ১০০ বিঘা জায়গার ওপর একটি প্রাকৃতিক ওষুধ গবেষণাগার গড়ে তোলার কাজ করছে৷ নিজস্ব জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার কাজও চলছে পুরোদমে৷ চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টস এলাকায় ৩০০ একরের একটি স্থান নির্ধারণ করেছে ওষুধি গাছের আবাদের জন্য৷ লৰ্য রয়েছে এই স্থানটিতে উত্‍পাদিত ওষুধি গাছ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করবে৷
হামদর্দ একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি ইনস্টিটিউশন, যা দেশ ও আনত্মর্জাতিক জনগণের সেবায় নিয়োজিত৷ এর অভ্যনত্মরীণ লভ্যাংশ হামদর্দ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জাতীয় এবং আনত্মর্জাতিক মানবতার স্বার্থে খরচ হয়৷ হামদর্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে৷ ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যায় ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি তারা অপুষ্টি দূরীকরণ কর্মকা-, অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে সেবা নিশ্চিতকরণ, বিভিন্ন পৰাঘাতগ্রসত্ম রোগীদের মনোবল বৃদ্ধিকরণ ও তাদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে হামদর্দ ফাউন্ডেশন৷ ইউনানি মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল নামে বগুড়াতে হামদর্দ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীদের ইউনানি চিকিত্‍সায় বৃত্তিসহ উচ্চশিৰা প্রদান করা হচ্ছে৷ এর পাশাপাশি ফাউন্ডেশনটি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, চ্যারিটেবল ইনস্টিটিউশন, স্কুল, কলেজ, এতিমখানা, বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, অতি দরিদ্র মানুষের মাঝে রিকসা-ভ্যান বিতরণ, প্রাপ্ত বয়স্ক দরিদ্র ছেলেমেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা ইত্যাদি কাজ করে আসছে৷ শিৰার বিকাশে কেবল নিজেদের প্রতিষ্ঠানই নয়, শীঘ্রই হামদর্দ ফাউন্ডেশন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য শহীদ হাকিম মোহাম্মদ সৈয়দ মেমোরিয়াল স্কলারশিপ প্রজেক্ট বৃত্তি প্রদান করবে এমন পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে৷
বাংলাদেশ জুড়ে ৬টি বিভাগীয় অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত মোট ৯১টি কিনিক ও বিক্রয় কেন্দ্রে বিভিন্ন রোগের পরামর্শ, পরীৰা ও সেবা বিনামূল্যে দিয়ে থাকে হামদর্দ৷ সেখানে রোগীকে কেবলমাত্র ওষুধের মূল্য দিতে হয়৷ আর যাদের ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই তাদেরকে বিনামূল্যে ওষুধ দিয়ে চিকিত্‍সা নিশ্চিত করে থাকে হামদর্দ৷

হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশ
হামদর্দ ভবন
ঢাকা-১২০৫, টেলিফোন: ৮৮০-২৯৬৬৫৯৬৫-৬৬, ৮৬২৫১৯৪, ৮৬২৭০০৩, ৯৬৭১৬৬৫, ৯৬৭২৩১২
ফ্যাক্য : ৮৮০-২৮৬১৬৯৫৮, ই-মেইল: hamdard@bdmail.net, hamdrdbd@bdmail.net,
ওয়েব : www.hamdardbd.com

শ্রীপুর দাতব্য চিকিৎসালয়

ভাংনাহাটি নিবাসী জালাল উদ্দিন আকন্দ এম এস সি শ্রীপুর দার্তব্য চিকিৎসালয় নামে একটি কেন্দ্র স্থাপন করেন। উক্ত চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য জমিদান করিয়াছেন, শ্রীপুর নিবাসী জনাব নুর মোহাম্মদ ফকির। প্রতি শুক্রবারে রোগীদিগকে বিনামুল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়। এবং ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়। এই চিকিৎসা কেন্দ্রে একটি পরিচালনা পরিষদ আছে। উক্ত পরিষদের সদস্য হইলো-

১। জনাব হুমায়ুন কবির সরকার।

২। মোঃ আবদুল কাদির

৩। কামরুজ্জামান আকন্দ।

পশু হাসপাতাল ঃ ১৯৪০সালে গৃহ পালিত পশু পাখীর জন্য তৎকালীন প্রাদেশিক গর্ভনর মি: ডগলাসের নামে ডগলাস পশু হাসপাতাল নামে একটি পশু হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন নবাব খাজা সাহাবুুদ্দিন উক্ত মিটিং এর সভাপতিত্ব করেন তৎকালীন বঙ্গপ্র্রেদশেল মন্ত্রী আরপি সিং উক্ত হাসপাতালে প্রথম চিকিৎসক ছিলেন। মি. আর বি দত্ত ইহা ১৯৮৮ সালে আধুনিক পশু হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। বর্তমান পশু চিকিৎসক জনাব মুছাদ্দিকুর রহমান ও পশু পালন অফিসার জনাব আমজাদ হোসেন।

Source: www.sreepur.net

যমুনার চরাঞ্চলে ভাসমান হাসপাতাল


সিরাজগঞ্জ ব্যুরো :

'মনে করছিলাম, আমার এই চোখডা কোনদিন ভাল অইবোনা। মেলাবার চেষ্টা করছি, টাউনের হাসপাতালে যাইয়্যা চিকিৎসা লুমু। হে চিকিৎসা ভাগ্যে অয়নাই। এহানে আইস্যা চোখডা ভাল অইলো। এহন চোহে দেইখপার পারছি।' কথাগুলো বললেন সিরাজগঞ্জ জেলার দুর্গম চরাঞ্চলের কাওয়াকোলা ইউনিয়নের যমুনা নদীর দোগাছী চরের আলমগীর ও দুলহার চরের রহিমন। এধরনের কথা শুধু এরাই বলেনি। মহর আলী ও সারিয়াকান্দি এলাকা থেকে আগত ১২ বছরে তানজিলা এই হাসপাতাল থেকে যে এত বড় উপকৃত হয়েছে এ বিষয়টি তাদের হৃদয়ে চিরদিন গেঁথে থাকবে। তানজিলার মুখ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। এখানে তাকে প্লাষ্ট্রিক সার্জারী করে তাকে ভাল করা হয়। চরাঞ্চলের অবহেলিত মানুষের দুর্দশা দীর্ঘদিন থেকে। কোথাও নেই চিকিৎসার ব্যবস্থা। হাতুড়ে ডাক্তার আর কবিরাজদের উপর ভরসা করে বেঁচে থাকার পর অবশেষে তাদের ভাগ্যে জুটেছে আধুনিক চিকিৎসা। এ যেন সোনায় সোহাগা।
এ্যামিরাত ফ্রেন্ডশীপ নামের একটি ভাসমান হাসপাতাল গত ২০ জানুয়ারি থেকে এই চরাঞ্চলে তাদের চিকিৎসা সেবা শুরু করেছে। চরাঞ্চলের হতদরিদ্রদের অত্যাধুনিক দন্তচিকিৎসা ও চক্ষু চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন থেকে চারশত রোগী এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই হাসপাতালটি সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসাসুবিধা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করবে। কথা হয় হাসপাতালের কমান্ডিং অফিসার অব. লে. আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে। জরুরি বিভাগসহ আটটি শয্যা রয়েছে। শুধুমাত্র চরাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদানের সঙ্গে নতুন আঙ্গিকে এই হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছে। সুদুর নেদারল্যান্ডের একজন মানবসেবী ডেন্টাল সার্জন ডা. ওলফ্রেড এর সহযোািগতায় এই হাসপাতালে বিদেশী অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করে ডেন্টাল বিভাগটি সজ্জিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কম্পিউটারাইজড চক্ষু চিকিৎসা ইউনিট চালু করা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার বিভাগও গড়ে তোলা হয়েছে। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ভাইজার ডা. আব্দুল কাদের জানান, ঢাকার জনকল্যানমুখী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশীপ এসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক রুণা খানের নেতৃত্বে এই সংস্থার কর্মকর্তারা উদ্যেগী হয়ে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় বঞ্চিত চরাঞ্চলরবাসীদের জন্য এমিরাত এয়ার লাইন্স-এর আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এমিরাত ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালটি ২০০৮ সালে তৈরি করেন। ২০০৮ সালে ২১ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালটি চরাঞ্চলবাসীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য চালু করা হয়। সেবারব্রত নিয়েই এই হাসপাতালের সকল দায়ভার ফ্রেন্ডশীপ এসোসিয়েশন ঢাকা বহন করছে। চরাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুদের চিকিৎসা, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ বিপুলভাবে সমাদৃত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারশত রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ডেন্টাল, চক্ষু সার্জন ছাড়াও শিশু বিশেষজ্ঞ, অর্থপেডিক সার্জন ছাড়াও আরও চারজন চিকিৎসক সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করছেন। এই হাসপাতালে এক্সরে, রক্ত, মূত্র পরীক্ষাসহ অত্যাধুনিক ল্যাবরেটেরি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে অগি্নদগ্ধ রোগীর সার্জারী, একশিরা ও তার অপারেশন, টিউমার অপারেশনসহ ছোটখাট অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালে সব মিলিয়ে ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে যাদের বেতন ভাতাসহ অনান্য খরচ বাবদ প্রতিমাসে ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন হয়। যা ফ্রেন্ডশীপ এসোসিয়েশন সকল ব্যবস্থা করছে। দূর্গম চরাঞ্চল থেকে আসা সুরাইয়া খাতুন, বাদল হোসেন, সাহাদৎ হোসেন, আনোয়ার শেখ জানান, তারা এই ভাসমান হাসপাতাল কাছে পেয়ে আমরা অত্যান্ত আনন্দিত। এধরণের হাসপাতাল স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা করলে চরাঞ্চেলের বাসিন্দারা উপকৃত হবে। স্থানীয় কাওয়াকোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাদৎ হোসেন ঠান্ডু, ইউপি সদস্য বাদল মন্ডল জানান, চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ সারা বছরই সরকারি চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে। ভাসমানইে হাসপাতালটি অনেক দরিদ্র মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্যে করছে। হাসপাতালটি যে কত বড় উপকার করেছে বিষয়টি আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা।
Source:
৫ জানুয়ারি ২০১১

A Unilever-sponsored hospital ship is bringing health care to people.

With only 20 doctors for every 100 000 people, many Bangladeshis have little access to medical treatment. In the remote delta regions of Jamuna and Brahmaputra, however, a Unilever-sponsored hospital ship is bringing health care to people.

Floating hospital

Floating hospital

Aklima has one of the biggest smiles in her class, but she wasn't always so cheerful. Born with a cleft lip, Aklima used to feel self-conscious and shy and her classmates would make fun of her. Her parents considered it a curse.

That was before the Lifebuoy Friendship Hospital pulled up on her remote stretch of the River Brahmaputra. The hospital began life an oil tanker. With an initial donation of $135 000, the Friendship Association, a local charity, was able to convert the ship into a modern health clinic.

The boat differs from most conventional hospitals not just because it is afloat but also because it goes to the patients rather than the other way round. For the thousands of poor Bangladeshis, like Aklima, who live in the country's flood-prone islands, Lifebuoy's free treatment and medicine are usually the only healthcare they can get.

Essential services

The Lifebuoy Friendship Hospital's team of two doctors and 14 medical staff, along with volunteer doctors from overseas, provide everything from basic healthcare and immunisations to minor surgery. During 2007 they carried out 1 425 operations, of which 880 were to restore or preserve people's eyesight. More than 3 000 patients received dental care, and 600 had dental surgery. In total, 52 000 people received health care treatment and advice on board in 2007.

Aklima is one of over 275 000 people to have been helped by the Unilever-sponsored hospital ship since it set sail in 2001. "None of my friends call me 'cleft lip' anymore after my operation on the Lifebuoy Friendship Hospital," she beams.

Improving hygiene

Hygiene is a key issue in developing countries such as Bangladesh, and one of Unilever's priorities is to help improve hygiene practices. The ready availability and use of soap has an immediate impact in stopping the spread of germs and preventing disease. The Lifebuoy Friendship Hospital is branded with the name and colours of Lifebuoy soap to help reinforce the link between hygiene and health and to emphasise our commitment to people's health through our products. Leaflets providing advice on basic hygiene are given out along with free samples of soap, thus spreading the health and hygiene message as far as possible.

Pepsodent Dentibus

Oral hygiene is also important and the success of our Lifebuoy Friendship Hospital inspired the Unilever 'Dentibus', which has been running since 2004. Sponsored by our Pepsodent toothpaste brand, the 'Dentibus' is a modified bus complete with modern dental check-up facilities. Its passengers are professional dentists who visit schools and neighbourhoods to provide free check-ups.

Dentibus visits are announced in advance so that local residents can set aside time. Visits to schools are usually supported by various team games for the children so that health messages are delivered in a fun way. The dentists also hand out booklets on oral hygiene.

The campaign has reached an average 200 000 people a year. Pepsodent's Brand Manager, Risalat Siddique, says: "Dentibus sustains our vision of spreading healthy smiles across Bangladesh.

Source: http://www.unilever.com

চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করল দেশের প্রথম মেডিসিন ব্যাংক

মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে একটি অনন্য ধারণা থেকে দেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করল রেড ক্রিসেন্ট মেডিসিন ব্যাংক। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস ছালামের প্রচেষ্টায় এই মেডিসিন ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। চট্টগ্রামের যুব সদস্যদের আগ্রহ নিয়ে দেশের প্রথম মেডিসিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হন তিনি। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ডা. এমএস আকবর এমপি সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রথম মেডিসিন ব্যাংক ‘রেড ক্রিসেন্ট মেডিসিন ব্যাংকে’র উদ্বোধন করেন। এই মেডিসিন ব্যাংকের মাধ্যমে অসহায়, দুস্থ, হতদরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহ করা সম্ভব হবে, যা দিয়ে নিজের প্রয়োজন মেটাতে পারবে।

যেভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হয়
মেডিসিন ব্যাংক তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে মূলত স্কুল-কলেজ এবং সংগঠনভিত্তিক। প্রাথমিক পর্যায়ে স্কুল-কলেজের যুব সদস্যদের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের মাঝে মেডিসিন ব্যাংকের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিয়ে একটি নির্দিষ্ট তারিখে ওষুধগুলো সংগ্রহ করা হয়। মেডিসিন ব্যাংকে যেসব ওষুধ সংগ্রহ করা হবে তা হলো—যেসব ওষুধের মেয়াদ আছে অথচ অব্যবহৃত হিসেবে বাসায় পরে আছে এরকম প্রায় প্রতিটি বাসায় রয়েছে যা পরবর্তীতে ফেলে দেয় অথবা নষ্ট করে ফেলি। অথচ একটু সচেতন হলে প্রয়োজন শেষে আমাদের কাছে জমাককৃত অব্যবহৃত ওষুধ সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে অসহায়, দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ যারা অর্থের অভাবে ওষুধ ক্রয় করে সেবন করতে পারছে না তাদের সহযোগিতা করা সম্ভব। এরপর সেসব মেডিসিন সংগ্রহ করে একজন ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করে যে সব ওষুধের মেয়াদ আছে এবং ব্যবহার উপযোগী সেগুলোকে আলাদা করে অসহায়, দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ যাদের প্রয়োজন তাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়। জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে বুথ বসানো হবে, যাতে করে অসহায়, দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ সেখান থেকে বিনামূল্যে ওষুধ সংগ্রহ করতে পারে। আপাতত যুব সদস্যদের মাধ্যমে ওষুধ সংগ্রহ ও বিতরণ করা হচ্ছে।
ফখরুল ইসলাম চৌধুরী পরাগ
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রাম।
Source: Daily Amardesh
5th Oct, 2010

Tuesday, January 4, 2011

রক্ত দিয়ে সেবা

রক্ত দিয়ে সেবা:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

০০ সরদার হাসান ইলিয়াস তানিম

'এসো মোরা হই স্বজন, থাকবে মোদের রক্তের বন্ধন' এই শেস্নাগানকে ধারণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের একটি সংগঠন 'স্বজন'। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।

গরীব, দুস্থ, অসহায় মানুষদের জীবন সংকটাপন্ন মুহূর্তে যখন রক্তের প্রয়োজন হয় অথবা যারা টাকা দিয়ে কিনতে পারে না রক্ত ঠিক সেসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক তরুণ-তরুণীর সমন্বয়ে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাবির শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজন করা হয়েছিল স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ক্যাম্প। আয়োজিত এ ক্যাম্পে বিশ্বদ্যিালয়ের অসংখ্য শিক্ষাথর্ী তাদের নিজেদের রক্ত স্বেচ্ছায় দান করে দেয় ম-মূষর্ু রোগী ও অসহায় মানুষের কল্যাণের জন্য। পরে সংগঠনটি সকল শিক্ষাথর্ীর জন্য ফ্রি বস্নাড গ্রুপ নির্ণয়ের আয়োজন করেন।

স্বজন রাবি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী ইসলাম দ্বীন পরাগ সংগঠনটির কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, আমরা বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ফ্রি বস্নাড ক্যাম্পিং বা বস্নাড গ্রুপিং নির্ণয় করে থাকি। এছাড়া বিভিন্ন সময় আবাসিক হলগুলোতেও ফ্রি বস্নাড গ্রুপিং ও ক্যাম্পেইন ছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় গত বিজয় দিবসে শহীদ মিনারের সামনে দিনব্যাপী ফ্রি বস্নাড গ্রুপিং কর্মসূচি পালন করেছি। এতে প্রায় ২৫০জনের বস্নাড গ্রুপ নিশ্চিত করা হয়। ভবিষ্যতে তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান স্বজনের ওই দুই সংগঠক।

এদিকে 'একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক জীবনের বাঁধন'_ এই শেস্নাগানকে সামনে রেখে স্বজনের মতো একইরকম সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের আরেকটি সংগঠন 'বাঁধন'। তারাও বিজয় দিবসে শহীদ মিনার চত্বরে ফ্রি বস্নাড গ্রুপিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। বাঁধন রাবি শাখার সভাপতি শাওন বসুনিয়া ও মাদার বখশ হল শাখার সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, বিজয় দিবসের ফ্রি বস্নাড গ্রুপিং-এ আমাদের কার্যক্রমের সাথে প্রায় ২শ' ৮৪ জন বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের নিজ নিজ বস্নাড পরীক্ষা করেছে। তাদের এ সেবামূলক কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে বলেও তারা জানান।

স্বজনের বস্নাড গ্রুপ নিশ্চিত করার পর রাবি'র এক শিক্ষার্থী এরশাদুল বারী জানান, ক্যাম্পাসে স্বজন ও বাঁধনের কার্যক্রম সত্যিই ব্যাপক উৎসাহব্যঞ্জক ও স্বেচ্ছায় সেবাদানমূলক কার্যক্রম। এতে দেশের বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে এবং বিপদের মুহূর্তে রক্তের প্রয়োজন হলে তাদের কাছে শুধুমাত্র একটি ফোনের মাধ্যমেই বিনামূল্যে রক্ত পেয়ে যাচ্ছে। একইরকম মন্তব্য করেন আরেক শিক্ষার্থী হাবিবুন নাহার নক্ষত্র।

Saturday, January 1, 2011

বিনামূল্যে সুনেত্রা-র চক্ষু পরীক্ষা শিবির, কলকাতা


Posted 2009-05-14 1 by sudarshana

সুনেত্রা ফ্যামিলি আই কেয়ার সেন্টার প্রতি মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ রবিবার তাদের হাসপাতালে বিনামূল্যে একটি চক্ষু পরীক্ষা শিবির চালাচ্ছে। নিম্ন আয়ভুক্ত মানুষদের জন্য এই শিবিরটি খুবই কাজে লাগছে। এই দুটি রবিবারে সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুপুর ১১টা পর্যন্ত চোখ পরীক্ষা করা হয়। উপস্থিত থাকেন ১ জন অপথ্যালমোলজিস্ট, ২ জন অপটোমেট্রিস্ট ও ৪/৫ জন স্টাফ।
উপস্থিত রোগীদের চোখের প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। তাদের ভিশন, পাওয়ার দেখে ওষুধ বাতলানো হয়। যদি সেই ওষুধের স্যাম্পল থাকে, তবে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়। এরপর যদি কোন পরীক্ষা বা সার্জারির ব্যাপার থাকে তাহলে সেটা খুব কম খরচে সুনেত্রা-য় করানোর ব্যবস্থা করা হয়। সার্জারির ক্ষেত্রে শুধু ওষুধের খরচ নেওয়া হয়। প্রতি শিবিরে প্রায় ৫০-৬০ জন রোগী উপস্থিত থাকেন , হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল।
এখানে আগে নাম লেখানোর দরকার নেই , নির্দিষ্ট রবিবারগুলিতে উপস্থিত থাকলেই চোখ পরীক্ষা করানো যায়। এ বিষয়ে আরও জানতে যোগাযোগ করতে পারেন- সুনেত্রা ফ্যামিলি আই কেয়ার সেন্টার, ১০৫০/১ সার্ভে পার্ক, কলকাতা ৭০০০৭৫। ফোন- ২৪১৮৮২২৩।

একতা উন্নয়ন সংঘ: স্বপ্ন ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল করার

একতা উন্নয়ন সংঘ:স্বপ্ন ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল করারতৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ হানিফের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭৩ সালে ৪০ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। এরই মধ্যে তারা করেছে কমিউনিটি পুলিশের ব্যবস্থা, স্থাপন করেছে দাতব্য চিকিৎসালয়, উদ্যোগ নিয়েছে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষার। যৌতুক প্রথা বন্ধ করতেও কাজ করছে তারা, সঙ্গে আছে এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নিশ্চিত করার আয়োজনও। মোর্শেদ শাওনসারা দেশ থেকে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ ভিড় জমায় এ শহরে। ব্যস্ততম এ নগরীর আবাসিক এলাকাগুলোতেও সমস্যার কোনো শেষ নেই। দেখা যায় না প্রতিবেশীদের মধ্যেও খুব একটা সুসম্পর্ক। পাশের ফ্ল্যাটে কে থাকছেন, অনেক ক্ষেত্রে তাও হয়তো থাকে অজানা। কারো বিপদ-আপদের খবরটাও অন্যের কানে পেঁৗছায় না। তাই তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক ও সৌহার্দ্যে স্থানীয় সংগঠনগুলো রাখতে পারে প্রয়োজনীয় ভূমিকা। মহল্লাভিত্তিক উন্নয়নেও স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি এ সংগঠনগুলোর ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য। তা ছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের আবাসিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেও এ সংঘগুলোর রয়েছে নানা উদ্যোগ। এমনই একটি সমাজ উন্নয়নমূলক সংগঠন 'একতা উন্নয়ন সংঘ'।
১৯৭৩ সালে মাত্র ৪০ জন প্রাথমিক সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল সংগঠনটি। আর এখন তাদের সদস্য সংখ্যা ২০০। এ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন একসময়ের ঢাকা সিটি করপোরেশনের স্বনামধন্য মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। তাঁর আদর্শ, পরিকল্পনা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলো আজও ধরে রেখেছেন বর্তমান সভাপতি সুলতান আহম্মেদ মোল্লা এবং সংগঠনের অন্য সদস্যরা। পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার লেনে স্থাপিত এ সংঘের কার্যালয়, নিবন্ধন নং-ঢ-০৫৮৯।
সংগঠনের অন্যতম সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা আ. রাজ্জাক বলেন তাঁদের কার্যক্রম সম্পর্কে, 'এখানে একসময় নিরাপত্তাব্যবস্থাটা খুব নাজুক ছিল। চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা কানে আসত প্রায় প্রতিদিনই। সঠিক বিচার ও প্রতিবাদের অভাবে এ অবস্থা দিন দিন বাড়তে থাকে এবং এলাকার বসবাসকারীদের মধ্যেও হরহামেশাই ঝগড়া-বিবাধ লেগে থাকত। এ সব সমস্যা নিরসন করতে প্রতিষ্ঠা করা হয় আমাদের সংগঠনটি।' তাই এখন স্থানীয়দের নিরাপত্তার স্বার্থে কমিউনিউটি পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ কারণে এলাকায় এখন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শোনা যায় খুবই কম। সংঘের কার্যালয়ে ছোটখাটো বিচার ও ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসাও হয়। সমাজের যেসব শিশু অর্থের অভাবে পাচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষাটাও, পরিবারের হাল ধরতে করছে নানা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ_এ দরিদ্র শিশুদের অক্ষরজ্ঞান দেওয়ার জন্য সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পাঠদান করা হচ্ছে সংঘের কার্যালয়ে। এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা বিবেচনা করে ক্লাবের সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে পয়োনিষ্কাশনের জন্য ময়লাবাহী কয়েকটি ভ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব ভ্যান নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে। যেসব মহল্লাবাসী টাকার অভাবে সামান্যতম চিকিৎসা পায় না, তাদের জন্য খোলা হয়েছে দাতব্য চিকিৎসালয়। প্রতি শুক্রবার সংঘের কার্যালয়ে এর কার্যক্রম চলে।
যৌতুক প্রথা বন্ধ করতেও কাজ করছে সংগঠনটি। অর্থের অভাবে যেসব মেয়ের বিয়ে হয় না, সংঘের দরিদ্র তহবিল থেকে সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও এগিয়ে আসেন এ সংঘের সদস্যরা। তখন বিভিন্ন এলাকা থেকে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে তা বিতরণ করা হয়। ১৯৮৮ সালের বন্যায় মানিকগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে এ সংগঠন। পহেলা বৈশাখসহ পূজা-পার্বণ ও ঈদের উৎসবে সংগঠনের কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ২১ ফেব্রুয়ারি ও ১৬ ডিসেম্বরসহ অন্যান্য জাতীয় দিবসে সংঘের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনার আয়োজনও করা হয়ে থাকে। প্রতিবছর সংঘের সদস্য ও তাঁদের পরিবার নিয়ে বনভোজনের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিচ্ছে সংগঠনটি।
সবশেষে সংগঠনের সদস্যরা জানান, সরকারি ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল করার ইচ্ছা আছে তাঁদের।
Source:
, ২৩ নভেম্বর ২০১০