Sunday, November 20, 2011

১০ টাকায় চোখের চিকিৎসা!

- আমিনুল হক ভূইয়া

১০ টাকায় চোখের চিকিৎসা! রাজধানীর শেরেবাংলানগরে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া তেমন কোনো খরচ নেই। আছে বিনামূল্যে অপারেশন ও বেড পাওয়ার সুবিধা। পেয়িং বেডের ভাড়া ২২৫ টাকা। ১০ টাকায় টিকিট কিনে চিকিৎসা নিতে পারেন চোখের সমস্যায় ভুগছেন এমন যে কেউ। যে কোনো বিভাগে একজন রোগী উপস্থিত হলেই চিকিৎসক ও নার্সরা আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দেন। চোখে ছানিপড়া রোগীর সংখ্যাই এখানে বেশি। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চোখের ছানি, রেটিনা, গ্লুকোমা, অক্লো পালাস্টিক, লো-ভিশন, লেজার, বায়োমেটিক, হিজ স্ক্রিন, প্যাথলজি, এমআরআই, সিটি স্ক্যানসহ ২৫টি বিভাগ রয়েছে। আউটডোরে ১০ টাকায় টিকিট কিনে প্রাথমিক চিকিৎসা ও যে কোনো পরামর্শ নিতে পারেন একজন রোগী। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ এখানে ছুটে আসেন চোখসংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার চিকিৎসা নিতে। ২৫০ জন নার্স, দুই শতাধিক চিকিৎসক এবং হাসপাতালের প্রতিটি কর্মী দুই হাত বাড়িয়ে থাকেন রোগীর সেবায়। যে কোনো রোগীই তাদের আপনজন হিসেবে সেবা পেয়ে থাকেন। ১৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের এ আধুনিক হাসপাতালটি মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ড মিলিয়ে বর্তমানে ১০০ বেড নিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে ৪০টি পেয়িং বেড রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ৮১ কোটি ও সৌদি আরব সরকারের ৫১ কোটি টাকার অনুদান মিলিয়ে এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ছয়তলা পর্যন্ত ভবন করা হলেও চারতলা পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক ডা. রেজানুর রহমান জানান, সৌদি আরব সরকারের টাকা পাওয়া গেলে পাঁচ ও ছয়তলায় বাকি ১৫০ বেড বসানো সম্ভব হবে। তখন ২৫০ বেডের হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। শেরেবাংলানগরে সুপরিসর হাসপাতাল ভবন। তার সামনে বিশাল চত্বর। কম করে হলেও শতাধিক গাড়ি একসঙ্গে পার্ক করা সম্ভব। হাসপাতাল চত্বরের পশ্চিম পাশে 'মলি্লকা', 'মাধবী', 'শিউলী' ও 'করবী'_ এ চারটি আবাসিক ভবন রয়েছে। চারদিকে খোলামেলা পরিবেশ। হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করলেই একজন রোগীর মনে সুস্থ হওয়ার আস্থা জন্ম নেয়। চিকিৎসাধীন রোগীরা হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পেয়ে থাকেন। আউটডোরে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ রোগী সেবা পেয়ে থাকেন। এ হাসপাতালে ডে-কেয়ার অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। ভবনের তিনতলায় রয়েছে সুপরিসর ও পরিচ্ছন্ন ক্যান্টিন। আগামী বছরের মাঝামাঝি ২৫০ বেডের এ হাসপাতালটি পুরোপুরি চালু হবে।