Wednesday, December 2, 2015

ঠোঁটকাটা রোগীদের পাশে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল



জন্মগতভাবে ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা ব্যক্তিদের বিনা মূল্যে অস্ত্রোপচার করায় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মিরপুর। আজ ২ ডিসেম্বর, ২০১৫ -তে  এ সেবা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্লাস্টিক সার্জন ডা. মুহাম্মদ কামরুজ্জামান ও ডা. এ এম জিয়াউল হক মাসুমের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়। 

যোগাযোগের ঠিকানা : ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, প্লট-৩১, মেইন রোড-৩, ব্লক-ডি, সেকশন-১১, মিরপুর, ঢাকা। ফোন : ০২৯০২৭৯৬২-৩।  
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ২৪/বি আউটার সার্কুলার রোড, মতিঝিল, ঢাকা। ফোন: ৯৩৩৬৪২১-৩, ০১৯৮১৪১৫৪০৩, ০১৭২৭৬৬৬৭৪১-২। 

তাদের জিজ্ঞাসা করে জানা যায় যে, তারা কয়েক মাস পর পর এই সার্ভিস দিয়ে থাকে। গত ৬ নভেম্বর, ২০১৫ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের মতিঝিল শাখায় এই সেবা দেয়া হয়। সেখানে প্লাস্টিক সার্জন ডা. সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন  করে এই চিকিৎসা দেয়া হয়।

Monday, August 24, 2015

কম খরচে সবার জন্য কুর্মিটোলা হাসপাতাল



ঢাকা সেনানিবাসের আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের পাশে এবং হোটেল র‍্যাডিসন ব্লু-এর বিপরীত দিকে দেখবেন চমৎকার এক দৃষ্টিনন্দন ভবন। ভবনটি দেখে বাইরে থেকে অনেক সময় মনেই হয় না, এটি একটি হাসপাতাল। কাচে ঘেরা এই হাসপাতালের নাম কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। ২০১২ সালের ১৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এই ১২ তলার হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ও চিকিৎসা সরঞ্জামে সুসজ্জিত এই হাসপাতালে বেশ কম খরচেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় এবং সেটা সবার জন্য।
শুরুর কথা
হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা কীভাবে হয়েছে, এ নিয়ে কথা হয় হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘টঙ্গী জেনারেল হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাঝামাঝি কোনো সরকারি হাসপাতাল ছিল না। সরকারের পরিকল্পনা হলো, এখানে একটা সরকারি হাসপাতাল করতে হবে। আর এখানে ছিল আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ। পাশাপাশি যেন একটি প্রশিক্ষণ হাসপাতাল হয়, এটা প্রয়োজন ছিল। এ ছাড়া চাকরির সুযোগ যেন বাড়ানো যায়, নিয়োগ যেন ভালো হয়—এসব উদ্দেশ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সম্পূর্ণ অর্থায়নে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই জায়গা সেনাবাহিনীর। সরকার সেনাবাহিনীর জায়গা লিজ নিয়ে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে। ভবনটি ১২ তলা হলেও ওপরের চারতলা এখনো অব্যবহৃত রয়েছে।’
২০০৪ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। সরকার এর তত্ত্বাবধান এবং ভবন নির্মাণের দায়িত্ব দিয়েছিল সেনাবাহিনীকে। অনেক অসুবিধা থাকার পরও নান্দনিক এবং খুব আধুনিক একটি হাসপাতাল হিসেবে তৈরি করা হয়েছে এটিকে। সম্পূর্ণ পাবলিক এই হাসপাতাল সরকারের অর্থায়নে চলে। তবে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের সঙ্গে অধিভুক্তি এবং হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রার ইত্যাদি প্রশিক্ষণ পোস্ট এখনো চালু হয়নি। চালু হওয়ার কাজ চলছে।
চিকিৎসাসেবা
কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এসেছেন সাজেদা বেগম (৪০)। হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ১২ দিন ধরে। একিউট প্যানক্রাইটিস রোগ হয়েছে তাঁর। জানালেন, হাসপাতালের চিকিৎসার মান বেশ ভালো। চিকিৎসকরা বেশ আন্তরিক। এখানে চিকিৎসা করিয়ে সন্তুষ্টির কথাই জানালেন সাজেদা বেগম।
সুলতানা বেগম (৪২), রক্তশূন্যতা নিয়ে নয় দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। জানালেন, এখানে কম খরচে চিকিৎসা করা যায়। হাসপাতালের পরিবেশও বেশ সুন্দর। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের মতো নয়।
পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার রোগী দেখা হয়। ১০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে রোগী দেখানো যায়। সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয়। হাসপাতালের সাততলায় আটটি কেবিন চালু করা হয়েছে এবং নয়তলায় ৫২টি কেবিন চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া ওয়ার্ডে ৩০০ রোগী সেবা নিতে পারেন। মেডিসিন, অপারেশন ও খাবার বিনামূল্যে দেওয়া হয়। সব ধরনের চিকিৎসাসেবাই এখানে দেওয়া হয়। তবে কার্ডিয়াক, নিউরোমেডিসিন, নিউরোসার্জারি, সাইক্রিয়াটি—এ বিভাগগুলো নেই। এ ছাড়া আইসিও, ট্রমা সেন্টার, ব্লাড ব্যাংক, সিসিইউ, এনআইসিইউ এগুলো এখনো চালু করা হয়নি। চালুর প্রক্রিয়া চলছে।’
পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান আরো জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৫০০ বেডের অনুমোদন দিয়েছে। তবে বর্তমানে এখানে ৩০০ বেডের সেবা দেওয়া হচ্ছে। কেননা, এখনো জনবল পর্যাপ্ত নেই এবং পথ্যের বাজেট অপর্যাপ্ত। বর্তমানে চিকিৎসক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে ৩৯৬ জন কর্মরত রয়েছেন। তবে একটি ৫০০ বেডের হাসপাতাল ভালোভাবে চালাতে আরো জনবল প্রয়োজন। সরকার কর্তৃক বাজেট বরাদ্দে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। একটি জেনারেল হাসপাতালে যে ধরনের চিকিৎসা করা হয়, তার প্রায় সবই এখানে করার চেষ্টা করা হয়। ৫৭০ জন জনবল চাওয়া হয়েছে সরকারের কাছে, এখন এটি চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। ট্রেনিং পোস্ট না থাকার কারণে দুপুর ২টার পর সার্জারি দেওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া অ্যানেসথেটিসের সংখ্যাও মাত্র দুজন।
সব নিয়েই এগিয়ে যাওয়া
হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এই হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সবচেয়ে বেশি রেভিনিউ দেওয়া হয়। এখানে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ক্যাফেটেরিয়া এবং ফার্মাসি করা হয়েছে। ক্যাফেটেরিয়া, ফার্মাসি, ইউজার ফিসহ সরকারের ঘরে একটা ভালো পরিমাণ টাকা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছি। আইসিডিডিআরবির সঙ্গে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টের কাজে যুক্ত আছি। আমরা ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশনের পার্টনার। কাছেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিমান দুর্ঘটনা বা জরুরি কিছুর চিকিৎসা যেন এখানে করা যায়, এ জন্য এই পার্টনারশিপ। এখন পর্যন্ত হাসপাতালটিকে জাইকা, ওডিসি, ডব্লিউএইচও পরিদর্শন করেছে। এটি একটি বড় পাওয়া।
হাসপাতালে খুব বেশি মানুষ আসতে পারেন না। এর কারণ হিসেবে মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘এই পথে রিকশা, ভ্যানের চলাচল নেই। এ জন্য সহজে রোগী বা অসুস্থ কেউ আসতে পারেন না। এ ছাড়া আইসিইউ, ব্লাড ব্যাংক, অ্যানেসথেসিক, ট্রমা সেন্টার, ট্রেনিং পোস্ট—এগুলো চালু হওয়া দরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ৫৭০ জন জনবল যদি দেওয়া হয়, সম্পূর্ণ চালু করার জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়, মেডিকেল কলেজ অধিভুক্ত করা হয়, তাহলে এই হাসপাতাল অল্প সময়ের মধ্যে সর্বস্তরের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য অত্যাধুনিক ব্যস্ত সরকারি হাসপাতাল হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারবে বলে আশা করছি আমরা।’
ঠিকানা
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুর্মিটোলা, ঢাকা-১২০৬
ফোন : ০১৭৬৯০১০২১১ (জরুরি বিভাগ)

Source: www.ntvbd.com

 

Sunday, February 26, 2012

আল-জাজিরায় প্রতিবেদন: বাংলাদেশের রিকশাচালকের হাসপাতাল

আল-জাজিরায় প্রতিবেদন

Saturday, February 11, 2012

দ্বীপ জেলার আশীর্বাদ: বিনা পয়সায় চিকিৎসাসেবা ও আরও বেশ কিছু সেবা

দ্বীপ জেলার আশীর্বাদ

নেয়ামত উল্যাহ, ভোলা | তারিখ: ১১-০২-২০১২


নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে বিনা পয়সায় চোখের অস্ত্রোপচারের পর ব্যবস্থাপত্র বুঝে নেওয়ার অ

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আলীগাঁও গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আবদুস শহীদ (৯৯)। বছর দুয়েক আগে চোখে ছানি পড়ে তাঁর। ধীরে ধীরে প্রায় দৃষ্টিহীন হয়ে পড়েন তিনি। টাকাপয়সাও নেই যে অস্ত্রোপচার করাবেন।
এমন অসহায় পরিস্থিতিতে তাঁকে কে যেন জানালেন একটি হাসপাতালের কথা, সেখানে বিনা পয়সায় চিকিৎসা হয়।
একদিন সেই হাসপাতালে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা খরচে চোখের অস্ত্রোপচার করালেন আবদুস শহীদ। এখন তাঁর চোখ ভালো হয়ে গেছে। দেখতে পাচ্ছেন সবকিছু। অনুভূতি জানতে চাইলে কিছু বলার আগেই হু হু করে কেঁদে ফেলেন।
শুধু আবদুস শহীদই নন, গত ২৫ ডিসেম্বর তাঁর মতো আরও ৩৯ জনের চোখে বিনা পয়সায় অস্ত্রোপচার করা হয় ওই হাসপাতালে। এটির নাম নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল। ঠিকানা ভোলা সদর।
নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন শুধু হাসপাতাল গড়ে অসহায় রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসাসেবাই দিচ্ছে না, এই ফাউন্ডেশনের অধীনে আরও বেশ কিছু সেবামূলক কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা, দুস্থ বিধবা ভাতা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম পরিচালনা, শীতবস্ত্র বিতরণ, বিদ্যালয় ও মসজিদের ভবন নির্মাণ, বিদ্যালয়ে শিশুদের দুপুরের খাবার সরবরাহ। এ ছাড়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গড়ে তোলারও প্রক্রিয়া চলছে।
শুরুর কথা: নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন। ভোলার দৌলতখান উপজেলায় জন্ম তাঁর। নদীভাঙনের শিকার মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখে বড় হয়েছেন। একপর্যায়ে তাঁদের নিজের বাড়িও নদীতে ভেঙে যায়। তাঁর ভাষায় ‘নদী ভাঙার পরে আমাদের পরিবার অনেকটা নিঃস্ব হয়ে যায়। বাবা বিনা চিকিৎসায় মারা যান। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, তখন মা মারা যান। মা মারা যাওয়ার খবরও তাৎক্ষণিকভাবে পাইনি। মাও অনেকটা অবহেলা-অনাদরে মারা গেছেন। এসব কষ্ট থেকেই মানবসেবায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন নিজাম উদ্দিন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার পর এখন তিনি একটি বিমা কোম্পানির অংশীদার।
তাঁর জীবনের দুঃখ-কষ্ট থেকে মানবসেবার তাগিদে ২০০০ সালে নিজের ও স্ত্রী হাসিনা বেগমের নামে গড়ে তোলেন ‘নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন’। নিজের সঞ্চিত অর্থের একটি অংশ ফাউন্ডেশনের তহবিলে দেন। এখন নিজস্ব আয়েই চলছে এই ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশন গঠনের আগে থেকেই নিজের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ও চক্ষুশিবিরের মাধ্যমে অসহায় রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু করেন নিজাম উদ্দিন।
নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল: ভোলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেশির ভাগ সময়ই থাকে চিকিৎসক সংকট। এ অঞ্চলের নদীভাঙনকবলিত মানুষের এত টাকাও নেই যে তারা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেবেন। অসহায় এসব মানুষের আশ্রয় নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল।
২০১০ সালের ১ এপ্রিল ভোলা সদর উপজেলার উকিলপাড়ায় চার একর জমির ওপর এ হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়। এখানে পাঁচ টাকা দিয়ে একটি টিকিট নিতে হয়। এরপর সম্পূর্ণ বিনা খরচে রোগনির্ণয়, অস্ত্রোপচার, থাকা-খাওয়া, ওষুধ এবং একেবারে নিঃস্ব রোগীদের যাতায়াত খরচ দেওয়া হয়। বর্তমানে এখানে তিনজন নিয়মিত চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত নার্স রয়েছেন। শুরু থেকে এ পর্যন্ত এ হাসপাতালের প্রায় পাঁচ হাজার চক্ষু রোগীর চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
ভোলা সদর থেকে প্রায় ১৫০ মাইল দূরের মনপুরা উপজেলার দাসের হাট থেকে নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চোখের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন সালেকা খাতুন (৫২)। তাঁর স্বামী ফখরুদ্দিন দরিদ্র জেলে। দুই চোখে ছানি পড়ে দৃষ্টিহীন হয়ে পড়েন। অস্ত্রোপচারের পর দৃষ্টি ফিরে পেয়ে সালেকা বলেন, ‘আমার অ্যান কোয়াল (কপাল) অয়নো টিয়া দিয়া ছানি কাডামু, নিজাম হাসপাতালের লাই আমি অ্যাহোন চোহে দেহি।’
হাসপাতালের পরিচালক আবদুুল মালেক বলেন, ‘জীবনে বহু জেলায় চাকরি করেছি। একদম বিনা পয়সায় চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার, চশমা, ওষুধ, থাকা-খাওয়া কোথাও দিতে দেখিনি।’
শীতবস্ত্র ও ভাতা: ফাউন্ডেশন ২০০০ সাল থেকেই প্রতিবছর দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করছে। চলতি বছরও চলছে শীতবস্ত্র বিতরণ।
২০১০ সাল থেকে ২০০ জন বয়স্ক দুস্থ বিধবাকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। একই সময় থেকে ২০০ দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে মাসে এক হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ভোলার প্রবীণ সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের বলেন, ‘নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী দিয়ে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিচ্ছে।’
ফাউন্ডেশন থেকে বর্তমানে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এই শিক্ষার্থীরা মাসে এক হাজার থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত বৃত্তি পাচ্ছে। এ ছাড়া ভোলার দুস্থ সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্রসহ সাধারণ মানুষের এককালীন সহায়তাও করছে ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি জেলার আটটি মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতনও দিচ্ছে এ ফাউন্ডেশন।
ভবন নির্মাণ: ফাউন্ডেশনের অর্থে ভোলায় গড়ে উঠছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবন। এর মধ্যে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ভবন, ডায়াবেটিস হাসপাতাল ভবন ও পুলিশ লাইন মসজিদ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উকিলপাড়া মসজিদ, মিয়াবাড়ির দরজা মসজিদ ও ভোলা প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
স্কুল ফিডিং: গ্রামের বিদ্যালয়ে যেতে উৎসাহিত করতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি হাতে নেয় ফাউন্ডেশন। গত বছর থেকে ভোলা সদর ও দৌলতখান উপজেলার মেঘনাপারের তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজারেরও বেশি শিশুকে দুপুরে নাশতা দেওয়া হচ্ছে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে।
সদর উপজেলার ধনিয়া খন্দকারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলের অনেক শিশুর কপালে নিয়মিত তিন বেলা খাবারই জোটে না। অনেক শিশুই অপুষ্টিতে ভোগে। ফাউন্ডেশনের দেওয়া নাশতা তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতিও বেড়েছে।
এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম ও মেডিকেল কলেজ: ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ভোলা সদরের উকিলপাড়ায় ২০০ শয্যার এতিমখানা ২০০২ সালে ও ৩০ শয্যার বৃদ্ধাশ্রম ২০০৭ সালে চালু হয়। পৌর কাঠালিতে ২০০ শয্যার বৃদ্ধাশ্রম ও একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।
তাঁরা যা বলেন: ভোলা জেলা প্রশাসক মেসবাহুল ইসলাম বলেন, ‘নিজাম উদ্দিন একজন সমাজ গড়ার কারিগর, জনসেবক, সর্বোপরি ভালো মানুষ। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে অসহায় মানুষকে নানা সেবা দিচ্ছেন। নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন ভোলার জন্য আশীর্বাদ।’
একই মত প্রকাশ করেন ভোলার পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান, ‘আমরা যাঁরা সমাজসেবা করি, তাঁদের কোনো স্বার্থ থাকে। কিন্তু নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশন নিঃস্বার্থভাবে দরিদ্র মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সংখ্যা কমবে।’
নিজাম উদ্দিনের কথা: ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। ইচ্ছে ছিল অর্থবিত্তের মালিক হলে দেশ ও বঞ্চিত জনগণের সেবা করব। তবে কখনোই রাজনীতিতে নামব না।’
নিজাম উদ্দিন তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়টি জানালেন এভাবে, ‘এখনো ভোলায় প্রতিদিন বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যায়। তাই ইচ্ছা আছে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করার। এই ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে আপাতত সেই পথেই এগোচ্ছি।’
নিজাম উদ্দিন তাঁর ইচ্ছার বাস্তবায়নে সবার সহায়তা ও দোয়া কামনা করেন।

Thursday, January 19, 2012

Bangladesh - Médecins Sans Frontières (MSF)

Many people who move to Dhaka, the capital of Bangladesh, end up living in slums where the availability of healthcare is often very limited. In April 2010, MSF opened a health centre and a therapeutic feeding centre in the Kamrangirchar slum, which is home to nearly 400,000 people.

MSF’s aim is to improve access to free care and treatment for children, focusing on severe acute malnutrition. Pregnant and breastfeeding women also receive treatment for malnutrition, and antenatal and postnatal care are provided.

Two-thirds of all deaths of children under five in Bangladesh are attributed to malnutrition. MSF is taking a community-based approach in Kamrangirchar. Teams go out into the community to screen children, and those who are found to be severely malnourished are admitted to a feeding programme and given ready-to-use food to eat at home until they regain normal body weight. During treatment, teams of health promoters regularly visit the children and provide support to ensure that the ready-to-use food is being given in the correct way. In 2010, MSF admitted 378 children and 440 pregnant or breastfeeding women to its nutrition programme and conducted over 10,000 consultations at its health centre.

Kala azar in Fulbaria

Kala azar (visceral leishmaniasis) is a deadly parasitic disease caused by the bite of infected sand flies, and is the second biggest parasitic killer worldwide after malaria. Medication to treat kala azar is expensive and hard to obtain. Few Bangladeshis are aware of the disease, its symptoms or its cause, so they do not know they need to protect themselves from the flies around them.

In collaboration with the Ministry of Health and Family Welfare, MSF opened a clinic providing free treatment of the disease in the subdistrict of Fulbaria, in the east of Mymensingh district. Fulbaria and neighbouring Trishal account for about 60 per cent of kala azar cases in Bangladesh. The clinic is the main provider of kala azar treatment in the subdistrict and the only such clinic in Bangladesh.

Outreach teams work with local communities to educate people about the disease and to identify suspected cases. Patients diagnosed with kala azar are treated with a new drug called liposomal amphotericin B, which is more effective, cuts the duration of treatment, and has fewer side effects than the drugs that were previously used. MSF also treats post kala azar dermal leishmaniasis (PKDL), a related skin infection that can appear long after a patient has seemingly been cured. By the end of 2010, more than 400 patients had received treatment for kala azar at the MSF clinic and more than 400 people were treated for PKDL.

Chittagong Hill Tracts

In the Chittagong Hill Tracts region in the south, MSF provided general and reproductive healthcare in Dighinala and Baghaichhari subdistricts. Teams operated eight health centres, and carried out almost 25,000 outpatient consultations and more than 1,000 antenatal consultations. More than 1,450 people were treated for malaria.

Kutupalong, Cox’s Bazaar

Kutupalong is in Cox’s Bazaar, a coastal area bordering Myanmar. In 2010, MSF continued to provide medical care to people living in Kutupalong, including an estimated 30,000 unregistered Rohingya refugees living in a makeshift camp on the outskirts of the UNHCR-supported camp. MSF staff, many of whom are from the local area, treat common yet potentially deadly illnesses such as respiratory tract infections and diarrhoea.

In February 2010, MSF spoke out publicly to condemn a surge in violence against the unregistered Rohingya refugees. Since then the level of violence has dropped, but people remain highly vulnerable due to their lack of official status and the limited provision of assistance that this allows.

Patient story(Abdul and Fatema)

Abdul learned about the kala azar clinic in Fulbaria through MSF’s outreach work. He has had kala azar, and so have many of his family members. Fatema, Abdul’s five-year-old daughter, was treated for kala azar at the MSF clinic. It used to take 30 days of painful injections to treat the disease, but Fatema was treated with the new drug, which requires just three infusions over five days. Before, Abdul had to spend his savings treating his family for kala azar, but Fatema is treated for free. She was soon able to go home and return to school.

At the end of 2010, MSF had 291 staff in Bangladesh. MSF has been working in the country since 1985. For more Information browse this website: http://www.msf-me.org

Monday, January 16, 2012

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য চালু হচ্ছে স্বাস্থ্যবীমা

এফএনএস: দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় দেশের প্রায় সোয়া ২ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এর পরিধি বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যে সরকার দেশের সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য স্বাস্থ্যবীমার কাজ শুরু করেছে। চলতি বছরের মধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে দেশে স্বাস্থ্যবীমা কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী। মূলত স্বাস্থ্যবীমার আওতায় দেশের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকেই বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চিকিৎসার নামে অনেক টাকা-পয়সা খরচ করতে না পারার দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি চিকিৎসা সেবা থেকে দূরে থাকে। এ চিত্র শুধু এদেশেই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও তা বিদ্যমান। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার চাচ্ছে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে। এ লক্ষ্যেই সরকার স্বল্প আয়ের মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে কাজ করছে। এজন্য সরকার সুবিধাবঞ্চিতদের চিকিৎসা সেবার জন্য বিশেষ ধরনের কার্ড সরবরাহ করবে। যাতে নির্ধারিত কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত চিকিৎসা নিতে পারে।
সূত্র জানায়, এই প্রথমবারের মতো সরকার কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যদিও ভারত, থাইল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যবীমার মাধ্যমে গরিব জনগোষ্ঠিকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। সরকার ওসব দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে। এজন্য কয়েকটি দেশের বিনামূল্যের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সরেজমিন দেখে এসেছে এদেশীয় প্রতিনিধি দল।
সূত্র আরো জানায়, সরকার ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যবীমা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার দেশের স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণে বর্তমানে এদেশের নবজাতকের মৃত্যুহার কমে এসেছে। মাতৃমৃত্যুর হারও অনেক কমে গেছে। সরকার মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে মাতৃকালীন ছুটি ৪ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করেছে। যদিও দেশের স্বাস্থ্যখাতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় উন্নত দেশগুলোর তুলনায় তা অনেক কম। তাছাড়া দেশে সরকারি ও বেসরকারি সেক্টর মিলিয়ে বর্তমানে বিদ্যমান হাসপাতালগুলোতে যে পরিমাণ শয্যা সংখ্যা রয়েছে, জনসংখ্যা অনুপাতে তা খুবই কম। এ পরিস্থিতিতে সরকার গত ৩ বছরে সরকারি মেডিকের কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়েছে।
দেশের বর্তমান স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে স্বাস্থ্যখাতে ৩ হাজার ১২ জনের জন্য চিকিৎসক আছেন ১ জন। আর ২ হাজার ৬৬৫ জনের জন্য হাসপাতালে শয্যা আছে ১টি। তাছাড়া ১ জন নার্স রয়েছেন ৬ হাজার ৩৪২ জনের বিপরীতে। দেশে চিকিৎসকের সাথে নার্সের আনুপাতিক হার এখনো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তবে সরকার এ ব্যবধান কমিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, গ্রামে নিয়োগকৃত চিকিৎসকরা ঠিকমতো কর্মস্থলে যাচ্ছেন কিনা তা এখন ঢাকায় বসেই ইলেকট্রনিক উপায়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও অনিয়ম দেখার সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া চিকিৎসকদের গ্রামে রাখতে সরকার বাড়ি ভাড়া কমানো, উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়াসহ নানা উৎসাহব্যঞ্জক কার্যক্রম হাতে নেয়ারও চিন্তা করছে সরকার।

Monday, 16 January 2012


Thursday, December 15, 2011

Free Cancer Treatment By Ahsania Mission and Grameenphone, Bangladesh

Based on estimates of the Bangladesh Cancer Society there are about 1,000,000 cancer patients in Bangladesh. Each year about 200,000 new cancer patients are added and 150,000 die from the disease. Despite the numbers, existing cancer treatment facilities in Bangladesh are extremely limited and only 15,000 patients receive the proper medical treatment each year.

Dhaka Ahsania Mission established the Ahsania Mission Cancer and General Hospital, which is a specialized institution to create awareness about Cancer. The hospital provides high quality diagnostic and therapeutic care to ease the suffering of patients with cancer on a NO-PROFIT-NO-LOSS basis. The Mission is working to develop the hospital into a centre of excellence in the country in the field of cancer control (education, awareness creation, diagnosis, treatment and research on cancer).

The sole telecom partner, Grameenphone will also work with the Dhaka Ahsania Mission authorities to screen the patients who are to admitted to those wards to ensure proper utilization. One third of the wards sponsored by GP will be reserved for more economically disadvantaged patients who will receive free admission and full treatment; the rest of the disadvantaged patients screened will receive treatment, which will be subsidized by Grameenphone.

Contact Address:

HEAD OFFICE:

Dhaka Ahsania Mission
House # 19, Road # 12
Dhanmondi, Dhaka-1209
Bangladesh
Telephone: (880-2) 8119521-22, 9123402, 9123420
Fax: (880-2) 8113010, 8118522

Mr. Kazi Rafiqul Alam
President
Email: kr.alam@ahsaniamission.org
Telephone: (880-2) 8115909

Mr. M. Ehsanur Rahman
Executive Director
Email: ehsan1155@gmail.com
Telephone: (880-2) 9145104

UK OFFICE:

Mrs. Zina Fear
4, Hayne Close
Tipton St. John, Sidmouth
Devon, EX10 OBA
U.K.
Phone: +44-01404-813996
Email: zinafear@aol.com

USA OFFICE:

Dr. Mansurul Khan
82-59, 247 Street
Bellerose, New York 11426
Telephone: 718-938-9451
Email : mansurulkhan@yahoo.com

PAKISTAN OFFICE

Ms. Mehnaz Ansar Khan
Deputy Country Director and Officer-in-Charge
House # 4, Street # 4, F-8/3, Islamabad
Telephone: +92 51 228 7114 and +92 51 226 0508
Cell: 0333-420-4299
Email: mkhan_mgt@hotmail.com

REPRENTATIVE IN INDIA:

Mrs. Nishat Farooq
J 346 Sarita Vihar
New Delhi-110025, India
Telephone: 11-2682-2879
Email: nishatfarooq@gmail.com

Monday, December 12, 2011

চোখের ছানি কেটে লেন্স বসানো হয় ৫০০ টাকায়: গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে দরিদ্রদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা

শিশির মোড়ল | তারিখ: ১২-১২-২০১১

ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবার বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এখানে একজন রোগীর চোখের ছানি কেটে লেন্স বসানো হয় মাত্র ৫০০ টাকায়। স্বাস্থ্যবিমার আওতায় হাসপাতালটি এই সেবা দিচ্ছে।
পটুয়াখালীর পানপট্টি গ্রামের মোতাহার প্যাদার সঙ্গে কথা হয় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে। তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। তাঁর চোখে একটি কৃত্রিম লেন্স লাগানো হয়েছে। তাতে মোতাহার প্যাদা বেজায় খুশি।
চোখের সমস্যা ছিল তাঁর দীর্ঘদিনের। কিন্তু খরচের আশঙ্কায় তিনি চিকিৎসকের কাছে যাননি। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল বড় খরচের হাত থেকে বাঁচিয়েছে তাঁকে। চোখের চিকিৎসায় সাকল্যে তাঁর খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই দুই হাজার টাকার মধ্যে মোতাহারের ছয়টি পরীক্ষার ব্যয় আছে। পরীক্ষাগুলো হচ্ছে: ইসিজি, বায়োমেট্রি, রক্ত (সম্পূর্ণ পরীক্ষা), ডায়াবেটিস, এইচবিএস/এজি ও সিএস। কৃত্রিম লেন্সের দাম ও হাসপাতালের তিন দিনের শয্যা ভাড়াও ওই খরচের মধ্যেই। এর বাইরে শুধু খাবারটা হাসপাতালের কেনটিন থেকে কিনতে হয়েছে মোতাহারকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মোতাহার প্যাদার ঘটনাটি একটু ভিন্ন। তিনি বিমার আওতায় পড়েন না, আবার দরিদ্রও বটে। তাই তাঁর খরচটা ভিন্ন ধরনের হয়েছে।
রাজধানীর সরকারি-বেসরকারিনির্বিশেষে সব হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালটির চেহারা কিছুটা ভিন্ন। সকাল-সন্ধ্যা এই হাসপতালে রোগীর চাপ নেই। অথচ এই হাসপাতালে মাত্র ৫০০ টাকায় রিশকাচালক, ভ্যানচালক, চা বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা ও দিনমজুরের চোখের ছানি কেটে কৃত্রিম লেন্স পরিয়ে দেওয়া হয়।
এই হাসপাতালের উদ্যোক্তা জনস্বাস্থ্যবিদ জাফরউল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দুই চোখে দুটি কৃত্রিম লেন্স। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই তা লাগিয়েছেন।’ চিকিৎসার ব্যয় দরিদ্র মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখা সম্ভব, সেটা প্রমাণ করতে দিশারি প্রকল্প হিসেবে তাঁরা হাসপাতালটি তৈরি করেছিলেন।
চক্ষু চিকিৎসক গৌর গোপাল সাহা বলেন, সেখানে দরিদ্র মানুষকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। চোখের সমস্যা নিয়ে কোনো নিম্নবিত্ত মানুষ এলে প্রথমে ১০০ টাকা দিয়ে (ধূমপায়ী হলে ১২৫ টাকা) বিমা করা হয়। এই বিমার আওতায় রোগী ও তাঁর পরিবার এক বছর বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। বিমা করার পর রোগীর প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করা হয় ৫০ টাকায়। চোখে অস্ত্রোপচার করে যে কৃত্রিম লেন্সটি লাগানো হয়, তার দাম ২৫০ টাকা। অস্ত্রপচারের পর এক দিন হাসপাতালে থাকতে হয় বলে আরও ১০০ টাকা নেওয়া হয়। সব মিলে ৫০০ টাকায় চোখের ছানি কেটে লেন্স লাগিয়ে দেওয়া হয়।
রিশকাচালক, ভ্যানচালক, চা বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা ও দিনমজুর মিলে দুই হাজার ৩০০ নিম্নবিত্ত মানুষ এই হাসপাতালের বিমার আওতায় আছেন। এঁদের পরিবারের সদস্যরা বছরভর বিনা মূল্যে এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা পান।
যাঁরা বিমার আওতায় নন, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যয় একটু বেশি। চোখের ছানি কেটে লেন্স বসাতে সব মিলে খরচ সাড়ে তিন হাজার টাকা।


গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল
ফোন: +৮৮০-২-৮৬১৭২০৮, ৯৬৭৩৫১২, ৯৬৭৩৫০৭
ঠিকানা: হাউজ নং# ১৪/ই, রোড নং # ৬, ধানমন্ডি ঢাকা- ১২০৫ বাংলাদেশ ফ্যাক্সঃ +৮৮০-২-৮৬১৩৫৬৭


গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল (শ্রীপুর)
মোবাইল: +৮৮-০১৭১১-৮২৬৯০৭, ০১৭১১-৬৩৯৯৮৩
ঠিকানা: টাংরা, শ্রীপুর, গাজীপুর ঢাকা বাংলাদেশ

Four TTSH doctors provide free eye treatment and surgery for villagers in Bangladesh

Four doctors from TTSH's Dept of Ophthalmology - Dr Nikolle Tan, Dr Rajesh Rajagopalan, Dr Rupesh Agrawal, Dr Don Pek & fellow colleagues from NHG International - embarked on a trip to Bangladesh from Dec 10-11, to provide free eye treatment and surgery for the villagers.


Eye-See-The-World, an annual event since 2008, was organised by the Singapore Airlines. Together with eye specialists from the Bangladesh Eye Hospital, the team rendered free cateract surgery to 194 villagers over the span of 2 days.

It was a fruitful expediation, where people of different cultures met to interact and render aid to each other. The villagers expressed delight and were excited to see our doctors. By the end of the trip, many villagers and children were following the doctors everywhere!

View photos @ TTSH Facebook page.